বরগুনা প্রতিনিধি:
এলজিইডির তত্বাবধানে বরগুনা সদর উপজেলার সুজার খেয়াঘাট খাকদন নদীর ওপর ব্রীজের নির্মাণ কাজের সময়সীমা এক বছর বেঁধে দেয়া হলেও আড়াই বছরেও তা শেষ হয়নি। অসমাপ্ত ব্রীজের কাজ দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় চরম ভোগান্তিতে কয়েক হাজার মানুষ।
২০২১ সালে বরগুনার সুজার খেয়াঘাট খাকদন নদীর ওপর ৭২ মিটার গার্ডার ব্রীজ নির্মাণ কাজের দরপত্র আহবান করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। ৭ কোটি ৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে পটুয়াখালীর মেসার্স আবুল কালাম আজাদের লাইসেন্স এর মাধ্যমে কাজটি করার অনুমতি পায় বরগুনার ঠিকাদার মো: ছগির। এদিকে ৩ কোটি ৭০ লাখ ৬ হাজার টাকার বিল তুলে নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার মো: ছগির। কিছুদিন পূর্বে মাঝখানের গার্ডার ঢালাইয়ে নিম্ন মানের কাঠ ব্যবহার করায় ষ্টীল সাটার ধ্বসে পড়ে।
শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রীজের স্প্যানের উপরে বাঁধাই গুনাসহ সমস্ত রডে মরিচা ধরে গেছে। এই ব্রীজ পাড় হলেই দক্ষিণ পাড়ে বরগুনা জেলা শহর। প্রতিদিন বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের যাতায়াত এই ব্রীজ দিয়ে। ব্রীজ নির্মানে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে পারাপারের জন্য যে তক্তা বিছিয়ে দেয়া হয়েছে তা মরন ফাঁদ। বৃষ্টিতে তক্তা ভিজে পিচ্ছিল থাকায় অনেক শিশু শিক্ষার্থীরা পা পিছলে প্রতিনিয়ত আহত হন। এছাড়া জোয়ারে তক্তা পানিতে তলিয়ে গেলে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছেন না। এর ফলে লেখাপড়া চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন একাধিক শিক্ষার্থীরা।
জেলা এলজিইডি সূত্রানুযায়ী, বরগুনা জেলায় ঠিকাদার ছগিরের ৯ টি ব্রীজের কাজ ৩-৪ বছর পর্যন্ত অসমাপ্ত রয়েছে। এ সকল ব্রীজগুলোর কাজ তিনি বিভিন্ন ঠিকাদারের লাইসেন্সের মাধ্যমে পেয়েছেন।
ঠিকাদার ছগির হোসেন জানান, আগামী ২ মাসের মধ্যে ব্রীজের কাজ শেষ হবে। ব্রীজের অ্যাপ্রোচের স্থানে কয়েকটি দোকান ঘড় রয়েছে সেটা অপসারন করতে হবে। বরগুনায় ২৩ টি অসমাপ্ত ব্রীজের মধ্যে তার ৬ টি বলে তিনি স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান খান বলেন, জেলায় ২৬ টি ব্রীজের ২৩ টি ব্রীজের কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। সকল ঠিকাদারকে জরুরীভিত্তিতে কাজের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্দেশমত কাজ না হলে, কাজ বাতিলের প্রক্রিয়া চলমান আছে।