নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিসিকে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিকট হতে প্রাপ্ত তথ্য মতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার কাজে মরিয়া হয়ে আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে বে-আইনী কাজ করে চলেছেন বিসিকের একটি স্বার্থান্বেষী মহল। স্বার্থান্বেষী মহলের অন্যতম হোতা হচ্ছেন উপ-সচিব পদমর্যাদার ২ জন কর্মকর্তা যথাক্রমে কাজী মাহবুবুর রশীদ এবং নেপাল চন্দ্র কর্মকার। তাদের বিশেষ সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন বিসিক কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি অখিল রঞ্জন তরফদার (বিসিকে মহাব্যবস্থাপক পদে নিয়োগ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে যার বিরুদ্ধে বিসিকের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক সচিবের সাথে যোগসাজশে প্রতারণামূলক তথ্য প্রদান করে চাকুরী লাভের অভিযোগ আছে)।
তারা প্রতিনিয়ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে উস্কানীমূলক আচরণ করছেন, অশোভন আচরণ করছেন এবং হুমকী ধামকী প্রদান করে বিসিকের বিরাজমান শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করার কাজটি করে যাচ্ছেন বেপরোয়া মনোভাব পোষন করে। তিনি তার ছাত্র জীবনে ছাত্রলীগ এর সাথে জড়িত থাকার, পেশাগত জীবনে অতিমাত্রায় সততার সাথে দায়িত্ব পালন করার, পুলিশ প্রশাসনে তার কাছের আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব কর্মরত থাকার বিষয়টি প্রচার করে আসছেন। তিনি বুঝাতে চাচ্ছেন যে তিনি যা করেন বা যা বলেন তা মানতে হবে এবং সে মতে কাজ করতে হবে।
বিসিকে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিকট হতে প্রাপ্ত তথ্য মতে এই সেই কাজী মাহবুবুর রশীদ যিনি বিসিকের গ্রেডেশন কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে বিসিকে কর্মরত উচ্চমান সহকারী ও সম-মানের পদে কর্মরত ৩য় শ্রেনীর কর্মচারীদের চ‚ড়ান্ত গ্রেডেশন তালিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে একদিকে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন, অন্যদিকে সরকারী কাজ সম্পাদনে পেশাদারী মনোভাবের অভাব প্রদর্শন, আন্তরিকতার অভাব প্রদর্শন এবং দায়িত্ব জ্ঞানহীন আচরণের পরিচয় প্রদান করে চ‚ড়ান্ত গ্রেডেশন তালিকায় মৃত ব্যক্তির নাম (২২ আগষ্ট, ২০২২ তারিখে মৃত্যুবরণকারী জালাল উদ্দিন, ব্যক্তিগত নথি নং-৬২০৭, নিজ জেলা টাংগাইল এর নাম গ্রেডেশন তালিকার ৩৭নং ক্রমিকে লিপিবদ্ধ করেছেন)।,
বিসিকের চাকুরীতে নিয়োজিত নেই এমন ব্যক্তির নাম (তমা রানী বৈরাগী, ব্যক্তিগত নথি নম্বর ৯২০০, জেলা খুলনাকে চ‚ড়ান্ত গ্রেডেশন তালিকায় ২০৮নং ক্রমিকে কর্মরত দেখিয়েছেন) , বিসিকে কর্মরত আছে, ২ বছর বেতন ভাতা বন্ধ রেখে (২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে প্রকাশিত চ‚ড়ান্ত গ্রেডেশন তালিকার ক্রমিক নং-৬৬ তে লিপিবদ্ধ করা কর্মচারী মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, ব্যক্তিগত নথি ৭৩২৬, নিজ জেলা গাজীপুর-কে কর্মরত দেখানো হয়েছে), অথচ ২(দুই) বছরের অধিক সময় তার বেতন ভাতা প্রদান করা হচ্ছে না যা তার প্রাপ্য অধিকার ক্ষুন্ন করাসহ অমানবিক আচরণ করার প্রমাণ)\, ৭ জন ২য় শ্রেনীর কর্মকর্তাকে (বিসিক সার্ভিস রুল ১৯৮৯ এর ২৮ পৃষ্ঠার তফশীল ২(ছ) এর ক্রমিক নং-৬(ঙ) এর বিধান অনুযায়ী চূড়ান্ত গ্রেডেশন তালিকার ২০৩নং, ২০৪নং এবং ২০৬ হতে ২১০ নং ক্রমিকে লিপিবদ্ধ করা মাষ্টার ক্রাফটসম্যান পদধারী ৭ জন ২য় শ্রেনীর কর্মকর্তা, গ্রেডেশন তালিকার কর্মচারীর গ্রেডেশন তালিকায় অবস্থান দেখিয়ে তাদেরকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার কাজটিও করেছেন, একই সাথে তিনি এবং গ্রেডেশন কমিটির অপরাপর সদস্যগণ সরকারী কাজে গাফিলতি বা অবহেলা প্রদর্শন করে সরকারী কাজ সম্পাদনে প্রতারণামূলক কাজ করেছেন।
নেপাল চন্দ্র কর্মকার গ্রেডেশন কমিটির সদস্য হিসেবে সরকারী কাজ সম্পাদনে পেশাদারী মনোভাবের অভাব প্রদর্শন, আন্তরিকতার অভাব প্রদর্শন এবং দায়িত্ব জ্ঞানহীন আচরণের পরিচয় প্রদান করে কাজ করে একই ধরণের বে-আইনী কাজ করেছেন। এই সেই কাজী মাহবুবুর রশীদ এবং নেপাল চন্দ্র কর্মকার যারা বিসিক কর্মকর্তা সমিতির সভাপতির পক্ষ অবলম্বন করে বিসিক শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের কার্যক্রম বন্ধ করার এবং নির্বাচিত নের্তৃবৃন্দের সাথে কারণে অকারণে অশোভন আচরণ করে চলেছেন। বিষয়টিতে তাদের এবং সকলের খেয়াল রাখা উচিত ট্রেড ইউনিয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে আইএলও কনভেনশন এবং বাংলাদেশের প্রচলিত শ্রম আইন অনুযায়ী। বিসিকের গাড়ীচালকদের নাম দিয়ে নাম বিহীন একটি পত্রে ইউনয়নের সভাপতি এবং ইউনিয়নের বিষয়ে নেতিবাচক কর্মকান্ডের উদ্যোগ নেয়ার মূল হোতা এ দুজন পরিচালক তা ধারনা করলে ভুল হবেনা। কোন ষড়যন্ত্র করে ট্রেড ইউনিয়ন কার্যক্রম বন্ধ করা যাবেনা।
এই সেই কাজী মাহবুবুর রশীদ এবং নেপাল চন্দ্র কর্মকার যারা বাংলাদেশ সংবিধানের ৩৬ অনুচ্ছেদে বর্নিত বিধান অবমাননা করে ব্যক্তি বিশেষের অবাধ চলাচলের সাংবিধানিক অধিকার হরণ করতে বার বার বিসিক চেয়ারম্যানকে অনুরোধ জানিয়ে আসছেন। দেশ প্রেমিক কোন নাগরিক বা সরকারী কর্মকর্তা সংবিধান লংঘন করতে পারেন না। এই সেই কাজী মাহবুবুর রশীদ এবং নেপাল চন্দ্র কর্মকার যারা বিসিকের বিভিন্ন তদন্ত কমিটির তদন্তকাজ সম্পাদনে, সরকারের স্বার্থ যথাযথভাবে সংরক্ষনে ব্যর্থ। নিজেদের অপকর্ম ডাকার জন্য আইনের পরিপন্থি যে কোন কাজে উৎসাহ বোধ করছেন এই দুইজন কর্মকর্তা । একজন সরকারী কর্মচারীর করনীয় এবং বর্জনীয় বিষয়গুলো সরকার কর্তৃক নির্ধারিত আছে। একজন সরকারী কর্মচারী চাকুরীরত অবস্থায় সরকারী কর্মচারী আচরণবিধি লংঘন করতে পারেন না।
দৈনিক আমাদের কন্ঠ পত্রিকায় ৪ অক্টোবর, ২০২২ তারিখে বিসিক কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব জ্ঞানহীন আচরণ, চ‚ড়ান্ত গ্রেডেশন তালিকায় মৃত ব্যক্তির নাম, ৭ অক্টোবর, ২০২২ তারিখে বিসিক কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব জ্ঞানহীন আচরণ (পর্ব-২), বিসিকের চাকুরীতে নিয়োজিত নেই এমন ব্যক্তির নাম চ‚ড়ান্ত গ্রেডেশন তালিকায়! সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তাছাড়াও দৈনিক আমাদের কন্ঠ এবং অন্যান্য জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় আইনের তোয়াক্কা করছেন না বিসিক চেয়ারম্যান, অনিয়মই নিয়ম বিসিকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আইনের ব্যত্যয়, বিসিকের অভিনব প্রতিবাদ, বিসিকে যোগ্যতা বিহীন নিয়োগ, ৩৫ বছর একই কর্মস্থলে, অবমাননা করা হয়েছে বদলী বিষয়ক সরকারী নির্দেশ, চাকুরী বিসিকে, ব্যবসাও বিসিকে সহযোগিতায় কর্তৃপক্ষ, চাকুরী বিসিকে, ব্যবসাও বিসিকে সহযোগিতায় কর্তৃপক্ষ পর্ব-২ প্রভৃতি শিরোনামে বিভিন্ন তারিখে গুরুত্ব সহকারে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, দেশের প্রচলিত আইনের ব্যত্যয়/লংঘন, কৌশলে সরকারী অর্থ আত্মসাতসহ বেশ কিছু বে-আইনী কাজের সবিস্তারে উল্লেখ ছিল। প্রকাশিত সংবাদ বা প্রতিবেদনের বিষয়ে বিসিক কর্তৃপক্ষ কোন প্রতিবাদ করেননি বিধায় প্রকাশিত সংবাদ বা প্রতিবেদনের সঠিকতা প্রমাণ করে। প্রকাশিত প্রতিটি সংবাদই জাতীয় পর্যায়ে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি সংবাদের সাথে জড়িত আছে রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয়, আত্মসাত বিষয়ের, অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও বে-আইনী কাজের। সরকারী দপ্তরে বে-আইনী কাজের প্রতিকার করার দায়িত্ব সরকারের। দেশের জনগণের কষ্টার্জিত অর্থে পরিচালিত প্রতিষ্ঠান বিসিক কর্তৃপক্ষের সীমাহীন অনিয়মের ইতি টানা জাতীয় স্বার্থে একান্ত প্রয়োজন।
কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে উস্কানীমূলক আচরণ, অশোভন আচরণ এবং হুমকী ধামকী প্রদান, ট্রেড ইউনিয়ন কার্যক্রম বন্ধ করার অপচেষ্টা, সাংবিধানিক অধিকার লংঘন কাজে বারংবার অনুরোধ জানানো এবং সরকারী কাজ সম্পাদনে পেশাদারী মনোভাবের অভাব প্রদর্শন, আন্তরিকতার অভাব প্রদর্শন এবং দায়িত্ব জ্ঞানহীন আচরণের পরিচয় প্রদান করে চ‚ড়ান্ত গ্রেডেশন তালিকায় মৃত ব্যক্তির নাম চ‚ড়ান্ত গ্রেডেশন তালিকায় মৃত ব্যক্তির নাম, বিসিকের চাকুরীতে নিয়োজিত নেই এমন ব্যক্তির নাম, ২য় শ্রেনীর ৭ জন কর্মকর্তার নাম কর্মচারীর গ্রেডেশন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে দায়িত্ব পালনে চরম অবহেলা প্রদর্শন করার কারণে সরকারী চাকুরী আইন এবং সরকারী কর্মচারী আচরণ বিধিমালা লংঘনের দায়ে দায়ী ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করা জাতীয় স্বার্থে অতিব প্রয়োজন। যে কোন পর্যায়ের কর্মকর্তা অশোভন এবং উস্কানীমূলক আচরণ হতে বিরত থাকবেন-এ বিষয়টি নিশ্চিত করা যে কোন প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে একান্ত প্রয়োজন।
দেশের প্রচলিত আইন এবং বিধি বিধান অনুসরণ করে সরকারী কর্মকর্তাগণ তাদের দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হবেন এটাই জাতির প্রত্যাশা। প্রচলিত আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে সরকারের সুনাম নষ্ট করার উদ্দ্যেশ্যে যে বা যারা কার্য সম্পাদন করছেন-তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া সরকারের দায়িত্ব। বিদ্যমান আইনের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের নিবিড় নজরদারীর দিকে তাকিয়ে আছে দেশের জনগণ। সরকারী কর্মচারীদের সম্পাদিত কাজের সাথে সরকারের সুনাম বা দুর্নাম জড়িত আছে- বিষয়টি সরকারী কার্য সম্পাদনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকলকে স্মরণে রেখে কার্য সম্পাদনের বিষয়টি নিশ্চিত করার বিধান যথাযথভাবে বাস্তবায়ণের ক্ষেত্রে সরকারের কঠোর নজরদারীর প্রয়োজন বলে পুনরায় সংবাদ প্রতিবেদনের মাধ্যমে প্রকাশ করা হলো।