মহিউদ্দীন, ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় বিউটি খাতুন (২৪) নামে এক গর্ভবতি নারীর মৃত্যুর ঘটনার পর বন্ধ করে দেওয়া “শৈলকুপা প্রাইভেট হাসপাতাল” নামে একটি বেসরকারী ক্লিনিকে রোগী দেখে বিতর্ক ও আলোচনার জন্ম দিয়েছেন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের শিশু চিকিৎসক ডাঃ হুমায়ন সাহেদ। তিনি সরকারী আদেশ অমান্য করে, শিশু চিকিৎসক ডাঃ হুমায়ন সাহেদ ওই ক্লিনিকে গত শুক্রবার দিনভর রোগী দেখলেন তা নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। তথ্য মতে জানা যায়, গত ২৬ জুন শৈলকুপা সরকারী হাসপাতাল থেকে ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়া বিউটি খাতুন শৈলকুপা প্রাইভেট হাসপাতাল ডাক্তার ও নার্স না থাকার কারণ ওই ক্লিনিকেই মারা যান।এ ঘটনায় জেলা ব্যাপী আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় ওঠে। সিভিল সার্জন ঘটনাটি জানার পর, চিঠি দিয়ে ক্লিনিকটি বন্ধ করে দেন। অথচ সেই বন্ধ ক্লিনেক রোগি দেখেছেন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের শিশু চিকিৎসক ডাঃ হুমায়ন সাহেদ। শুক্রবার তিনি শতাধীক রোগী দেখেন। রোগী দেখা অবস্থায় সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম তাকে ফোন করেন এবং বন্ধ ক্লিনিকে রোগী দেখার কারণ জিজ্ঞাসা করেন। জবাবে ডাঃ হুমায়ন সাহেদ সিভিল সার্জনকে জানান, ক্লিনিকটি যে চিঠি দিয়ে বন্ধ করা হয়েছে তা তিনি জানেন না। গনমাধ্যম কর্মীদের কাছেও ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের শিশু চিকিৎসক ডাঃ হুমায়ন সাহেদ বলেছেন তিনি বন্ধের বিষয়টি জানতেন না। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন বন্ধ করা ক্লিনিকে রোগী দেখার কথা স্বীকারে করে বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। উল্লেখ্য বিউটি খাতুন (২৪) নামে এক গর্ভবতি নারীর প্রসব বেদনা শুরু হলে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় নিকটস্থ শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কিন্তু শৈলকুপা সরকারী হাসপাতালের গেটের সামনে অপেক্ষমান দালালরা তাকে জোর পুর্বক ভাগিয়ে শৈলকুপা প্রাইভেট হাসপাতাল নামে ওই বেসরকারী ক্লিনিকে ভর্তি করেন।সেখানে ডাক্তার ও নার্স না থাকার কারণে ওই নারী ৩ ঘন্টা প্রসব বেদনায় ছটফট করতে করতে এক পযার্য়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। বিউটি খাতুন শৈলকুপা পৌরসভার বাজারপাড়া গ্রামের রিপন হোসেনের স্ত্রী। বিউটির মৃত্যুর পর ক্লিনিকের ছয় মালিক ও ম্যানেজার গা ঢাকা দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আন্তে ক্লিনিকের সামনে মোতায়েন করা হয় পুলিশ।