এম এ মুবিন :
অন্তবর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হক বলেছেন, টালবাহানা বাদ দিয়ে দ্রুত নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষণা করুন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপিসহ যুগপৎ আন্দোলনের সকল রাজনৈতিক দল আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়। অনতিবিলম্বে নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষণা করুন।
আজ মঙ্গলবার দিনব্যাপি মিরপুর ১১ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে পল্লবী থানা যুবদল, দোয়ারীপাড়ায় রূপনগর ৯২ নং ওয়ার্ড বিএনপি ও ট-ব্লকে স্বেচ্ছাসেবকদল রূপনগর থানাসহ বেশ কয়েকটি স্হানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ( বীর উত্তম) এর ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
অন্তবর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে সংষ্কার ও নির্বাচন প্রসঙ্গে আমিনুল হক বলেন,আপনারা সংষ্কার চান, আমরাও অনেক আগে থেকেই সংষ্কার চাই। এদেশের সাধারণ মানুষ সংষ্কার চায়। কিন্তু সেটা হতে হবে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকারের অধীনে। কারন সংষ্কার ও বিচারের নামে গত ১০ মাসে এখন পর্যন্ত আপনারা কোনো সংষ্কার করতে পারেন নাই। আপনারা এখন পর্যন্ত পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের আইনের আওতায় এনে বিচার করতে পারেন নাই। আপনারা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের কাঙ্খিত অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারেন নাই।
বাংলাদেশের মানুষের ভিতরে স্থিতিশীল অবস্থা আসেনি, অস্থিরতা বিরাজ করছে মন্তব্য করে আমিনুল হক বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অবস্থা ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে। তারপরও আমরা আশা করছিলাম পতিত স্বৈরাচার সরকার বাংলাদেশের অর্থনীতিকে যে দূর্বল করে দিয়ে গেছে, এই অন্তবর্তী সরকারের সময়ে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সুদৃঢ় হবে। দূর্বল অর্থনীতিতে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে। কিন্তু ১০ মাস পার হয়ে গেছে এখনও পর্যন্ত দেশে কোনো বিনিয়োগ আসছে না। বিনিয়োগ না আসার অন্যতম কারন বাংলাদেশের মানুষের ভিতরে স্থিতিশীলতা আসেনি, মানুষের মধ্যে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এটার মূলে হচ্ছে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। তাই সেই দিক থেকে চিন্তা করলে নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নেই। সুতরাং আমরা আশা করব, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করে মানুষের ক্ষমতা মানুষের হাতে ফিরিয়ে দেবে। এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
অন্তবর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টারা নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা শুরু করে দিয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, অন্তবর্তী সরকারের ভিতরে কিছু পতিত আওয়ামীলীগের ষড়যন্ত্রকারী, কিছু বিদেশি ষড়যন্ত্রকারী এবং এই অন্তবর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টারা তারা নির্বাচনকে পিছিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা করছে। কারন তারা ক্ষমতার মোহে পরে গেছে।
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছর ধরে এদেশের সাধারণ মানুষ তারা ভোট দিতে পারেনি। মানুষ ভোট দিতে চায়। ভোটের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে জনকল্যাণে কাজ করবে বলেও তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
বিকেলে পল্লবীতে অসুস্থ বিএনপি নেতা মোঃ হারুনকে দেখতে তার বাসভবনে যান আমিনুল হক। এসময় স্হানীয় বিএনপিও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে ছিলেন।