কোরবানির চামড়ার মূল্য বৃদ্ধি এবং এতিমদের হক আদায়ের উদ্দেশ্যে সরকারের পক্ষ থেকে দেশের এতিমখানা,মসজিদ ও মাদ্রাসাসমূহে ৩০ হাজার মেট্রিকটন লবন সরবারহ করে। সে ধারাবাহিকতায় ধানমন্ডির ঐতিহ্যবাহী তাকওয়া মসজিদ ১২ টন লবন বরাদ্দ পায়।
ঈদের দিন দুপুর হতেই এলাকায় কোরবাণির পশুর চামড়া তাকওয়া মসজিদে জড়ো করতে থাকেন স্বেচ্ছাসেবকরা। প্রথমে পানি দিয়ে পরিস্কার করতে কাজ শুরু করেন একদল স্বেচ্ছাসেবক। আরেক দল চামড়ায় থেকে লেগে থাকা মাংস ও রক্ত পরিস্কার করে লবন ছাড়িয়ে দিতে থাকেন। একটু উচু জায়গায় চামড়াগুলো উল্টোকরে স্তুপ করে রাখেন তারা।
ধানমন্ডি তাকওয়া মসজিদ কমিটির এসিট্যান্ট সেক্রেটারি হাসান সহিদ সিদ্দিকী এবছর কোরবাণির পশুর চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণের কথা তুলে ধরেন প্রতিবেদকের কাছে।
তিনি বলেন, তাকওয়া মসজিদে প্রায় ৪০ বছর ধরে নামাজ আদায় করি। চামড়া সংরক্ষণের বিষয়ে বিগত দিনে কমিটিকে বলেও কাজ হয়নি। এবার কমিটিতে কাজ করছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, যখন দেখলাম সরকার এবছর বিনামূল্যে লবন সরবারহ করবে তাই সিদ্ধান্ত নিলাম চামড়া সংরক্ষণ করে উপযুক্ত দাম পেলে তারপর বিক্রি করবো। সে অনুযায়ী সরকার থেকে ১২ টন লবন বরাদ্দ পেয়েছি।সেগুলো দিয়ে আমরা আটশ সত্তর পিস গরু ও ছয়শ পিস ছাগলের চামড়া ট্যানারী স্টান্ডার্ডে সংরক্ষণ করতে পেরেছি। এতে প্রায় একশ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করেছে। আমরা আরো দুই- তিন পর এটা বিক্রি করবো। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন,যেহেতু চামড়াগুলো সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে এগুলো সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামেই বিক্রি করতে পারবো।