মোঃআবু কাওছার মিঠু ,রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীরপ্রতীক বলেছেন, এবারের বন্যায় ৬০লক্ষ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। তাতে খাদ্যের ঘাটতি হয়েছে প্রচুর। এ কারনে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর দামও কিছুটা বেড়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অপরিকল্পিত নগরায়ণ হয়েছে। ৬০ থেকে ৭৫ উপজেলার ৫০ভাগ মানুষ অতি দারিদ্রতার নিচে বসবাস করছে। তাদের প্রোটিনের অভাবে রয়েছে। তারা ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বঞ্চিতদের দ্রæততম সময়ের মধ্যে তুলে আনতে প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) ভূমিকম্প ও অন্যান্য দুর্যোগকালে অনুসন্ধান, উদ্ধার অভিযান পরিচালনা এবং জরুরি যোগাযোগের জন্য যন্ত্রপাতি সংগ্রহ প্রকল্প(তৃতীয় পর্যায়) এর আওতায় ক্রয়কৃত এরিয়াল প্লাটফর্ম ল্যাডার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক রূপগঞ্জের পূর্বাচলের মাল্টিপার্পাস ট্রেনিং গ্রাউন্ড, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেশিন টুলস্ ফ্যাক্টরী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ নাহিদ আসগর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ কামরুল হাসান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ফারুক ই আজম বীরপ্রতীক আরো বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য প্রাথমিকভাবে প্রশিক্ষিত কর্মীবাহিনী সৃষ্টি করা হবে। উপক‚লীয় অঞ্চলে স্বেচ্ছাসেবী ও গণমানুষকে সম্পৃক্ত করে উদ্ধার কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। পানি নিষ্কাশনের জন্য নদী-নালা, খাল খনন করা হবে। বাঁধ শক্ত করে মেরামত ও কালভার্ট নির্মাণ করে জনদুর্ভোগ দূর করা হবে। ঘূর্ণিঝড় ও বজ্রপাতের আগাম খবরের জন্য জাপান থেকে প্রযুক্তি গ্রহণ করা হবে। ফায়ার সার্ভিসকে আধুনিকায়ণ করা হবে। জনবল সৃষ্টি করে সকল ঘাটতি পূরণ ও প্রতিবন্ধকতা দূর করা হবে। দুর্যোগ মোকাবেলায় আগামীতে আরো উন্নয়ন করতে নিজস্ব প্রযুক্তি ও দক্ষ্য বিশেষজ্ঞ তৈরি করা করা হবে। ভুমিকম্পে বড় ধরণের দুর্যোগ হলে তা মোকাবেলা করতে কি কি দুর্বলতা আছে তা চিহ্নিত করে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। দেশের দুর্যোগ মোকাবেলায় উপকূলীয় ব্যবস্থাপনা আন্তর্জাতিক ভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
পরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ভূমিকম্প ও অন্যান্য দুর্যোগে অনুসন্ধান উদ্ধার অভিযানের জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরকে ১১টি এরিয়াল প্লাটফর্ম ল্যাডার অত্যাধুনিক গাড়ির চাবি হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৫জানুয়ারি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ প্রকল্প অনুমোদিত হয়। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬কোটি ৮৯লক্ষ টাকা। প্রকল্পটির মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ২২৭৫ দশমিক ৯৯১০ কোটি টাকা। মূলধন ব্যয় ২১১১ দশমিক ৭৮ কোটি টাকা।