আক্তারুল ইসলাম, সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের প্রশাসনিক বøকে থাই গøাসঘেরা ভিআইপি কক্ষে অফিস করেন হেল্থ এডুকেটর মোরাদ হোসেন। প্রশাসনিক বøকে ঢুকতেই প্রথম ভিআইপি চেম্বারটি তার,দেখে যে কারও মনে হবে তিনি এই প্রতিষ্ঠানের বড় কোন কর্মকর্তা। সরকারি চাকুরীর বিধিমালা অনুযায়ী তিনি ১৬ তম গ্রেডের একজন টিকা কর্মী হলেও কখনও তাকে মাঠে দেখা যায়নি। ক্ষমতা দেখিয়ে (ডেপুটেশনে) ১১ তম গ্রেডের ওয়ার্ড মাষ্টার পদ দখল করে মেডিকেল কলেজের ভিআইপি কক্ষে তিনি ইজি চেয়ারে বিজি আছেন। তার আছে ২ জন পিয়ন (আউটসোর্সিং কর্মচারী), যারা আছেন ওহী পালনে সর্বদা জাগ্রত, স্যার না বলায় ইতিমধেই কিক মেরে মেডিকেল কলেজ থেকে আউট করেছেন ১ জন (আউটসোর্সিং কর্মচারী) পিয়নকে। করোনা কালীন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজকে করোনা ডেলিগেটেট ঘোষনা করায় করোনা রোগীদের জন্য কেবিন ফ্রি করা হয়, কিন্ত তিনি পুরা কেবিনের ভাড়া জবরদস্তি আদায় করে সমুদয় অর্থ আত্মসাত করেন। অথচ সে সময় একটি কেবিন পাওয়ার আসায় তার কক্ষের পাশে সর্বদা ঘোরাঘুরি করতে দেখা যেত রোগীর স্বজনদের, কেবিন ফাঁকা হলেই অগ্রিম ৪ হাজার টাকা জমা দিয়ে রোগীকে কেবিনে নেয়ার প্রতিযোগীতা লেগে থাকত সর্বদা। আউটসোর্সিং কর্মচারীদের দেখভালের দ্বায়িত্ব তার হাতে থাকায় আপদমস্তক দূর্নীতিগ্রস্ত মোরাদ হোসেন অসহায় আউটসোর্সিং কর্মচারীদের বিভিন্ন অনৈতিক সুযোগ সুবিধার লোভ দেখিয়ে অর্থ আদায় করে থাকেন। এবং তাদের সাথে প্রতিনিয়ত অসৌজন্যমুলক আচারন করতে দেখা যায়।সাতক্ষীরাবাসীর গর্ব সাবেক সফল স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডাক্তার আ ফ ম রুহুল হক এমপি ও তার ভাই দেবহাটার রতন চেয়ারম্যানের নাম ভাঙিয়ে ডেপুটেশনে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে ১১ তম গ্রেডের ওয়ার্ড মাষ্টার পদ দখল করে দুর্নীতির মাধ্যমে ইতিমধ্যে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন মোরাদ হোসেন। চলতি অডিট আপত্তির বিষয়টি বুঝতে পেরে তড়িঘড়ি সবদিক ম্যানেজ করে হাত ধুয়ে বসে আছেন তিনি।চাকুরীর ভয় দেখিয়ে একাধিক নারী আউটসোর্সিং কর্মচারীকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করার অভিযোগ আছে ক্ষমতাধর মোরাদ হোসেনের বিরুদ্ধে। তিনি বেতন পান ১৬ তম গ্রেডে অফিস করেন ১ম শ্রেণির মর্যাদায়, এব্যাপারে দূর্নীতিবাজ মোরাদের সাথে কথাা বলতে গতকাল সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের প্রশাসনিক বøকে থাই গøাসঘেরা ভিআইপি কক্ষে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি, আউটসোর্সিং কর্মচারীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন স্যার ১২ টার দিকে আসেন, তার ব্যবহুত মোবাইল ফোনে কল দিলে সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এব্যাপারে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আহমেদ আল- মারুফ এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, করোনা রোগীদের জন্য কেবিন ফ্রি করা হয়েছিল কিন্তু সকলের জন্য না। আমি এবং তত্ত¡াবধায়ক সার যোগদান করার পর থেকে মেডিকেলের অনিয়ম, দূর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। এখন কেউ সহজে দূর্নীতি করতে পারবেনা।