আমাদের কণ্ঠ ডেস্কঃ
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের ব্যাবহার ও জনপ্রিয়তা। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এর অপব্যবহারও। বাড়ছে ফেক অ্যাকাউন্টের সংখ্যাও। ফলে বিভ্রান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এর অপব্যবহারের কারনে বিপদেও পড়ছেন অনেকেই। যদিও এ বিষয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তার মত কঠোর আইন করা হয়েছে তবুও এসব আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিভ্রান্তিকর সব অপপ্রচার।
নামে-বেনামে কিংবা বন্ধুসুলভ কথার ছলে বিভিন্ন অভিযোগের মাধ্যমে জানাযায়, সারাদেশে বিভিন্ন নামে বেনামে অসংখ্য ফেসবুক ফেক আইডি রয়েছে।
এসব ফেক আইডিগুলো নানা রকম উস্কানিমূলক তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করছে প্রতি নিয়ত। বিশেষ করে আমাদের দেশের রাজনীতির এহেন পরিস্থিতিতে আমাদের বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি কিংবা রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের বক্তব্য নিয়ে যেভাবে উলঙ্গ নৃত্যে মেতে উঠেছে এসব অপপ্রচার কারিরা এতেকরে হতাশা প্রকাশ করেছে দেশের সুশীল সমাজ। এতেই ক্ষান্ত হয়নি, মিডিয়া পাড়ার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও মিডিয়ার ব্যক্তিবর্গ থেকে শুরু করে তারা বিভিন্ন ব্যবসায়ী,চাকুরীজিবী কিংবা সাংবাদিক পর্যন্ত সকলের নামে বিভ্রান্ত মূলক তথ্য ছড়িয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে সমান তালে। এতেকরে বিভ্রান্তিতে পড়ছে দেশের সাধারণ মানুষ। কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা এ দেখে বুঝে উঠতে পারছেন না অনেকেই। আবার এসব আইডিগুলি বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে তথ্য ছড়িয়ে ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের অর্থ দাবি করছে রীতিমতো । এই সমস্ত ফেক আইডির কবল থেকে রেহাই পেতে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের স্মরণাপন্ন হয়েও রেহাই পাচ্ছেন না অনেকেই। অনেকে আবার এ ধরনের অপপ্রচার ও মিথ্যাকে রীতিমত হয়রানির কথাও উল্লেখ করেছেন। এ নিয়ে কেউ কেউ সংবাদ সম্মেলন করছেন। কেউ আবার আইনের দ্বারস্থ হচ্ছেন কিন্তু তারপরও আইনের তোয়াক্কা না করেই, নির্ধিয়ায় চালাচ্ছে এসব বেনামি আইডিগুলি।এসব বিষয়ে লক্ষ রেখে অবশ্য ব্যবহারকারীদের জন্য ফেসবুক আইডি খোলার নিয়মে কিছুটা বাড়তি বাধ্যবাধকতা এনেছে ফেসবুক কতৃপক্ষ। তারপরও মানছে না কেউ।
সম্প্রতি এ নিয়ে আমাদের কণ্ঠে অভিযোগ করেছেন পিরোজপুর জেলাধীন ভান্ডাড়িয়া উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মিরাজুল ইসলাম বর্তমানে দুবাই প্রবাসী।

তিনি বলেন, কে বা কাহারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আমার ছবি ব্যবহার করে আমার নামে ভুয়া (ফেক) আইডি খুলে বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জড়িয়ে নানা অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। যেখানে তারেক রহমান ও বেনজির ভুট্টোর ছবিও সংযোজন করা হয়েছে।
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টাদের ও কতিপয় বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতাদের কার্টুন ছবি বানিয়ে ব্যঙ্গাত্মক পোষ্ট করেন। বাংলাদেশ দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী প্রধান এর ছবি ব্যবহার অশ্লীল কথা লিখে পোষ্ট করেন।এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে অশ্লীল লেখা পোষ্ট করে।
যাহা আমার দৃষ্টিগোচর হলে রীতিমত আমি হতভম্ব হয়ে যাই এবং আমি এর প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানাই। তাই তিনি অতি শীঘ্রই এসব ফেক আইডির ব্যবহারকারীদের ধরে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। অন্যদিকে সাধারণ ফেসবুক ব্যবহারকারীরা বলছেন, অতি দ্রুত এসব ফেক আইডির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে ফেসবুকের প্রতি অনীহা চলে আসবে। সঠিক তথ্য থেকে বঞ্চিত হবে সাধারণ মানুষ।