জাফর ইকবাল, পাথরঘাটা, বরগুনা:
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার ৩ নং চরদুয়ানি ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ চরদুয়ানি গ্রামের মোঃ ধলু মিয়ার সৌদি প্রবাসী ছেলে মোঃ আল মামুনের ক্ষপ্পরে পড়ে একাধিক প্রবাসী পরিবার নিঃস্ব হওয়াসহ প্রবাসীর স্ত্রীকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়াগেছে। এঘটনায় একই উপজেলার চরদুয়ানি ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড জ্ঞানপাড়া গ্রামের মোঃ কুদ্দুছ বেপারীর সৌদি প্রবাস ফেরত ছেলে মোঃ মনির বেপারী আল মামুনসহ তিনজনকে আসামীকরে পাথরঘাটা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ভুক্তভুগী সুত্রে জানা গেছে ৫ বছর পুর্বে ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে ভিটাবাড়ি বিক্রিকরে উল্লেখিত সৌদি প্রবাসী আল মামুনের মাধ্যমে মনির বেপারী সৌদি আরব দেশে পাড়িজমান। মনির বেপারী সৌদি আরব গিয়ে আল মামুনের তত্তাবাধনে কাজ শুরু করেন। পরে আল মামুন কৌশলে কোনরকম খাবার টাকা দিয়ে বাকি টাকা নিজে মনিরের বাড়িতে পাঠিয়ে দিবে এবং মনিরের ভবিষ্যত গড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সকল টাকা নিজের ব্যাংক হিসাব নম্বরে রেখে মনিরের স্ত্রীর সাথে যোগাযোগের মাধ্যম তৈরী করে। এক পর্যায় আল মামুনের দৃষ্টিপড়ে মনিরের সুন্দরী স্ত্রীর উপর। পরে মনিরকে সৌদি আরবে বসে বিভিন্ন ভাবে জিম্মি করে তার স্ত্রীর কাছে মনিরকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে মনিরের স্ত্রীকে বাধ্যকরে আল মামুন দেশে এসে পাথরঘাটায় বাসা ভাড়া নিয়ে ওই বাসায় মনিরের স্ত্রীকে এনে শতাধিকবার ধর্ষণ করে।
একপর্যয় কৌশলে প্রাণ নিয়ে মনির দেশে এসে মামুনের বিরুদ্ধে ৪২ লক্ষ টাকা পাওনাসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে একটি মামলা দায়ের করেন। একই ভাবে অভিযোগ করেছেন একই ইউনিয়নের দক্ষিন জ্ঞানপাড়া গ্রামের মোঃ জামাল মিয়া ও মোঃ ইব্রাহীমসহ একাধিক ব্যক্তি। জানতে চাইলে মনির বেপারী বলেন, আমি ৫ বছর পুর্বে আল মামুনের ক্ষপ্পরে পড়ে সহায় সম্বল বিক্রি করে সৌদি আরব গিয়ে আল মামুনের কাজ করি। তিনি বলে আল মামুন সৌদি আরবের একটি কম্পানীর সুপারভাইজারের দায়েত্বে থাকায় আমি দীর্ঘ পাঁচ বছর পর্যন্ত তার আওয়তায় কাজ করি।
পরে তিনি আমাকে প্রতি মাসের বেতন থেকে মাত্র কিছু টাকা দিয়ে বাকি টাকা দিয়ে দেশের বাড়িতে আমাকে বড়ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করে দেওয়ার কথাবলে সকল টাকা নিজের ব্যাংক হিসাব নম্বরে জমা রাখে এবং আমার স্ত্রীর সাথে সে ফোনে যোগাযোগকরে আমার ৪২ লক্ষ টাকা আত্মসাতকরাসহ আমাকে বিদেশীদের মাধ্যমে মেরে ফেলার হুমকী দিয়ে আমার স্ত্রীকে বাধ্যকরে মামুন দেশে এসে পাথারঘাটায় বাসা বাড়া নিয়ে সেখানে আমার স্ত্রীকে রেখে একমাসেরও বেশীদিন ধর্ষণ করে। মনির বলেন, মামুন আমার ৪২ লক্ষ টাকা আত্মনাতকরাসহ ফাঁদে ফেলে আমার স্ত্রীকে সে ভোগ করছে, তাই আমি আমার টাকা ফেরত পাওয়াসহ বিচার চাই।