নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে বিএনপির দু গ্রুপের সংঘর্ষে আব্দুল কুদ্দুস ও মেহেদী নামে উভয় গ্রুপের দুই জন নিহত হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার সিরাউদ্দৌলা রোডের শাহি মসজিদ এলাকায় এবং সিরাজুদ্দৌলা ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জনায়, বন্দর রেললাইন অটোস্ট্যান্ড নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ ২৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাউসার আশার সমর্থিত রনি- জাফর গ্রুপ এবং ২১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপি নেতা হান্মান সরকারের বাবু- মেহেদী গ্রুপের বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত শুক্রবার উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে এতে উভয় গ্রুপের ৮ জন আহত হয়।
এই বিরোধের জের ধরে শনিবার দিবাগত রাত ৯ টায় বাবু – মেহেদী গ্রুপের লোকজন রনি জাফর গ্রুপের আব্দুল কুদ্দুসকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। খবর পেয়ে নিহতের স্বজন ও রনি-জাফর গ্রুপের লোকজন রেললাইন এলাকা সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করে।
একই দিন রাত ১টায় বন্দট সিরাজউদ্দৌলা ক্লাবের সামনে দিয়ে মেহেদী ও তার গ্রুপের লোকজন যাওয়ার পথে রনি- জাফর গ্রুপের লোকজন মেহদিকে গণপিটুনি ও ছুরিকাঘাত করলে তাকে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
নিহত আব্দুল কুদ্দুস বন্দর উপজেলার হাজারিবাগ এলাকার সাদেক আলীর ছেলে এবং নিহত মেহেদী একই উপজেলার সালেহ নগর এলাকার জলিল মুন্সীর ছেলে।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দু-গ্রুপের সংঘর্ষর জেরে উভয় পক্ষের ছুরিকাঘাতে আব্দুল কুদ্দুস ও মেহেদী নামে দুই জন নিহত হয়। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিচ, গোয়েন্দা পুলিশ ও সেনা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।