মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় গভীর রাতে জোরপূর্বক দোকান ঘর ও বসত বাড়ি দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পরের দিন সকালে সেনাবাহিনী ও পুলিশের হস্তক্ষেপে উদ্ধার হয় ওই বাড়িটি। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মঠবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয় সংবাদ সম্মেলেনে ভুক্তভোগী পরিবার এ অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে উপজেলার নিজামীয়া ঘোপখালী গ্রামের মৃত. জাকির হোসেন এর স্ত্রী তাসলিমা বেগম বলেন, তার স্বামীর পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া মঠবাড়িয়া মৌজার জে এল নং ২১, খতিয়ান নং ২৩,২৪,৭৪, দাগ নং ১০৫৩, ১০৫৪, ১০৫৬ এর ৭.৯৩ শতাংশ জমিতে বসত ঘর উত্তোলন করিয়া স্ব-পরিবারে দীর্ঘ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু মঠবাড়িয়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দা মৃত নুর মোহাম্মদ জমদ্দারের ছেলে মুছা খোকন এ সম্পত্তি জোর করে দখল করে নেয়াার পাঁয়তারা চালিয়ে আসছিলো। সম্প্রতি উপজেলা বিএনপি সদস্য সচিব আবু বকর সিদ্দিক বাদল জমি সংক্রান্ত বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য তাকে মুঠোফোনে ফোন দেন। প্রতিপক্ষ মুছা খোকন ও আবু বকর সিদ্দিক আপন চাচাতো ভাই হবার কারনে আমি তার কথার কোনো গুরুপ্ত দেই না। এদিকে আমি গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার সুযোগে ভূমিদস্যু মুছা খোকন গত ২৪ সেপ্টেম্বর সোমবার দিবাগত গভীর রাতে ২০/২৫ একটি সন্ত্রাসী দল আমার বসত ঘরের দরজা ভেংগে ঘরে প্রবেশ করে ঘর ও জমি দখলে নেয়। মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা প্রথমে সেনাবাহিনীর কাছে জানালে তারা সরজমিনে গিয়ে ওই সন্ত্রাসীদের কবল থেকে ঘর উদ্ধার করে জনৈক মধ্যস্থাকারী মিজানুর রহমানের কাছে চাবি জমা দেন। এসময় ঘরের মধ্যে থাকা সন্ত্রাসীদের মজুদ করা বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেন। পরে সেনাবাহিনীর পরামর্শে মঠবাড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মুছা খোকন বলেন, তাসলিমা বেগমের স্বামী জাকির হোসেন জীবিত থাকা কালীন সময় দোকান বিক্রি করা ব্যবৎ আমার কাছ থেকে ২২ লাখ টাকা নেয় এবং ওই বাড়ি বিক্রি করা বাবৎ আরও ৫০ লাখ টাকা নেয়। যার লিখিত স্ট্যাম্প ও কাগজ আছে। জাকির হোসেন মারা যাবার পর পুরো সম্পত্তি তাসলিমা আত্মসাদের উদ্যোগ নেয়।
উপজেলা বিএনপি সদস্য সচিব আবু বকর সিদ্দিক বাদল বলেন, ঘর বা বসত বাড়ি দখলের বিষয় আমার কিছুই জানা নেই।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মো. রেজাউল করিম রাজিব বলেন, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।