নিজস্ব প্রতিবেদক :
নবাবগঞ্জে খৃষ্টান সম্প্রদায়ের লোকজনদের জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে ভুমিদস্যু জাহাঙ্গীর গংদের বিরুদ্ধে। জানাযায় নবাবগঞ্জের গোল্লা ইউনিয়নের নবগ্রামে খ্রিষ্টান স¤প্রদায়ের জমি খরিদা বায়নার নামে জবর দখলের পায়তারা করছেন স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার আকল ও আওয়ামী দোসর নীল কমল ,আওয়ামী সুবিধা ভোগী ভূমিদস্যু হাসান কাজী, সেন্টু গংরা।
জানাযায়,জমির মালিক, জোসেফ, ডেভিট গমেজ, গং পিতাঃ মাইকেল গমেজ (জোত নং ১২৭০ নামজারী ও জমাভাগ – ৭৫৫/১৭-১৮, তারিখ: ২৬/১১/২০১৭ ইং মুলে ভোগ দখলে আছেন। যাহার জে এল নং. সি. এস. ৯৮. এস.এ. ৮৬, আর এস ৭৪নং-২নং খতিয়ান নং ২৬৭, আর এস ২১১, খারিজ ১০৩১, খতিয়ান ভূক্ত হয় যাহার (জোত ১২৭০) দাগ আর এস ২২৪, ২২৫, ২২৫, ৫৬৩, ৫৭৪.৬৩৫,৬৬২,৫৯১ নং দাগে নাল জমির পরিমান (১০০-৬০) শতাংশ উক্ত জমিটিকে জবর দখল করতে প্রথমে জাহাঙ্গীর গংরা জমিটি মালিক পক্ষ থেকে ১১ লক্ষ টাকা দাম নির্ধারণ করে ৫লক্ষ টাকা বায়না প্রদান করেন। যাহার সময় সীমা ছিল ৬ মাস সাল ২০২৩ ইং। আওয়ামী দোসর সুবিধা ভোগী চক্রটি ৫লক্ষ টাকা দিয়ে বায়না শেষে বায়নার নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হলেও বাকী টাকা নাদিয়ে জোর পূর্বক ওই জমি দখল করে নেয়।
৫ই আগষ্টের পর মালিক পক্ষ একাধিক বার ওই জমি ফেরৎ চাইলেও ভূমিদস্যু-ও জবর দখলকারী সন্ত্রাসীরা টাকা / জমি দিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং বিভিন্ন হুমকি প্রদান করে এ বিষয়ে জমির মালিক পক্ষ তাদের খ্রিষ্টান স¤প্রদায়ের সাথে আলাপ আলোচনা করে অন্য কোথাও জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত দেন যেহেতু তাদের চিকিৎসা সেবা ও পারিবারিক অর্থের জরুরী প্রয়োজন তাই বর্তমানে সোহরাব হোসেন অপু এবং সুমন গমেজকে জমিটি বিক্রির প্রস্তাব করিলে উভয় পক্ষ আলাপ আলোচনা সাপেক্ষে ক্রেতাগণ সোহরাব হোসেন অপু ও সুমন গমেজ ক্রয়ের জন্য গত ১২ অক্টোবর জমিটির বর্তমান বাজার মূল্য ১৬, ০০০০০/- (ষোল লক্ষ) টাকা দাম ধার্য্য করে নগদ ৫০০০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা দিয়ে ৩০০ (তিনশত টাকা) নন জুডিশিয়াল স্টাম্পে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয় পক্ষ উপস্থিত স্বাক্ষী গণের সম্মুখে সহি সম্পাদন করেন। জমিটি বিক্রির পর মালিক পক্ষ একাধিকবার জবর দখল কারী ভূমিদস্য আওয়ামী দোসর ও সুবিধা ভোগী চক্রের সদস্য জাহাঙ্গীর, হাসান কাজী, আকল মেম্বার, নীল কমলকে ফেরৎ দিতে অনুরোধ করলেও তারা সম্মত হয়নি বরং মালিক পক্ষ সংখ্যালঘু খ্রিষ্টানদেরসহ বর্তমানে ক্রেতা মালিকদের প্রতিনিয়ত হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
ভূমিদস্যু চক্রটি গত ২৭ অক্টোবর নবাবগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসে মালিক পক্ষের দুইজনকে ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে জমিটি লিখে নেওয়ার চেষ্টা কালে ভাগিনা সুমন গমেজ বাধা প্রাদান কালে চক্রের সদস্যরা তার উপরে হামলার চেষ্টা করে। হামলার বিষয়ে নাবাবগঞ্জ থানায় উপস্থিত হয়ে সম্পদের মালিক ডেভীড গমেজ এবং ভাগিনা সুমন গমেজ ১টি সাধারন ডাইরী করেন যাহার নং-১৩১৮,তারিখ-২৭/১০/২০২৫। এই চক্রের ভয়ে জমির মালিক ও ক্রেতা মালিকগণ আতংকে দিন যাপন করছেন। চক্রটির বিষয়ে একাধিক ব্যক্তির সাথে আলাপ কালে তারা বলেন এদের কাজই হচ্ছে ভূমিদস্যুতা, জবর দখলও, প্রতারনা করা। মেয়াদ উত্তীর্ণ বায়নার মালিক ও হামলার পরিকল্পনায় অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরের সাথে মুঠো ফোনে আলাপ কালে তিনি বলেন আমার বায়নার সময় নাই সত্য কথা কিন্তু আমাকে জমি দিতে হবে জমি না দিলে আমি দেখে নিব বলে হুমকি দিয়ে ফোন কেটে দেয়। আকল মেম্মার বলেন আমি আমার বাসায় বিচার করেছি ১টি রায়ও হয়েছে কেউ না মানায় জমিটি আমার হেফাজতে রেখেছি। হাসান কাজী বলেন ভাই জাহাঙ্গীর ও আকল মেম্বার ও নীল কমল আমাকে ডেকেছে তাই আমি গিয়েছি তবে আমিও চাই বিষয়টি সুরাহা হয়ে গেলে আমার ও ভালো লাগবে, নীল কমল একই কথা বলেন। এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার এসআই অপূর্ব সাহা বলেন ডেভীড গমেজ বাদী হয়ে থানায় ১টি সাধারন ডাইরী করেছেন বিষয়টি তদন্তের প্রক্রিয়াধীন তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। #