সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদী সংলগ্ন প্রস্তাবিত ২-অর্থনৈতিক অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত পুঠিয়াবাড়ী, রায়পুর, বিয়ারা, বনবাড়িয়া, মোরগ্রাম, বেলটিয়া, বড় পিয়ারী ও ছোটপিয়ারী এই ৮টি মৌজার ১ হাজার ৮২ একর জমির ক্ষতিগ্রস্থ মালিক-কৃষকরা জমির মূল্য না পাওয়ায় দিনে দিনে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে। অন্তর্ভুক্ত আটটি মৌজার জমির মূল্য পরিশোধের দাবীতে আবারও বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে ক্ষতিগ্রস্থ সহগ্রাধিক জমির মালিক-কৃষকরা। গতকাল রবিবার দুপুরে প্রখর রোদের মধ্যেই আটটি মৌজা থেকে জমির ক্ষতিগ্রস্থ মালিক ও কৃষকরা খন্ড খন্ড মিছেল করে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ক্রসবাঁথ-৩ সংলগ্ন যমুনা নদীর তীর ঘেষা উদ্ধারকৃত বিস্তীর্ণ তপ্ত বালিচরে সমবেত হয় । সেখানে জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির সভাপতিত্বে দীর্ঘ মানবন্ধনে জমির ক্ষতিগ্রস্থ মালিক ও কৃষকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন,মজনুর রহমান,আব্দুর রাজ্জাক,সাবেক কমিশনার সেরাজুল ইসলাম,কৃষক নেতা আলী আহমদ,রফিকুল ইসলাম,রেজাউল ইসলাম। মানববন্ধন পরিচালনা করেন ক্ষতিগ্রস্থ জমির কৃষক সন্তান জামিউর রহমান উলাস। অনতিবিলম্বে জমির মুল্য পরিশোধ না করে কোন প্রকার কাজ শুরু করা হলে তার বিরুদ্ধে আরও কঠিন কর্মসূচী পালন করার হুশিয়ারি দেন বক্তারা। গত শুক্রবার একই স্থানে একই দাবীতে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে ছিলেন ক্ষতিগ্রস্থ আট মৌজার জমির মালিক ও কৃষকরা। উল্লেখ্য ৮টি মৌজার উদ্ধাকৃত ১ হাজার ৮২ একর জমির তিনগুণ মুল্য ১০ হাজার ২৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা পরিশোধের ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের নিকট চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড.ফারুক আহাম্মদ একটি সুপারিশ পত্র প্রেরণ করেছেন। এরই মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড উদ্ধারকৃত জমিতে কাটাতারের বেড়া নির্মাণ কাজের উদ্দ্যোগ নিলে জমির ক্ষতিগ্রস্থ মালিক-কৃষকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে একদিন বিরতী দিয়ে আজ দ্বিতীয় দিনের মতো এই মানবন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে।