স্টাফ রিপোর্টার:
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের ৫ নং রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ভূমিদস্যু হায়েদার আলী খানের খুটির জোর কোথায়?। তিনি অন্যের ভোগদখলীয় পৈতৃক সম্পত্তিতে লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। সে গড়ঘাটা গ্রামের মোঃ মোশারেক খানের পুত্র হায়েদার আলী খান। ঢাকায় থাকে ১০/১৫ দিন বাড়িতে থেকে ১০/১৫ দিন সম্প্রতি এই হায়েদার আলী খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ঢাকায় সিএম এম আদালতে মামলা চলমান ও রয়েছে এবং মানহানি সহ সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে। সর্বশেষ ২০ অক্টোবর চাঁদাবাদী, ভূমি দখল ও অস্ত্রের হুমকি দেওয়ার প্রতিকার চেয়ে কামরাঙ্গী চর, সেনা ক্যাম্প বরাবর অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করেছেন স্থানীয়রা।
মোঃ সালেক খান রুনু’র অভিযোগে জানাগেছে, সরকারি চাকুরি সুবাধে ঢাকায় বসবাস করছেন। তার গ্রামের বাড়ি ৫নং রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নে। তার পৈতৃক সম্পত্তি বিভিন্ন সময়ে জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে একই গ্রামের বাসিন্দা ভূমিদস্যু হায়েদার আলী খান। এমনকি মোঃ সালেক খান রুনুর পৈতৃক সম্পত্তির আশা ছেড়ে দেই সেই সুবাধে বিবাদীগন বিভিন্ন রকম ভয়-ভীতি ও হুমকি ধামকি মার্ডার করার ও প্লান নেয় ভূমিদস্যু হায়েদার আলী খান। এর বিরুদ্ধে হাজারীবাগ থানায় সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে। যার নং-১৫২০/২০১৫। এ ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সম্মানি ব্যক্তিকে জড়িয়ে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করেন মোঃ হায়েদার আলী খান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৫ নং রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের একাধিক বাসিন্দা বলেন, হায়েদার আলী খান এলাকায় চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু, ঢাকায় মোটরসাইকেল ছিনতাইসহ নানা অপরাধে জড়িত তিনি। মোঃ হায়েদার আলী খান একজন জমিদারের ছত্রছায়ায় এ রকম কর্মকান্ডে লিপ্ত থেকে ধরাছোয়ার বাইরে। গত কয়েক মাস পূর্বে বাড়িতে একটি সিডিআই মোটরসাইকেল (যার নম্বর- ঢাকা মেট্রো-এ-০২-৩৮৩৪) চুরি করে নিয়ে এসেছে। তার কাগজপত্র এলাকাবাসি দেখতে জাইলে না দেখিয়ে ঢাকায় চলে যায়। পুলিশ প্রশাসন তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে। এ রকম চুরি, ছিনতাইকারি অন্যের জমি দখল তার নামে রয়েছে একটি বাহিনী।
গ্রামের নিরীহ একাধিক জানায় আমরা গ্রামের শান্তি প্রিয় মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে চাই। হায়েদার এর সঙ্গে কুপরামর্শে জড়িত এলাকার কুন্ডুস জমিদার অসামাজিক জমিদার পশ্চিম গরঘাটা গ্রামের মোশারেক খান, তার ছেলে সহ চোরের পরিবারকে সাথে নিয়ে সম্মানিত ব্যক্তিদেরকে হয়রানি করছে এবং মান-সম্মান ক্ষুন্ন করছে কুন্ডুস জমিদার এলাকার গরিব দুঃখি খেটে খাওয়া দিনমজুর অর্ধাহারে জমিদারের আশেপাশের মানুষগুলোর পাশে না দাড়িয়ে গরিব-দুঃখীদের জায়গা জমি সম্পত্তি টুকু নেওয়ার জন্য তাদেরকে ভয়-ভীতির দিয়ে হয়রানি করছে কুন্ডুস জমিদার। এলাকার মানুষ ঘৃণার চোখে দেখছে কুন্ডু জমিদারকে। প্রতিহত করার জন্য এলাকার সাধারণ খেটে খাওয়া দিনমজুর জনগণ এক হয়েছে। হায়েদার আলী খান কে সর্বস্তরের আইনের আওতায় এনে উর্দ্ধতন প্রশাসনের প্রতি এলাকার সাধারণ জনগন জোর দাবি জানায়।
এ বিষয়ে হায়েদার আলী খান অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, আমি কারও জমি দখল করতে যাইনি। আমি হয়রানির শিকার। এ সর্ম্পকে মোঃ সালেক খান রুনু বলেন, আমি ঢাকায় থাকার সুবাধে পৈতৃক সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার পায়তারা করছে কিছু এলাকার ভূমিদস্যু বাহিনী। এ বিষয়ে সেনাক্যাম্পসহ বিভিন্ন দপ্তরে ন্যায় বিচারের জন্য ঢাকায় মামলা চলমান অবস্থায় আছে আমাকে হায়দার আলী খানসহ তার দোসরা এ ছাড়াও আমাকে বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি প্রদর্শন,করছে আমি সাধারণ ডায়রিও করেছি। ভূমিদস্যুর হাত থেকে রক্ষা পেতে আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।