ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার মাদক ও দুর্নীতিতে এগিয়ে

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন
Advertisement

মোর্শেদ মারুফঃ

রাখিবো নিরাপদ দেখাবো আলোর পথ স্লোগান ঠিক থাকলেও ভিতরে চলে ভিন্নতা, কারাগারের বন্দিদের খাবার তালিকা অনুযায়ী খাবার সরবরাহ না করা।কারা অর্গানোগ্রামের খাবার, মেন্যুতে নির্দিষ্ট করা মাংসের পরিবর্তে মাছ, মুরগির পরিবর্তে মাছ, ডিমের পরিবর্তে সবজি পরিমাণে কম দেওয়া হয়। যে মাছ ও সবজি সরবরাহ ও পরিবেশন করা হয় তার মানও অত্যন্ত নিম্নমানের।

বন্দিদের পিসি (প্রিজনার ক্যাশ) থেকে টাকা নগদায়ন করলে প্রতি হাজারে ৩০০ টাকা কর্তন করে যা বন্দিদের ভিতরে ক্ষোভ ও উত্তেজনার সৃষ্টি করছে। যে কারণে কারাবন্দিদের মাঝে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে যে কোন সময় কারা বিদ্রোহ সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

অনিয়মের সাথে যুক্ত জেলার একেএম মাসুম ও হাজতি জামিন শাখার দায়িত্বে থাকা ডেপুটি জেলার দেলোয়ার হোসেন, জামিন রাইটার সাবেক বিডিআর বন্দী-সোহেল ও মেহেদীসহ কারা অভ্যন্তরে পিসি ক্যান্টিনের দায়িত্বে থাকা ডেপুটি জেলার তানজিল ও খাদ্যভান্ডারের দায়িত্বে থাকা মহিলা ডেপুটি জেলার ফেরদৌসি আক্তারের বিরুদ্ধে কারা স্টাফদের মাঝে ক্ষোভ রয়েছে। তারা যেকোন সময় কারাবন্দিদের দ্বারা আক্রমণের শিকার হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়।

পিসি ক্যান্টিন, বাহিরের কারা ক্যান্টিন, বাহিরের কারা ক্যাফেটেরিয়া, পিসি মালামালের শপ, কফি শপ এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে ক্যান্টিনের লভ্যাংশের টাকার মধ্যে থেকে কারা জেন্স পার্লারে-০২ কর্মচারী রেখে প্রতিজনকে ১৫,০০০/-করে দুজনকে ৩০,০০০/- টাকা দিয়ে কারা স্টাফদের ফ্রি চুল কাটানোর ব্যাবস্থা করে থাকে ও প্রতি মাসে প্রতি কর্মচারীকে।

৫২০/- টাকা সম-মূল্যের উপহার সামগ্রী ৯০০ কর্মচারীকে বিতরণ বাবদ ৪,৬৮,০০০/- টাকা প্রদানের পর অবশিষ্ট ৯০% টাকা জেলার একেএম মাসুম ও ডেপুটি জেলার তানজিলের দূর্নীতির মাধ্যমে কর্মচারীদের ঠকিয়ে আত্মসাৎ করে থাকে।

এ নিয়ে নিম্নপদস্থ স্টাফদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। যার ফলে যে কোন সময় অনাকাক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে।বর্তমান জেলার একেএম মাসুম কারাগারে যোগদানের পর থেকে বিএনপির মহাসচিব, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভাতিজা দাবি করেন এবং কারা কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ভয় ভীতি প্রদর্শন করে থাকেন।

জেলারের কার্যকলাপের কারনে কারা রক্ষিদের মাঝে ক্ষোভ রয়েছে এবং ক্ষোভের কারনে যে কোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভবনা রয়েছে বলে কারা কর্মচারীদের মুখে মুখে শোনা যায়।

কারাগারের ভিতরের ক্যান্টিন থেকে ডেপুটি জেলার তানজিলের মাধ্যমে প্রতি দিন অবৈধ আয় ১,৬০,০০০/- টাকা প্রতি মাসে ৪৮০০,০০০/-(আট চল্লিশ লক্ষ টাকা) ডেপুটি জেলার ফেরদৌসি ও কারা সহকারী সুমনের মাধ্যমে খাদ্যগুদাম হতে প্রতি দিন অবৈধ আয় ৫৬,৩৪০/- টাকা।

বন্দী জন প্রতি ১০ টাকা হারে ৫৭২৬ জন।বন্দী থেকে প্রতি দিন-৫৭,২৬০/- টাকা আসে যাহা প্রতি মাসে ১৭,১৭,৮০০ (সতেরো লক্ষ সতেরো হাজার আটশত টাকা) জেলার পেয়ে থাকেন।জামিন শাখার ইনচার্জ ডেপুটি জেলার দেলোয়ার কোর্টের ডেসপাস শাখার মাধ্যমে জামিন সংক্রান্তে প্রতি মাসে আয় ৩,০০,০০০ (তিন লক্ষ টাকা)

কারাগারের ভিতরে সুবেদারের মাধ্যমে বিভিন্ন সেল এবং ওয়ার্ডে অবস্থানরত বন্দিদের নিকট হতে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে আয় প্রতি মাসে ৮,০০,০০০ (আট লক্ষ টাকা) যাহা জেলারকে দেওয়া হয় বলে কর্মচারীদের মাধ্যমে জানা যায়।

কারাগারের ভিতরে বন্দিদের আত্মীয় স্বজনদের সাথে মোবাইলে কথা বলার নামে ৪০টি মোবাইলের মাধ্যমে আয় প্রতি মাসে ১১,০০,০০০ (এগার লক্ষ টাকা) জেলার পেয়ে থাকেন।

০৫ আগষ্টের পর যে সকল আওয়ামীলীগের নেতা কর্মী আটক হয়ে কারাগারে অবস্থান করছে তাদের অবৈধ মোবাইল সুবিধা, নগদ টাকা, ভিতরে আলাদা ভাবে রান্না করে খাওয়া সুবিধা থেকে জেলারের নামে প্রতি মাসে ডেপুটি জেলার তানজিলের মাধ্যমে ১০,০০,০০০ (দশ লক্ষ টাকা) অবৈধ আয় করে থাকে অনুসন্ধানে কারা স্টাফদের মাধ্যমে জানা যায়।

উল্লেখ্য যে, শ্রেণীপ্রাপ্ত বন্দী বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল হাসান (আয়নাঘরের দায়িত্বে ছিলেন) তাহাকে ব্যাক্তিগত ভাবে মোবাইল সুবিধা প্রদান করা হইলে এসবি, ডিআইজি পলিটিক্যাল-এর দৃষ্টিগোচরে আসেন পরবর্তীতে অভিযোগের প্রেক্ষিতে শ্রেনীপ্রাপ্ত বন্দীদের ওয়ার্ডে জ্যামার স্থাপন করা হয়, কিন্তু রাত্রীকালীন সময়ে জ্যামের সুইচ খুলে রাখা হয় বলে কর্তব্যরত কারারক্ষীদের মাধ্যমে জানা যায়।

পিআইইউ সদস্য কর্তৃক মাদক ব্যাবসাঃ পিআইইউ সদস্য কারারক্ষী মালেক (মোবাইল ০১৮৬৩ ৭৪১৫০৪) কর্তৃক কারা অভ্যান্তরে-১০ টি মাদকের স্পটে মাদক বিক্রি করে থাকে। তাহাকে মাদক প্রবেশে সহযোগিতা করে গেট ওয়েটার কারারক্ষী মনির হোসেন স্পট সমূহ (০১) কর্ণফুলী ৫/১ ওয়ার্ড (০২) মনিহান-৬/৮ ওয়ার্ড (০৩) মেঘনা বিল্ডিংয়ের প্রতি তলায় ০১ টি মাদক স্পট মোট-১০ টি স্পট পরিচালনা করে থাকে। তা থেকে প্রতি দিন জেলারকে ২০,০০০/- টাকা করে প্রতি মাসে ১০ টি মাদক স্পট থেকে অবৈধ আয় ৬,০০,০০০/- (ছয় লক্ষ টাকা)।

উল্লেখযোগ্য বন্দীদের কারা অভ্যন্তরে নিজ হাতে রান্না করে খাওয়া সংক্রান্তে অনিয়ম। জেলারের অনুমতিক্রমে কারা অভ্যন্তরে ওয়ার্ডে রান্না করে খেয়ে থাকেন ফার্মাস ব্যাংক কেলেংকারী হালদারের সহযোগী বাসুদেব ব্যানার্জী, ক্যাসিনো মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী, এনামুল হক এনু ও তার ভাই রুপম ভূইয়াদের মোবাইল সুবিধা সহ রান্না করে খাওয়ার ব্যাবস্থা করে দিয়ে তাদের কাছ থেকে জেলার প্রতি মাসে ১,৫০,০০০/- (দেড় লক্ষ টাকা) নিয়ে থাকে।

এছাড়াও পিসি ক্যান্টিনের মালামাল সরবরাহকারী কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার হইতে চাকরীচ্যুত সাবেক জেলার বাহার চড়ামূল্যে মালামাল সরবরাহ করে জেলারকে প্রতি মাসে প্রায় ৩,০০,০০০/-(তিন লক্ষ টাকা) সরাসরি জেলারকে দিয়ে থাকে বলে একাধিক কারা রক্ষী সূত্রে জানা যায়।

প্রতিবেদন প্রকাশ করার স্বার্থে উক্ত বিষয় নিয়ে দৈনিক আমাদের কন্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার মোর্শেদ মারুফ, সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার কে একাধিক বার ফোনে যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি ও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার এ, কে, এ, এম মাসুম সহ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।

প্রতিবেদন চলমান পর্ব-১

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Advertisement
Advertisement