শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে দালাল সিন্ডিকেটের অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন লেখার পর সমকালের প্রতিনিধি সোহাগ খান সুজন আজ হামলার শিকার হয়েছেন।আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর হাসপাতালের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় জড়িত নারী দালালরা হলেন মনি মুক্তা, হালিমা বেগম, কেয়া বেগম ও নাছিমা বেগম।তাদের নেতৃত্বে সুজনের ওপর শারীরিক ও মানসিকভাবে আক্রমণ চালানো হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
গত ৮ মে, সমকাল পত্রিকায় “সহকারীরাই রোগী ভাগান ক্লিনিকে” শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, যা শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের দালালদের দৌরাত্ম্য নিয়ে ছিল।
প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকেই সাংবাদিক সুজন নানা ধরনের হুমকি ও চাপের মুখে পড়েন।এ হামলা মূলত সেই প্রতিবেদন লেখার প্রতিবাদেই ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাংবাদিক সমাজ ও স্থানীয় সচেতন মহল এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দ্রুত দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি তুলেছেন।
এই বিষয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক সোহাগ খান সুজন বলেন,”আজ সকাল ১১ টায় শরীয়তপুর সিভিল সার্জন অফিসে আমার মিটিং ছিলো। আমি সকাল সাড়ে দশটায় শরীয়তপুর সিভিল সার্জন অফিসের সামনে গেলে, শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের সামনে পাঁচ থেকে ছয় জন নারী দালালকে দেখা যায় কিছু রোগীদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য নিম্নমানের ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তখন আমি তাদের ভিডিও করতে গেলে তারা আমার মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে আমাকে হেনস্থা করে এবং আমাকে ধরে তাদের ক্লিনিকে নিয়ে যেতে চায়। পরবর্তীতে লোকজন জড়ো হলে তারা চলে যায়।”
এ বিষয়ে শরীয়তপুর পুলিশ সুপার মো: নজরুল ইসলাম বলেন,”শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল থেকে আমরা দালালদের একটি লিস্ট পেয়েছি। সেখানে আমরা জানতে পেরেছি শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে যারা চিকিৎসা নিতে আসে, তাদের ভিতরে প্রবেশ করতে না দিয়ে ক্লিনিকে ভর্তি করার জন্য প্রলুব্ধ করে ও বাধ্য করে। আমরা যেহেতু তালিকা পেয়েছি, সে তালিকার অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব যাতে তারা কোনোভাবেই এই বেআইনি ব্যবসার সাথে জড়িত থাকতে না পারে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের থেকে সহযোগিতা চায় ও মামলা দেয়, আমরা তাদেরকে পুরোপুরি সহযোগিতা করব।”