মোঃ আসাদুজ্জামান(বরগুনা):
তিনটি সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে বরগুনায় সর্বস্তরের নাগরিকবৃন্দের আয়োজনে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার বেলা ১১টায় বরগুনা পৌরমার্কেট চত্বরে আয়োজিত সমাবেশ ও মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বরগুনায় তিনটি সংসদীয় আসন পুনর্বহাল না হলে জেলার মানুষ উন্নয়নবঞ্চিত হবে।
বরগুনা জেলা বিএনপি নেতা এডভোকেট মুরাদ খানের সভাপতিত্বে আয়োজিত জনসমাবেশ ও মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট সোহেল হাফিজ, বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক গোলাম হায়দার স্বপন, সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন মিরাজ, সিনিয়র সহ-সভাপতি জাফর হোসেন হাওলাদার, প্রিন্ট মিডিয়া সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি হাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ রেজাউল ইসলাম টিটু, সাংবাদিক মোশাররফ হোসেন, ঢলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা কামাল টিটু, জেলা জাতীয় তাবাদী মহিলা দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শারমিন সুলতানা আসমা, জেলা জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা আরো বলেন, বিগত ওয়ান ইলেভেনের সরকার একটা পক্ষকে রাজনৈতিক সুবিধা দেয়ার মানসে বরগুনার তিনটি আসনকে হীন স্বার্থ চরিতার্থের অপপ্রয়াস হিসেবে দুটি আসন করে। বরগুনার ভৌগলিক অবস্থান, জনসংখ্যা ও আয়তন ইত্যাদি ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ী অবশ্যই বরগুনায় তিনটি আসন থাকার কথা কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত একটা চক্র তিনটি আসন থেকে দুটি আসন করে বরগুনার মানুষকে উন্নয়ন বঞ্চিত করে।
বক্তারা বর্তমান সরকারের নিকট জোর দাবি করে বলেন, বরগুনার তিনটি আসন বহাল না করলে বড় ধরনের আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহণ করতে অঞ্চলের মানুষ বাধ্য হবে।
জানা গেছে, বরগুনা জেলার আয়তন ১ হাজার ৮৩১ দশমিক ৩১ বর্গকিলোমিটার। ছয়টি উপজেলা নিয়ে জেলার জনসংখ্যা প্রায় ১২ লাখ ৫০ হাজার। স্বাধীনতার পর থেকে বরগুনা জেলায় তিনটি আসন ছিল। বরগুনা সদর ও বেতাগী উপজেলা নিয়ে বরগুনা-১, পাথরঘাটা ও বামনা নিয়ে বরগুনা-২ এবং আমতলী ও তালতলী উপজেলা নিয়ে বরগুনা-৩ আসন গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু ২০০৮ সালের ১০ জুলাই তৎকালীন ১/ ১১ সরকার সমর্থিত নির্বাচন কমিশন ক্ষমতার অপব্যবহার করে আওয়ামী লীগকে সুবিধা দিতে পরিকল্পিতভাবে বরগুনা জেলার তিনটি সংসদীয় আসনকে ভেঙে দুটি সংসদীয় আসনে বিন্যস্ত করে। নতুন করে বরগুনা সদর, আমতলী ও তালতলী নিয়ে বরগুনা-১ এবং পাথরঘাটা, বেতাগী ও বামনা নিয়ে বরগুনা-২ আসন গঠন করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, এতে জেলার মানুষ উন্নয়নবঞ্চিত হয়।
গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন আসন পুনর্বহাল না করে খসড়া গেজেট প্রকাশ করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ১০ আগস্ট বরগুনা জেলার ১৩০ জন তিনটি আসন ফেরানোর দাবিতে আপিল করেন। আগামীকাল (২৫ আগস্ট) ওই আপিলের শুনানির দিন ধার্য করেছে নির্বাচন কমিশন।