ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শ্রমিকদলের ৯ দফা দাবি নিয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত

সোহেল আহাদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:

 

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয়তাবাদী জেলা শ্রমিকদলের রিকশা ও ভ্যান শাখার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।  শনিবার (১২ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় শহরের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুছ মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত সমাবেশে হেজবুল বারী’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক জননেতা ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল।

 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন।  আলোচনার শুরুতে শ্রমিকদলের নেতারা ৯ দফা দাবি উত্থাপন করেন।

 

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ১,  ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় প্রকৃত রিকশা ও ভ্যান মালিক/শ্রমিকদেরকে লাইসেন্স দেওয়া হয় নাই। পৌর কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব লোকদেরকে একাধিক লাইসেন্স দিয়ে অধিক মূল্যে বিক্রয় করে লক্ষ লক্ষ টাকা বাট-বণ্টন করে নিজেদের ভাগ্য উন্নয়ন করেছে। যাহা সম্পূর্ণ বে-আইনী, অবৈধভাবে করা হয়েছে। অনতি বিলম্বে ঐ সমস্ত অবৈধভাবে দেওয়া লাইসেন্সগুলো বাতিল করে অতিসত্ত্বর প্রকৃত রিকশার মালিক ও শ্রমিকদেরকে সমতার ভিত্তিতে বণ্টন করে দেয়ার দাবি করেন ২, রিকশা শ্রমিকদের কল্যাণ তহবিলে ব্যাপক দূর্নীতির মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে, যা আমাদের কাম্য নয় ৩, প্রকৃত রিকশায় ও ভ্যান শ্রমিকদের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে কমিটি গঠন করে আইনানুগভাবে তাহা বন্টনের ব্যবস্থা করা, ৪, শ্রমিক মৃত ভাতা নিতে মৃত শ্রমিকের পরিবার পরিজনকে অযথা হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। এই ধরনের হেনস্তা বন্ধ করা, ৫,  শ্রমিক মৃত ভাতা বর্তমানে ধার্যকৃত ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকার পরিবর্তে ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা করা, ৬, পৌরসভার ফান্ড থেকে আহত ও অসহায় রিকশা ও ভ্যান শ্রমিকদের চিকিৎসা ভাতার ব্যবস্থা করা, ৭, পৌর কর্তৃপক্ষ রিকশার পূর্ব নির্ধারিত রিকশা ম্যান্ডগুলো দখল মুক্ত করে রিকশা স্ট্যান্ড হিসাবে ব্যবহারে সুযোগ করে দেয়া, ৮, শহর জানজট নিরশনের পক্ষে মেড্ডা তিতাস পাড় শহর রক্ষা বাঁধ সংস্কার করে কাউতলী পর্যন্ত বাইপাস রাস্তার মাধ্যমে ভারী যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করা। জেলা যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভারী যানবাহন শহরে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার ব্যবস্থা করা ও ৯, নির্দেশনা ট্রাফিক সেকশনকে অবশ্যই কঠোরভাবে তা পালন করার দাবি করেন।

 

প্রধান অতিথি ইঞ্জিনিয়ার শ্যামল বলেন, বিগত ১৬ বছর রিকশা শ্রমিকদের ওপর আওয়ামী লীগ তার দোসররা যে অত্যাচার করা হয়েছে তা আর করতে দেয়া হবেনা।  আওয়ামীলীগ সরকার সারা দেশে লুটপাটের রাজনীতি কায়েম করেছিল।  যার খেসারত সাধারণ শ্রমিকরা দিতে হয়েছে।

 

তিনি আরো বলেন, রিকশা লাইসেন্স নিয়ে যে বাণিজ্য করেছে আওয়ামী লীগ তার পুরোটাই ভোগান্তিতে ভুগতে হয়েছে সাধারণ রিকশা শ্রমিক।  শহরের বুকে অযাচিতভাবে উড়াল সড়ক নির্মাণ করে শহরকে নাকাবন্দী করে ফেলেছে তারা।  আমরা জনগণের বিষয়গুলো উপলব্ধি করেছি।   সাধারণ মানুষ কিভাবে উপকৃত আমরা সে বিষয়ে পরিকল্পনা করে এগোচ্ছি।  জনগণের রায় হবে আসল রায়।

 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এড. শফিকুল ইসলাম, এড. গোলাম সারোয়ার খোকন, যুগ্ম সম্পাদক এবিএম মমিনুল হক, এড. তরিকুল ইসলাম রোমা, আলী আজম, এড. আনিসুর রহমান মঞ্জু, পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন রিপন, সাবেক আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম, বিএনপি নেতা আলী আজম, মাঈনুল হক, নজরুল ইসলাম, মাঈনুল ইসলাম চপল।পৌর বিএনপির সভাপতি নজির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মাহমুদ, যুবদল নেতা আতিকুল হক জালাল, রাশেদুল হক, রাশেদ কবির আকন্দ, নিয়ামুল হক, আশিকুল ইসলাম সুমন, পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ইয়াছিন মিয়া, জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক ফুজায়েল চৌধুরী, আজহার উদ্দিন চৌধুরী দিদার, সোহাগ মিয়া, মামুন মিয়া, যুবনেতা সাঈদ হাসান সানি, মোকারম হোসেন আদি, রাশেদ সওদাগর, কামরুল, মহিবুর রহমান ডিকন।  জেলা ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক সাজিদুর রহমান, রেদওয়ান হক শিশ, শাহাদত হোসেন হৃদয় প্রমুখ।  এছাড়া জেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ শ্রমিকদলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্হিত ছিলেন।  অনুুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *