অনলাইন ডেস্ক:
ঈদের আগের দিন ঘরেফেরা মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সড়কে। রাস্তায় নামা বিপদগ্রস্ত যাত্রীদের মধ্যে পদ্মা সেতু দিয়ে যারা দক্ষিণবঙ্গে যাচ্ছেন তারা কিছুটা স্বস্তি পেলেও উত্তরের মানুষের কপালে যেন দুর্ভোগের শেষ নেই। গত কয়কদিন ধরে উত্তরবঙ্গের সড়কে যানজটের পাশাপাশি ট্রেনেও ভোগান্তিও রয়েছে।
উত্তরবঙ্গের যাত্রীদের অভিযোগ, চট্টগ্রাম-সিলেটের ট্রেন দ্রুত চলে গেলেও আমাদের কপালে রয়েছে ভোগান্তি। রাত ১০টার আগে স্টেশনে এসে সারারাত বসে কাটিয়ে বেলা ১১টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। স্টেশনমাস্টার প্রথমে বলেছিলেন সকাল ৬টায়, তারপর ৯টায় কিন্তু ৯টার পরও ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’ আসেনি।
একই অবস্থা ছিল দ্রুতযান এক্সপ্রেসেরও। এই ট্রেন রাত ৮টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও আজ সকাল ৬টায় ছেড়ে গেছে। এরপর ‘একতা এক্সপ্রেস’ সকাল ১০টা ১০ মিনিটে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি ঢাকাতেই আসে সকাল সাড়ে ১০টায়।
তিন বছর আগে দেশের দীর্ঘতম পঞ্চগড়-ঢাকা রেলপথে চালু হয় বিরতিহীন ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’। উদ্বোধনের দিন স্থানীয়দের ব্যাপক উল্লাস করতে দেখা গেলেও তিন বছর পর এসে ঈদযাত্রায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। তাদের অভিযোগ, রাত পৌনে ১১টার ট্রেন সকাল ১০টায় না আসলে ঈদের নামাজ পড়বো কীভাবে। আমাদের ওই স্টেশনে পৌঁছাতেই ১২ ঘণ্টা সময় লাগে।