ফেসবুকে ড.ইউনুসকে হত্যার হুমকি, আদালতে মামলা 

এস এম আলমগীর হোসেন, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ

প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মো. ইউনুসকে আমেরিকার দালাল বলে ফেসবুকে কমেন্ট ও হত্যার হুমকি দেয়ায় বিজ্ঞ সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট আশীষ রায় এর আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। বিজ্ঞ সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট কলাপাড়া থানার ওসিকে মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বাদী হাসান মাহমুদ মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন আসামী মো. মাসুম বিল্লাহ (৪০) বাংলাদেশ রেলওয়ের একজন কর্মচারী। বাংলাদেশের বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মোঃ ইউনুস দেশের আঠারো কোটি মানুষের কাছে অত্যন্ত সম্মানিত ও শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি বটে। দেশ বিদেশে তাহার সুনাম খ্যাতি রয়েছে। তিনি বাংলাদেশের গর্ব আমাদের অহংকার

ঘটনার তারিখ ২রা মে ২০২৪ নিজ ফেসবুক আইডি হাসান মাহমুদ ডঃ মোঃ ইউনুস সাহেব কোর্টে একটি মামলায় হাজিরা শেষে কোর্টের বাহিরে আসিলে বিভিন্ন পত্রিকা ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ তাহাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করলে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের সন্তোষ জনক উত্তর প্রদান করেন। এই বিষয়টি সময় টিভি ও বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও ঢাকা নিউজ একটি ভিডিও পোষ্ট করেন। উক্ত ভিডিও পোষ্টের সাথে সাথে অনেক দর্শক শেয়ার ও কমেন্টস করেন। তখন আসামী উক্ত ভিডিওতে শেয়ার ও কমেন্ট করে বলেন “আপনাকে দেখে মনে হয় আমেরিকার দালাল”। উক্ত কমেন্টস এ আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরন হয়। অতঃপর আসামী এলাকায় বসে ডঃ মোঃ ইউনুস সাহেবকে সুদখোর, ইহুদি পশ্চিমা দালাল বলে স্বাক্ষীগনের মোকাবেলা মানহানি মূলক উক্তি প্রকাশ করে। সর্বপরি আসামী ডঃ ইউনুসকে একাকি পাইলে গুলি করিয়া হত্যা করার হুমকি দেয়।

আসামীর উদ্যাত্ব পূর্ণ ভাষায় বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী সকলের প্রান প্রিয় মানুষ ডঃ মোঃ ইউনুসের মানহানি করিয়াছে। দেশ বিদেশে ফেস বুকে তাহার কমেন্টস প্রকাশিত হওয়ায় বাংলাদেশের ভাবমর্তী ক্ষুন্ন করিয়াছে। আসামী ইলেকট্রিক্স মিডিয়ায় ও ফেইসবুক আইডিতে এহেন মানহানিকর অপদস্ত মূলক আচরনে ও হত্যার হুমকি দেওয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ ধারা ও দঃ বিঃ ৩০৭/৪৯৯/৫০৬(৪) ধারার অপরাধ করেছে।

এ ব্যপার কলাপাড়া থানার ওসি মো আলী আহম্মদ বলেন, আদালতের কাগজ হাতে পাইনি। অর্ডারের কাগজ হাতে পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *