নিজস্ব প্রতিবেদক, পিরোজপুর
সোমবার দুপুরে একই সাথে ৫টি মামলার শুনানি চলাকালে দু’পক্ষের আইজীবীদের যুক্তিতর্ক একপর্যায়ে বাকবিতন্ডায় রুপ নিলে পিরোজপুর বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু জাফর মো. নোমান আদালত মূলতবি ঘোষনা করেন। তিনি কিছুক্ষন পর আবার আদালত এজলাসে আসেন এবং দু’পক্ষের কেবল মাত্র তিন জন করে আইজীবীর উপস্থিতিতে শুনানীর করার সিদ্ধান্ত দেন। এসময় আদালত তখন অর্ধ শত আইনজীবী সহ বিজ্ঞ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খান মো. আলাউদ্দিন উপস্থিত থাকায় তাকে নিরপক্ষ হিসেবে দু’পক্ষের মাঝে সহযোগিতার করার জন্য আসামী পক্ষের আইনজীবী মো. দেলোয়ার হোসেন অনুরোধ করেন।
কিন্তু বিজ্ঞ আদালত তাকে সহ অন্য সব আইনজীবীকে আদালত কক্ষ ত্যাগ করার জন্য বললে পিপি সহ আইজীবীগন প্রতিবাদে ফেটে পরে পরে আদালত ত্যাগ করে বেড়িয়ে যান, যা আন্দোলনে রুপ নেয়। এঅবস্থায় বাধ্য হয়ে আদালত আবারও মূলতবি ঘোষনা করেন। আইনজীবীগন ফের শুনানির করার শিদ্ধান্ত নিলে আধাঘন্টা পর আদালত আবারও শুরু হলে সি.আর. মামলা নং-২৮৯/২১, ২৯২/২১, ২৯৩/২১, ২৯৯/২১ এবং ৪৪০/২১ ধারা: ৪০৬/৪২০ দ. বি. এর দীর্ঘ শুনানীর শেষে সকল মামলার ৩ নং আসামী বিশিষ্ট ওয়াজীরীয়ান মাওলানা হাফিজুর রহমান কুয়াকাটা হুজুরকে ১০ হাজার টাকা বন্ডে আদালত ¯’ায়ী জামীন মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, দেশের আলোচিত এহসান গ্রæপের কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ এর ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামী হাফিজুর রহমান কুয়াকাটা হুজুর উচ্চ আদালত থেকে ৪২ দিনের আগাম জামিন শেষে পিরোজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল আমলী আদালতে হাজির হলে আদালত ২৪ জুলাই জামিন শুনানীর দিন ধার্য্য করেন। ২৪ জুলাই শুনানীর শেষে অধিকতর শুনানির জন্য ২৫ জুলাই ধার্য্য করে আদালত মুলতবি ঘোষনা করেণ। সোমবার ২টায় শুনানী শুরু হলে তুমুল বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। প্রতারনা ও জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রাহকদের থেকে ১৭ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া অভিযোগে এহসান গ্রæপের চেয়ারম্যান রাগিব আহসান তার ভাইয়দের সহ বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে প্রায় ৩৪টি মামলা হয়েছে।সে সময় আদালত রাগিব আহসান তার ভাইয়দেও জেল হাজতে প্রেরন করে তাদের স্থাবর অস্থাবর সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে জেলা প্রশাসকের আওতায় রাখার নির্দেশ দেয়।