সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলার মধ্যনগরে দুই সেতু কেবল মধ্যনগর নয়- পুরো সুনামগঞ্জ জেলার অর্থনীতিই বদলে দেবে। এ দুই সেতু সুনামগঞ্জ জেলা থেকে ঢাকার যোগাযোগ, বাণিজ্য, পর্যটনসহ অনেক ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখবে। সব মিলিয়ে এ দুই সেতু আসলেই মধ্যনগর উপজেলার মানুষের স্বপ্নের সেতু হয়ে উঠবে। উপজেলার মধ্যনগর বাজার ও পিঁপড়াকান্দার দূরত্ব প্রায় কয়েকশ মিটার। তবে মাঝখান দিয়ে উবদাখালী নদী বয়ে চলায় পারাপারের প্রধান মাধ্যম খেয়া। খেয়াঘাটে পৌঁছেই খেয়া পাওয়া গেলে ৫-৭ মিনিটে পৌঁছা যায় এপার থেকে ওপারে।
কিন্তু একবার খেয়া ওপারে চলে গেলে নতুন করে যাত্রী নিয়ে ফিরে আসতে সময় লাগে আধা ঘণ্টারও বেশি। নদীতে সেতু না থাকায় সুনামগঞ্জের মধ্যনগর -মহেষখলা সড়কের মধ্যবর্তী উবদাখালী নদী পার হতে গিয়ে জরুরি মুহূর্তে পথচারীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়, তেমনি এ সড়কের সুমেশ্বরী (কায়েতকান্দার পিছগাঙ্গা) নদীতেও সেতু না থাকায় সেখানেও খেয়া পার হতে গিয়ে পোহাতে হয় দুর্ভোগ। ফলে ওই দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সেতু নির্মাণের দাবি তোলেন উপজেলাবাসী। আর এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের প্রচেষ্টায় সেতু নির্মাণ প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ২০১৬ সালের ১০ জানুয়ারি অনুমোদিত হয়। বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুর নবী তালুকদার বলেন, সেতুগুলো উপজেলা সদরের সঙ্গে দূরত্ব কমিয়ে দিয়ে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও সহজ করে তুলবে।
কিন্তু সেতু নির্মাণ না হওয়ায় আমরা এখনো উপজেলা সদরে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাই। মধ্যনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি কুতুব উদ্দিন তালুকদার বলেন, সেতু দুটি জনদুর্ভোগ লাগবের পাশাপাশি উপজেলার অভ্যন্তরে যোগাযোগের ক্ষেত্রে মাইলফলক তৈরি করবে। কিন্তু নিমার্ন কাজের ধীর গতির কারণে সবাই দুর্ভোগের শিকার হচ্ছি। ধর্মপাশা ও মধ্যরগর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘সেতু দুটির নির্মাণ কাজ চলছে। আশা করছি খুব দ্রæত সময়ের মধ্যেই নির্মাণ কাজ শেষ হবে।’ সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বলেন, ‘মহাযজ্ঞে স্বপ্নের দুটি সেতু এখন নন্দিত বাস্তবতায় রূপ নিচ্ছে। সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হলে জাদুর ছোঁয়া লাগবে। দিন বদলের উন্নয়নের মহাসোপানে যুক্ত হবে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা, মধ্যনগর ও তাহিরপুর উপজেলায়। সেতু দুটির নির্মাণকাজ শেষ হলেই উদ্বোধন করে চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।’