প্রাথমিকের শিশুদের শিক্ষিত করে তোলা আমাদের দায়িত্ব‌ – প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন
Advertisement

রফিকুল ইসলাম

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, প্রাইমারি এডুকেশনের ক্ষেত্রে আমাদের মূল টার্গেট হলো-শিশুদের সাক্ষর করে তোলা। যেন তারা নিজের ভাষাটা লিখতে পারে, নিজের ভাষায় পড়তে পারে, নিজের ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে। গণিত ও বিজ্ঞান, এই দুটি বিষয়ে শিশুদের তৈরি করতে হবে। একটি হলো লিটারেসি, আরেকটি হলো নিউমারেসি বা গাণিতিক ভাষা। শিশুরা যেন পড়তে পারে, শিখতে পারে আর গাণিতিক বিষয়টি জানতে পারে, সংখ্যা কি? অংক কি? যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগ করতে পারে। আমরা যদি প্রাইমারি শিশুদের জন্য মিনিমাম এটুকু করতে পারি- তাহলে মনে করব আমাদের  শিশুদের জন্য অনেক কাজ করলাম।

উপদেষ্টা আজ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকল্পে জেলা প্রশাসন এবং প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুস সামাদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক ইমামুল ইসলামসহ প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা। উপদেষ্টা বলেন, আমাদের বাংলাদেশে

বর্তমানে যে পরিবর্তনটা হলো। সেটি হলো -জুলাই অভ্যুত্থান। এখানে সবচেয়ে বেশি শোনা গেছে বৈষম্যহীনতার কথা। আমাদের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষাব্যবস্থা খুব একটা ভালো না। অর্থবিত্তশালীদের সন্তানরা ভালো স্কুলে চলে যান । প্রাথমিকে শুধু মধ্যবিত্ত নিম্নমধ্যবিত্ত ঘরের সন্তানরা যায়। এভাবে শুরুতেই শিক্ষায় সামাজিক বৈষম্য তৈরি করছে এবং স্থায়ী করছে। ফলে আমরা যদি সামাজিক বৈষম্য কমাতে চাই-তাহলে আমাদের কাজ হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষাকে শক্তিশালী করা। তাহলে সমাজের মধ্যবিত্ত নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তানরা সক্ষম হয়ে উঠবে এবং সামাজিক বৈষম্য কমবে। প্রাথমিকের শিশুদের শিক্ষিত করে তোলা, সাক্ষর করে তোলা আমাদের সকলের দায়িত্ব‌ । আমাদের শ্রমিকরা বিদেশে যাচ্ছে, পরিশ্রম করছে, কিন্তু দক্ষতার কারণে তারা কম আয় করছে। অন্য সব দেশের দক্ষ শ্রমিকরা বেশি ইনকাম করছে । ফল আমাদের দেশের মধ্যবিত্ত নিম্নমধ্যবিত্ত ঘরের একজন সন্তান যদি সুশিক্ষিত হয়ে ওঠে, সে যদি শ্রমের কাজও করে এবং সে এমন শ্রমের কাজ করবে যা তাকে হায়ার সোসাইটিতে নিয়ে যাবে। সেজন্য শিক্ষার কোন বিকল্প নাই। প্রাথমিক শিক্ষায় গন্ডগোল থাকলে উচ্চশিক্ষায় কখনো ভালো করতে পারে না। ডিগ্রী অর্জন করতে পারবে কিন্তু ভালো কিছু করতে পারবে না। সেজন্য আমি সংশ্লিষ্ট সকলের  প্রতি  আহবান জানাচ্ছি- দায়িত্ব নিয়ে শিশুদের লেখাপড়ায় আরো মনোযোগী হয়ে কাজ করবেন।

তিনি আরো বলেন, শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশে খেলা, সঙ্গীত, চিত্রকলা চর্চা ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। শিশুদের মধ্যে অন্যের প্রতি দায় ও দায়িত্ববোধ তৈরি করতে পারলে তাদের পরিপূর্ণ বিকাশ সাধন হবে।

উপদেষ্টা পরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Advertisement

Contact with your
Creative & Technology Partner

Advertisement