আবেদ আলী, বীরগঞ্জ, দিনাজপুর:
বীরগঞ্জে ২৪ বছর ধরে বেতন-ভাতা না পেয়ে সাতখামার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীর পরিবারগুলো মানবেতর জীবন-যাপন করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ দাবি শিক্ষক-কর্মচারীর পরিবারগুলোর। উপজেলা সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার উত্তরে মরিচা ইউনিয়নের সাতখামার গ্রামের শিক্ষনুরাগী ব্যাক্তিত্ব সাবেক মরিচা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যান আখতারুল ইসলাম চৌধুরী বাবুল অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়া শিশুদের জীবন আলোকিত ও বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে শিক্ষার প্রসার ঘটানোর জন্য দশমিক ১৮ একর আংশিক জমি দান করেন।
এলাকার শিক্ষিত বেকার যুবক নিত্যানন্দ রায় নিতাই প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক নূর আযম চৌধুরী, জাহেরুল ইসলাম, প্রেমানন্দ রায়, মানিক কুমার সরকার, মামুন হাসান নুর, সুব্রত কুমার রায়, বজেশ^র কুমার রায়, অফিস সহকারী ফটিক চন্দ্র রায় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী অবায়দুর রহমানসহ শিক্ষক কর্মচারী সকলে মিলে দশমিক ৬৭ একর জমি ক্রয়করে মোট দশমিক ৮৫ একর জমি দান করে চাটাইয়ের বেড়া ও টিনের চালায় নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১ জানুয়ারী/১৯৯৮ইং পাঠদানের অনুমতি পেয়ে শিক্ষা কর্মসুচী চালু করা হয়। ২০০২ইং একাডেমিক স্বীকৃতি প্রাপ্ত বিদ্যলয়ে ২০২২ইং নবায়নসহ বিদ্যালয় পরিচালনা করা হচ্ছে। বর্তমানে ১৪০ হাত দৈর্ঘ ১৫হাত প্রস্ত টিনসেড একটি আধাপাকা ঘরে ৭টি ক্লাসরুম, ছাত্রীদের কোমনরুম, ২টি টয়লেট, ছাত্রদের আলাদা ২টি টয়লেট, ৩০ হাত দৈর্ঘ ও ১০ হাত প্রস্ত একটি প্রশাসনিক ভবন রয়েছে। এই ভবনে একটি কক্ষ প্রধান শিক্ষকের চেম্বার, একটি কক্ষ সহকারী শিক্ষকদের মিলনায়তন ও একটি কক্ষ বিজ্ঞানাগার ব্যবহার হচ্ছে। সাতখামার উচ্চ বিদ্যালয়টি মাননীয় মন্ত্রী, এমপি, ডিসি ইউএনও একধিকবার পরিদর্শন করেছেন। এ ছাড়াও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের শিক্ষা অফিসারগন পরিদর্শন করে ভ‚য়সী প্রসংশা করেছেন। প্রাচীর ঘেড়া ফটক গেট সম্বলিত বিদ্যালয়ের চতুর পাশে শতাধিক মেহগনি ও কৃঞ্চচড়ার গাছ সোভা পাচ্ছে। এ ছাড়াও জেএসসি এবং এসএসসি শতভাগ পাশের হার সন্তোষ জনক।
বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ২টি নলকুপ, বিদ্যুৎ ও সাপলাই পানির ব্যবস্থা রয়েছে। গত ২৪ বছরে শতশত ছাত্র/ছাত্রী আলোকিত মানুষ হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। প্রতিষ্ঠা লগ্ন /৯৯৮ইং থেকে মে/২০২২ইং পর্যন্ত ২৪ বছর ধরে শুধুই খালি হাতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে শিক্ষক-কর্মচারী সর্বশান্ত হয়ে গেছে। ২০/২২ বছরেরর তাগরা জোয়ানেরা সেচ্ছাশ্রমে শিক্ষকতায় যোগদান করে দীর্ঘকাল বেতনভাতা না পেয়ে বার্ধ্যকের ছাপ পরেছে তাদের। বর্তমানে খাওয়পড়া সমস্যা নিয়ে সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ বহন করতে পারছে না তারা। অনেক শিক্ষক-কর্মচারী কন্যাদায়গ্রস্থ পিতা হয়ে তাদের পাত্রস্থ সহ কিছুই করতে পারছে না। সাতখামার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিত্যানন্দ রায় নিতাই এক প্রশ্নের জবাবে জানান, আমি সকল শিক্ষক-কর্মচারী পরিবারগুলোর পক্ষথেকে বিদ্যালটি এমপিও ভ‚ক্তির জন্য মানবতার মা দেশরতœ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপের জোর দাবি জানাচ্ছি।