নাসির ও আনিস কাজীর বাহিনীরা হিন্দু পরিবারকে হুমকি

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন
Advertisement

পিরোজপুর থেকে ফিরে রবিউল ইসলাম:

গত  ০৫ আগষ্টের স্বরূপকাঠি উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির একাংশ বেপরোয়া। চাঁদাবাজি সহ দখল বানিজ্য, শালিসি বানিজ্য, থানার দালালী থেকে শুরু করে সকল বেআইনী কাজকর্ম করে চরম বিতর্কিত হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে। আর সেই অভিযোগের তীর উপজেলার বিএনপির নেতা নাসির তালুকদারের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি পৌর বিএনপির নেতা মোঃ কাজী আনিসুজ্জামানও রয়েছে বিতর্কিতদের তালিকায়। অবশ্য গত পনের বছরের ক্ষুধা মিটিয়ে নিচ্ছে বিএনপির নীতি আদর্শ উপেক্ষা করে। তবে এটাও সত্য এই দুই নেতা বিগত সময়ে দারুণ পরিক্ষিত। নিঃসন্দেহে স্থানীয় রাজনীতির মাঠে বিগত সময়ে দারুণ সক্রিয় ছিল। অথচ বর্তমানে সবকিছু বেমালুম ভুলে গিয়ে অর্থের মোহে পড়েছেন। কড়ি কড়ি টাকা ইনকামের গুরুত্বপূর্ণ মিশনে রয়েছে বলে সুশীল সমাজের লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন।

নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির ত্যাগী নেতা কর্মীরা গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, ” আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে ঠান্ডা মাথায় দুধ কলার বুদ্ধি নিয়ে বিএনপিকে হেয়প্রতিপন্ন করার গুরুত্বপূর্ণ মিশনে তালুকদার ও কাজী আনিসুজ্জামান গংরা”। বিগত সময়ে পৌরসভার সাবেক মেয়রের সাথে দহরমমহরম ছিল নাসির তালুকদারের। গত ০৫ আগষ্টের পর পরই জিএম কবিরের সকল ঠিকাদারি কাজগুলো নাসির তালুকদার, কাজী আনিসুজ্জামান সর্বশেষ হোসেন এন্ড ব্রাদার্সের লাইসেন্স নিয়ে কাজ করে স্বরূপকাঠি উপজেলার বিএনপির নেতা মোঃ নাসির তালুকদার। বর্তমান সময়ে এই দুই নেতা সবকিছুর টেন্ডার নেয় বলে দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সহ ত্যাগী নেতা কর্মীরা। আর সেই সূত্র ধরেই স্বরূপকাঠি পৌরসভার মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে চরম বিতর্কিত হয় নাসির তালুকদার ও কাজী আনিসুজ্জামান গংরা। গত রমজানে (২২-০৩-২৫) দুই হিন্দু সম্প্রদায়ের জায়গা জমির বিরোধ চলে আসছিল স্বরূপকাঠি পৌরসভার মধ্যে । শান্তির পরিবেশকে অশান্তি করতে পৌর বিএনপির ও উপজেলা বিএনপির দুই নেতা টেন্ডার নেয় বিতর্কিত জায়গায় ঘর তুলে দেওয়ার। আর সেই সূত্র ধরেই বিএনপির নাম ব্যাবহার করে উভয় নেতা মোটা অঙ্কের বানিজ্য করে বলে অভিযোগ উঠেছে।

দুই হিন্দু সম্প্রদায়ের জায়গা জমির বিরোধ চলে আসছিল বহু দিন ধরে। বিএনপির একাংশকে ভিলেন হিসেবে দাঁড় করিয়েছের স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির মাঠে। সুকৌশল প্রদীপ দেবনাথ স্বরূপকাঠি উপজেলা ও পৌর দুই নেতার সঙ্গে চুক্তি করেন বিরোধ পূর্ণ জায়গায় ঘর তুলে দেওয়ার। এব্যাপারে স্বরূপকাঠি উপজেলার বহু শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সমগ্র বিষয়টি শুনে নিন্দা জ্ঞাপন করেন। প্রদীপের সাথে কন্টাক্ট করে বসতবাড়ি দখলের। কোন কিছু হিসাব নিকাশ না করে প্রদীপের মিষ্টি কথায় বেমালুম ভুলে গিয়ে অন্যের বৈধ বসতবাড়ি দখলের জন্য প্রায় একশো মাস্তান ভাড়া করেন। আর সেই সূত্র ধরেই  হিন্দু সম্প্রদায়ের ভদ্রলোক বাবু মুকুল সাদকের বৈধ সম্পত্তি দখলের কন্টাক্ট দেয়।

নাম না প্রকাশের শর্তে পৌরসভার শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সহ সাধারণ কর্মীরাও তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন। গত ০৫ আগষ্টের পর পরই পৌর বিএনপির দুই নেতা তারেক রহমানের নির্দেশনা অমান্য করে বেআইনী টেন্ডার  বানিজ্য করারও গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি শালিসি বানিজ্য করে হয়েছে চরম বিতর্কিত।দলের নীতিমালা উপেক্ষা করে যাচ্ছে যত্রতত্র ভাবে। বি এন পির আদর্শ  উপেক্ষা করে বৈধ সম্পত্তির মালিক বাবু মুকুল সাদককে হেনস্তা করার মিশনে ছিল। বেআইনী ভাবে তার গুন্ডা বাহিনী দিয়ে  অবৈধ ভাবে দখল বানিজ্যও করার মহা প্ল্যান করে পৌর সভার একাংশের নেতারা । অভিযোগ উঠেছে গত ০৫ আগষ্টের পর পরই পৌর বি এন পির নেতা বাজারের নেতৃত্ব নিয়েও কঠিন দাম্ভিকতা দেখায়। বেআইনী ভাবে রাজনৈতিক শক্তি ব্যাবহার করে যাখুশি তাই করে যাচ্ছে যত্রতত্র ভাবে। নাম না প্রকাশের শর্তে পৌর বি এন পি ও উপজেলা বিএনপির শীর্ষ  বহু ত্যাগী নেতারা বলেন, ” বিএনপি এখনো ক্ষমতায় আসেনি অথচ চাঁদা বাজি, লুটপাট, দখল বানিজ্য সহ শালিসি বানিজ্য, হিন্দুদের বৈধ সম্পত্তির উপর অনাধিকার চর্চা করতে কুন্ঠা বোধ করেননি “।  এহেনও নেতাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা  ভালো  থাকা সত্বেও অবৈধ  টাকার মোহে বেআইনি কাজকর্ম করে যাচ্ছে সুকৌশল। এব্যাপারে সুশীল সমাজের শীর্ষ নেতৃবৃন্দরা বলেন, গত রমজান মাসে দুই হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরোধ নিয়ে একজন হিন্দুর পক্ষে বেআইনী দখলে যাওয়া ঠিক হয়নি।  প্রদীপ দেবনাথ ও বাবু মুকুল সাদক গত তের বছর আগে জমি ক্রয় করেন। বৈধ সম্পত্তির সাড়ে সাত শতাংশের মালিক বাবু মুকুল সাদক। গত আওয়ামী লীগের সময়ে কাপড় ব্যাবসায়ী প্রদীপ দেবনাথ কোন ধরনের টু-টা শব্দ করেননি। অথচ গত ৫ আগষ্টের পর পরই কিছু কিছু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন সহ আওয়ামী লীগের বেশীরভাগ শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সহ সাধারণ কর্মীরা বিএনপির একাংশকে  বিতর্কিত করার গুরুত্বপূর্ণ মিশনে রয়েছে।  আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সহ হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু কিছু   লোকজনও চায় বি এন পির  অধঃপতন ।আর সেই কারণে  শেখ হাসিনার পেতাত্তা নির্ভর নোংরা রাজনীতি করার গভীর ষড়যন্ত্রের ঝাল বুনেছে এখনো। গোপনে কিংবা ভদ্রতার মুখোশ পরে ঠান্ডা মাথায় প্রতিটি ওয়ার্ডের মধ্যে কুট কৌশলী রাজনীতি করে যাচ্ছে যত্রতত্র ভাবে।

এদিকে ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে সরে জমিনে যাওয়া গণ মাধ্যম কর্মীরা সমগ্র বিষয়টি নিয়ে সঠিক তথ্য উদঘাটন করার চেষ্টা করেন। সূত্র জানায়, স্থানীয় পৌর  বি এন পির  নেতা কাজী আনিসুজ্জামান হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন ভদ্রলোকের বৈধ অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য  সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার টেন্ডার নেয় বলে জানান। গত ২২ মার্চ মাসের ২২ তারিখে  সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন দিয়ে বৈধ সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করার মিশনে ছিল সন্ত্রাসী বাহিনীরা।স্থানীয় সূত্র জানায় এহেনও নেতার নির্দেশনা অনুযায়ী  প্রায় একশো লোকজন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার মিশনে ছিল।পাশাপাশি গত পরশু নাসির তালুকদারের ছোট ভাই মোঃ জুয়েল তালুকদার ও বিদেশ ফেরত মোঃ রুভেল সন্ত্রাসী কায়দায় হিন্দু সম্প্রদায়ের দর্জি দোকান মালিককে হুমকি ধুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ফিল্ম স্টাইলে নাসির তালুকদারের ছোট ভাই প্রকাশ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের দোকানদার মুকুল সাদক ও তার ছেলেকে হত্যার হুমকি দিতে দ্বিধা বোধ করেননি। বরিশাল বিভাগের সাংবাদিকদের সাক্ষাৎ দেন কাজী আনিসুজ্জামান ও নাসির তালুকদারের বিরুদ্ধে। নেছারাবাদ থানায় বসে ওসির রুমে বসে থ্রেট সহ হত্যার হুমকি দেওয়ার কথা বলেন।আর সেই কারণে গত পরশু কয়েক দফায় মারধর সহ হত্যার হুমকি দেয়। অথচ বি এন পি রাজনীতির  নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন ভদ্রলোকের জায়গায় ঘর তোলার মিশনে যায়। বাবু মুকুল সাদক গত প্রায় তের বছর পূর্বে জায়গা ক্রয় করেন সরকারি নিয়ম নীতি অনুযায়ী। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী গত ১২-১২/২০১২ তারিখে জায়গার দলিল করেন। জমির পরিমাণ হল দুই দাগে সারে সাত শতাংশ।

সরেজমিনে যাওয়া গণ মাধ্যম কর্মীরা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।সন্ত্রাসীরা মুকুল সাদকের বৈধ সম্পত্তির উপর বেআইনি ভাবে কাঠের ঘর তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেন।পাশাপাশি গত পরশুর ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে সত্যত পাওয়া যায়।

ঠান্ডা মাথায় বিএনপির একাংশকে ব্যাবহার করে মুকুল সাদকের বৈধ সম্পত্তিতে ভোগ দখলে জোর জুলুম চালায়। ঘটনার সময়ে বাদীর সহধর্মিণী ও তার সন্তানের তীব্র প্রতিবাদে সন্ত্রাসীরা পিছু হাটে। পরবর্তী সময়ে বাদী আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। ফৌজদারি কার্যবিধি১৪৫ ধারায় মামলা করেন বাদী মুকুল সাদক। নালিশী তপশীল বর্ণিত ভূমিতে শান্তি – শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ওসি নেছারাবাদকে আদেশ দেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে বাদীর পরিবার গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন আমি বৈধ সম্পত্তির মালিক। রাষ্ট্রের আইন কানুন মেনে চলে বৈধ সম্পত্তি ক্রয় করি। অথচ বিবাদী প্রদীপ দেবনাথ  গত ২২/০৩/২৫ তারিখে বিএনপির দুই  একজন নেতাকে ব্যাবহার করেন।এঁরাই আবারও থানায় বসে হত্যার হুমকি ধুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেন। আর সেই কথা মিডিয়ায় মাধ্যমে ফাঁস হওয়ার পর পরই গত পরশু আমার দোকানে এসে আমাকে মারধরের চেষ্টা করে। বিএনপির নেতাদের নির্দেশনা অনুযায়ী আমার জায়গার উপর কাঠের ঘর স্থাপন করতে আসেন প্রায় একশো মাস্তান।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী নেছারাবাদ থানা সমগ্র বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন। গত ২২-০৩-২৫ তারিখের ঘটনার সত্যতা রয়েছে। থানায় বসেও তর্ক বিতর্ক হয়েছে। গত পরশু দোকানে গিয়ে হুমকি ধুমকির কথাও গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন। অবশ্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা হয়েছে ১৪৪ ধারা অনুযায়ী। বর্তমানে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রয়েছে বলে জানান।বর্তমানে গত পরশুর ঘটনা নিয়ে কিছুটা থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। ট্রিপল ৯৯৯ এ কল পাওয়ার পর পরই আমরা বাদী মুকুল সাদককে থানা হেফাজতে নিয়ে আসছ । বর্তমান সময়ে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Advertisement

Contact with your
Creative & Technology Partner

Advertisement