আমাদের কন্ঠ ডেস্কঃ
বরগুনার পাথরঘাটার ১ নং রায়হানপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মৃত্যু মেছের আলী হাওলাদার এর ছেলে মোঃ আবদুল বারেক হাওলাদার এর বিরুদ্ধে ভুয়া মুক্তিযুদ্ধা সনদ দিয়ে দুই সন্তানকে সরকারি চাকুরি দেওয়াসহ অবৈধ পন্থায় শত কোটি টাকার মালিক হওয়ার অভিযোগসহ ব্যাপক দুর্নীতির পাওয়া গেছে।
এঘটনায় একই ইউনিয়নের মোঃ ইব্রাহিম এর ছেলে মোঃ ইয়াছিন ও আবদুস ছোবাহানের ছেলে মোঃ ইউসুফ এবং আলতাফ এর ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান সহ একাধিক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, উল্লেখিত বারেক ভুয়া মুক্তিযুদ্ধা সনদ দিয়ে নিজের এক মেয়েকে মুক্তিযুদ্ধের কোঠায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চাকুরি ও এক ছেলেকে পরোরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চাকুরী দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের আমলে ক্ষমতা দেখিয়ে দীর্ঘ ১৬ বছর যাবৎ উল্লেখিত ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি, টাকার জোরে তিনবার ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায় , বারেক হাওলাদারের মুক্তিযুদ্ধের সনদ ব্যবহার করে যেন আলাদীনের চেরাগ হাতে পেয়েছেন। তিনি কয়েক বছরের মধ্যে অন্তঃত একশ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।যানা গেছে উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের লেমুয়া বাজারে তার তিনটি দোকান রয়েছেন যার মুল্য ৬০ লাখ টাকা, খুলনা পৌর সভায় দুটি বাড়ি যার মুল্য ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা,পাথরঘাটা উপজেলার নাচনাপাড়া মানিক খালি বাজারে তিনটি ভিটি যার মুল্য ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা,ঢাকায় একটি বাড়ি যার মুল্য ৫ কোটি টাকা, নিজ এলাকায় চাষকৃত দানাজমি যার মুল্য প্রায় ১২ কোটি টাকা,জুগির হুলা নামক বাজারে ৩ টি ভিটি যার মুল্য ৩৫ লাখ টাকা, নিজসহ তার পরিবারের ব্যাংক এ্যাকাউন্টে জমা ৬৫/ ৭০ কোটি টাকা, এরকম আরো নাজানা তার অনেক ধন সম্পদ রয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, ইউপি সদস বারেক হাওলাদার প্রভাব খাটিয়ে রায়হানপুর ইউনিয়নের জুগিরহুলা নামক স্থানের কয়েক একর জমির একটি সরকারি খাল বেআইনি ভাবে দখল করে আসছে।এছড়া সাধারণ মানুষের জন্য সরাসরি সকল বরাদ্দের মালমাল পেতে তাকে বিপুল পরিমান ঘুষ দিতে হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
এলকাবাসী বলেন, যে বারেক হাওলাদারের এক সময় উল্লেখযোগ্য কিছুই ছিলনা সেই বারেক হাওলাদার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে নিজে মুক্তিযুদ্ধা সেজে নিজ ছেলে মেয়েকে মুক্তিযুদ্ধের কোঠায় চাকুরি দেওয়া সহ বিভিন্ন ভাবে অন্তঃত একশ কোটি টাকার। তারা বলেন ইউপি সদস্য বারেক হাওলাদার এত সম্পদের উৎস কি কোথা থেকে তিনি এত টাকার মালিক হলেন এটা সরকারের ক্ষতিয়ে দেখা উচিৎ।
জানতে চাইলে পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউনিয়ন কমান্ডার বীর মুক্তিযুদ্ধা শহিদুল ইসলাম তালুকদার বলেন, বারেক হাওলাদার ভুয়া মুক্তিযুদ্ধা। বারেক হাওলাদার মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করার কোন তথ্য আমার কাছে নাই। তিনি বলেন বারেক হাওলাদার মুক্তিযুদ্ধার পরিচয় দিয়ে অঢেল সম্পাদের মালিক হয়েদছেন, তিনি বলেন এব্যাপারে কর্তৃপক্ষের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিৎ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আবদুল বারেক হাওলাদার বলেন, আমি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা না আমার মুক্তিযোদ্ধার সনদ আছে। এলাকার লোকজন আমার নামে মিথ্যা কথা বলছে বিশেষ করে ইউসুফ মেম্বার ও তার সাথের ২জন লোক এই মিথ্যা কথা ছড়াচ্ছে। আপনারা তদন্ত করে দেখতে পারেন।আমার ২ সন্তান সরকারি চাকুরি করে। মেয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ও ছেলে পরোরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চাকুরি করে । তাছাড়া আমার তেমন কোনো জমিজামা নেই যা করেছি ব্যবসা বাণিজ্য করে করেছি।আমার ৬/৭টা ব্যংক একাউন্ড আছে তেমন কোনো টাকা পয়সা নেই।