শিকদার শামীম আলমামুন, মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জের বেশকিছু ইটভাটা নিয়মনীতি উপেক্ষা করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই চলছে, চলতি মৌসুমে এসব ইটভাটায় কাঠ পোড়ানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন মালিক পক্ষ। উচ্চ আদালত, জেলা প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে কয়লা পোড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হলেও সদর উপজেলার আট্রিগ্রাম ইউনিয়নের কেটিসি অটো ইটভাটায় পুড়ানো হচ্ছে কাঠ। ওই ভাটায় রয়েছে কাঠের স্তূপ। সরেজমিন কাঠ পোড়ানো প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে ওই ভাটায়। জানা যায়, ওই ইটভাটা নির্মাণের প্রথম ধাপে মানা হয় নাই ন্যূনতম নীতিমালা। কৃষি জমি বিনষ্ট ও নিরীহদের জমি দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে ভাটাটি। আবার যত্রতত্র বসতবাড়ি এবং আশপাশে রয়েছে তিন ফসলি কৃষি জমি।
ওই ইটভাটার মালিক স্থানীয় প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি হওয়ায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করেন অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগীরা বলেন, ২০১৩ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণাললের ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইনের’ সিকিভাগও মানছেন না ওই ভাটার মালিক। সরেজমিন দেখা গেছে, সদর উপজেলার জনবসতি এলাকায় গড়ে তুলেছে ইটভাটা। নেই কোনো কয়লা। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ট্রাকযোগে কাঠ এনে স্তূপ করছে ওই ভাটায়। ইতিমধ্যে ওই ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো শুরু করেছে। ভুক্তভোগীরা বলেন, এই ভাটার মালিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে জনবসতি এলাকায় ইটভাটা তৈরি করেছে। এলাকার কৃষি জমি ধ্বংস করে মাটি কেটে ফসলি জমি শেষ করে দিচ্ছে। কয়লার পরিবর্তে পুড়াচ্ছে কাঠ। এসব কাঠ পুড়ানোর কারণে কালো ধোয়ায় কৃষি জমিতে আবাদি ফসল ক্ষতি হচ্ছে।
আবার পরিবেশ মারাত্বক ভাবে হুমকিতে রয়েছে। তাদের পরিবহনের কারণে চলাচলকারী সড়ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এপ্রসঙ্গে কেটিসি ইটভাটার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফিরোজ আলম জানান, আমাদের অটো ভাটায় কাঠ পুড়ানো কোন সিস্টেম নাই। সরকারি নিয়ম মেনে ইটের গুনগত মান ভালো করার জন্য কিছু কাঠ পুড়ানো হয়। আর বাকি কাঠ রান্না করার কাজে ব্যবহার হয়। এব্যাপারে মানিকগঞ্জ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক নুর আলম বলেন, কোন ভাটায় কাঠ পুড়ানোর নিয়ম নেই। যদি নিয়ম বহিভুর্ত ভাবে কয়লার পরিবর্তে ওই ভাটায় কাঠ পুড়ানো হয় তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ বলেন, পরিবেশ আইন অমান্য করার কোন সুযোগ নেই। যদি নিয়ম বর্হিভুর্ত ভাবে কাঠ পুড়িয়ে থাকে তাহলে খোজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।