নোয়াখালীতে ভিক্ষুক পুনবার্সনের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন
Advertisement

সানজিদা হক অনু (নোয়াখালী):

ভিক্ষুক পুনবার্সনের অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠে আসে কবির হাট উপজেলা সমাজ সেবা অফিসের বিরুদ্ধে । সেই সূত্র ধরে অনুসন্ধানে নামে জনবাণীর পত্রিকার ডিজিটাল নোয়াখালীর প্রতিনিধি মোহাম্মদ শহিদ। অনুসন্ধানের উঠে আসে ভিক্ষুক পুনবার্সনে ব্যাপক অনিয়ম দুনীর্তির তথ্য উঠে আসে । সেবাপ্রার্থী ৯০ শতাংশ মানুষই বিভিন্ন ভাবে হয়রানি শিকার হয় এই অফিসে কর্মকর্তা ও কর্মাচারীদের হাতে ।
ভিক্ষুক পুনর্বাসন শুধুমাত্র আর্থিক সাহায্যই নয়, বরং একটি সামগ্রিক প্রক্রিয়া যা ভিক্ষুকদের দারিদ্র্য ও বঞ্চনা থেকে মুক্ত করে সমাজে তাদের একটি মর্যাদাপূর্ণ স্থান করে দিতে সাহায্য করে। এই লক্ষ কে বাস্তবায়ন করতে সরকার ২০১০ সাল থেকে ভিক্ষাবৃত্তির মত সামাজিক ব্যধিকে চিরতরে নির্মূল করতে।

ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য সরকারের রাজস্ব খাতের অর্থায়নে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ‘‘ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থানের কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন ।সরকার প্রতি বছর ভিক্ষুক পুনবার্সনের জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিলে আজ ও কি এই সমাজে সত্যিকারের ভিক্ষুকদের পুনবার্সন হচ্ছে। নাকি সাধু বেশে খ্যাতিমান ভিক্ষুকদের পেটে যাচ্ছে এই টাকা । কবির হাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ডের বাড়ি ভিক্ষুক রহিমা খাতুনের। দীর্ঘ এক যুগ ধরে ভিক্ষা করে জীবন জীবিকা পার করছেন তিনি। রহিমা খাতুনের নেই মাথা গোঁজার মত ঠাঁই। ঘরের টিনের চাল মরিচা ধরে জরাজীর্ণ হয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে ভিতরে,চারপাশের বেড়া ও দরজা-জানালাগুলো ভাঙাচোরা। বৃষ্টির পানি ঠেকাতে দেওয়া হয়েছে পলিথিন তবুও পানি পড়ে ঘরের ভিতর। জরাজীর্ণ ও বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে রহিমা খাতুনের বসত ঘরটি। রহিমা খাতুন গত দুই বছর ধরে কবির হাট উপজেলা সমাজ সেবা অফিসে একাধিক বার আসার পর ও ভিক্ষুক রহিমা খাতুনকে সমাজ সেবা অফিস থেকে কোন প্রকার সহযোগিতা করা হয় নি। কখনো কখনো না খেয়ে দিন পার করতে হচ্চে রহিমা খাতুন কে। রহিমা খাতুনের মত কবির হাট উপজেলা একাধিক ভিক্ষুকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কবির হাট উপজেলা সমাজ সেবা অফিস থেকে ভিক্ষুক পুনাবার্সনের বরাদ্দ থেকে কোন প্রকার সহযোগিতা পাই নি তারা । তাহলে কবির হাট উপজেলা ভিক্ষুক পুনবার্সনের বরাদ্দের টাকা কাদের পেটে যাচ্চে। ভিক্ষুক নির্মূল তো দুর কথা, দিন দিন বেড়ে চলছে কবির হাট উপজেলায় ভিক্ষুকের সংখ্যা

এ বিষয়ে ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের মেম্বার সুমন বলেন আমার এলাকায় ৭ জন ভিক্ষুকদের তালিকা সমাজ সেবা অফিসে দিয়েছি একাধিক বার যোগাযোগ করার পর ও তাদেরকে পুনবাসন করা হয়নি।
এ বিষয়ে কবির হাট উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার হাফিজ রহমান এর কাছে ভিক্ষুক পুনবাসনের তথ্য জানতে চাইলে সঠিক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে তাৎক্ষণিক সমাজ সেবা অফিসের সুপারভাইজার ইব্রাহিম খলিল এ প্রতিবেদকের ওপড় চড়াও হন। সাংবাদিকের সাথে অসদাচরণ করেন তিনি। সুপারভাইজার ইব্রাহিম খলিল বলেন, এই ভাবে তথ্য চাওয়ার অধিকার আপনার নেই। একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে ভিক্ষুক পুনর্বাসনের বরাদ্দকে তার পার্সোনাল বরাদ্দ হিসেবে দাবি করেন সমাজ সেবা অফিসের সুপারভাইজার ইব্রাহিম খলিল। শুধু তাই নয় ইব্রাাহিম খলিল এই অফিসে যোগদান করার পর থেকে তার বিরুদ্দে রয়েছে একাধিক অভিযোগ, সেবা প্রার্থীদের দুর্ব্যবহার সহ একাধিক অভিযোগ তার বিরুদ্দে।
এ ঘটনায় দু:খ প্রকাশ করেছেন কবির হাট উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার হাফিজ রহমান। তিনি বলেন সুপার ভাইজার এই ভাবে ব্যবহার করা ঠিক হয় নি। ঘটনায়দুঃখ প্রকাশ করেছেন কবির হাট উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার সানজিয়া ইসলাম জুঁই । তবুও এ বিষয়ে প্রশ্নই থেকে যায় ভিক্ষুক পুনবার্সনের বরাদ্দ টাকা কিভাবে একজন সমাজ সেবা অফিসের সুপারভাইজারে পার্সোনাল বরাদ্দ হিসেবে দাবি করেন।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন
Advertisement

দৈনিক আমাদের কণ্ঠ