জামালপুর প্রতিনিধিঃ
জামালপুরের বকশীগঞ্জে একটি সেতুর সংযোগ সড়ক ধসে যাওয়ার ৯ বছর পরও মেরামত করা হয়নি। এতে চরম দুর্ভেোগ পোহাতে হচ্ছে উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের ১০ গ্রামের মানুষকে।
জানা গেছে, ৯ বছর আগে উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের খেতারচর এলাকায় শিঙি ডোবা নদীর সংযোগ খালের ওপর নির্মিত সেতুটির একপাশের সংযোগ সড়ক বন্যায় বিলীন হয়ে যায়। এরপর থেকে খানপাড়া, মোল্লাপাড়া, ঠাঠারুপাড়া, মসজিদপাড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ধাতুয়াকান্দা এবং ঝালুরচর পশ্চিম পাড়াসহ ১০ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগে পড়ে।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় সেতু দিয়ে চলাচলকারী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে। সাধুরপাড়া নজরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়, আলহাজ্ব কছর উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসা, সাধুরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং দক্ষিণ ধাতুয়াকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন এই বিপজ্জনক পথেই বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে হয়। এছাড়া সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ ও উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতেও এই সাঁকোই একমাত্র অবলম্বন।
সরেজমিন দেখা যায়, সেতুর সংযোগস্থলের একটি বড় অংশ ধসে যাওয়ায় কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারে না। ধসে যাওয়া অংশের ওপর একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দেওয়া হয়েছে, যা দিয়ে পথচারীরা ঝুঁকি নিয়ে সেতুতে ওঠানামা করছেন। নড়বড়ে এই সাঁকোটি যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে বলে পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। দিনে কষ্ট করে চলাচল করা গেলেও রাতে এই পথে যাতায়াত প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
ধাতুয়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘দীর্ঘ ৯ বছরেও এই সেতুর সংযোগ সড়কটি মেরামত না হওয়াটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলা।
এতে আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই।’ওই পথে চলাচলকারী শিক্ষার্থী আশামণি বলেন, ‘বাঁশের পাটাতনের ওই সাঁকো দিয়ে সেতুতে উঠতে খুবই ভয় করে। তবু ভয়কে জয় করেই প্রতিদিন স্কুলে যেতে হয়।’
সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেন, এই সেতুর সংযোগ সড়ক স্থাপনের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। আশা করছি, চলতি বছরেই কাজটি বাস্তবায়িত হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) হাবিবুর রহমান সুমন বলেন, ‘মানুষের চলাচলের সুবিধার জন্য সেখানে টিআর প্রকল্পের মাধ্যমে একটি বিকল্প সাঁকোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। চলতি বছরেই ওই স্থানে বড় আকারের একটি নতুন সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’