ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পাওয়ার অব ইউনিটি টেপটেনিস ক্রিকেট ফাইনালে সোনারগাঁও উপজেলা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।১৬ নভেম্বর শনিবার দুপুরে স্থানীয় অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বডিং মাঠে টেপটেনিস ক্রিকেট ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পাওয়ার অব ইউনিটি টেপটেনিস ক্রিকেট গত ৭ অক্টোবর দেশের ৩২টি উপজেলা থেকে বিভিন্ন দল অংশগ্রহণ করেছে। ১৫ ওভারের টেপটেনিস ক্রিকেট ফাইনালে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা অংশগ্রহণ করে।
খেলার শুরুতে সোনারগাঁও উপজেলা টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৪ ওভারে সব কয়টি উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। সোনারগাঁও উপজেলা ১৬০ রানের উদ্দেশ্যে মাঠে নেমে ১৪.২ বলে ৫ উইকেট হারিয়ে জয় হাতে তুলে নেয়। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পাওয়ার অব ইউনিটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি সৈয়দ তৈমুরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকা বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ খেলোয়ারদের মাঝে ট্রফি ও প্রাইজ মানি তুলে দেন। চ্যাম্পিয়ন দলকে চল্লিশ হাজার টাকা ও রানার্সআপ দলকে বিশ হাজার টাকা প্রাইজ মানি দেয়া হয়।
সৈয়দ তৈমুরের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খেলাধূলা করার জন্য উন্মুক্ত মাঠ দাবির প্রেক্ষিতে খেলায় আগত প্রধান অতিথি বলেন, তরুণ সমাজ খেলাধূলায় জড়িত থাকলে পাশের ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মাদক ব্যবসা কমে যাবে। তাই তরুণদের খেলাধূলা হতে বিরত রাখা হয়েছিল। বিগত অবৈধ সরকার লুটতরাজের বাজেট পেয়েছে। তারা কোন খেলার মাঠ তৈরি করেনি, বরং যে মাঠগুলো ছিল সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আরো অনেকগুলো খেলার মাঠ করে দিব। খেলায় আম্পায়ারিং করেন এ আর আশিক ও প্রসেনজিৎ দাস। খেলার ধারাভাষ্যকার ছিলেন সোহেল রানা। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, জেলা বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলী আজ্জম, মাইনুল হোসেন চপল, নিয়ামুল হক, আঙ্গুর হোসেন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, জেলা যুবদলের সভাপতি মো. শামীম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মাহমুদ, সহ-সভাপতি রাশেদুল হক ও রাশেদ কবীর আখন্দ, সদর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক জিয়াউল আহসান প্রমুখ।