পীরগাছায় আওয়ামী নেতার বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের 

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন
Advertisement

হারুন-অর-রশিদ বাবু ; রংপুর

কৈশোরকাল থেকেই নোংরা মানসিকতার অধিকারী ছিলেন। বিগত ফ্যাসিস্ট শাসনামলে আওয়ামী লীগের পদ ব্যবহার করে হয়ে উঠেছিলেন বেপরোয়া। গ্রামের প্রভাবশালী হওয়ায় নানার বাড়িতে বেড়াতে আশা প্রতিবেশী ৬ষ্ঠ শিক্ষার্থী হ্যাপি (ছদ্মনাম) কে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং বিবস্ত্র অবস্থায় ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।

রংপুরের পীরগাছা উপজেলাধীন মাহিগঞ্জ থানার বিহারি গ্রামবাসী সুত্রে জানাযায়, চার সন্তানের জনক সাহেব আলী শেখ ওরফে শাহাবুদ্দিন (৬০) পিতা মৃত্যু আনছার আলী শেখের বিরুদ্ধে, প্রতিবেশী ভাগনীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করাসহ বিবস্ত্র করে ছবি ও ভিডিও ধারণ করার খবর চাউর হয়েছে। বিগত প্রায় ৫/৬ মাস পুর্বে স্থানীয় মাজারে ওরশ চলাকালীন শিশুটির মুখ চেপে ধরে নির্জন একটি ঘরে নিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে,উপজেলার কল্যাণী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। গত ৬ মাসে ভিডিও ও ছবি প্রকাশের ভয় দেখিয়ে শিশুটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করার অভিযোগও করেন তারা। এলাকাবাসী আরও জানান গত ২০ মে ২০২৫ইং রাতে পুনরায় শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়।

ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়ে ধর্ষিতার নানা ফরমান আলী শেখ (৬৫) বলেন, ধর্ষণের  ঘটনায় মামলা করেছি। আমরা যেন ন্যায্য বিচার পাই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিযুক্ত সাহেব আলীর স্বজনরা বলেন, আওয়ামী লীগের পাওয়ার খাটিয়ে অনেক অপকর্ম করছে শাহাবুদ্দিন। সে এখনো মনে করে তার এসব অপকর্মের কোন বিচার হবেনা। শুধু টাকা দিলে সবকিছু মিটে যাবে! আমরা আত্নীয়তার কারণে কিছু বলতে পারছিনা তবে ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক বিচার যেন হয়। তারা আরও বলেন, ধর্ষণের বিষয়টি জানাজানি হলে, ঘটনা ধামাচাপা দিতে অভিযুক্তর ভাই ও ভগ্নিপতির নেতৃত্বে  বিহারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনে আব্দুল মজিদ (৫০) এর বাড়িতে; গত ২৩ মে (শুক্রবার) রাত অনুমান ১১টার দিকে স্থানীয় দেওয়ানী আবু বক্কর , খলিল মিয়া, নবী মিয়া, আবুল হোসেন সহ একাধিক ব্যক্তিরা বিষয়টি আপোষ মিমাংসা করার চেষ্টা করেন। সেখানে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে ক্ষমা চান শাহাবুদ্দিন এবং ক্ষতিপূরণে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দেয়ার কথাও স্বীকার করেন।

অভিযুক্ত সাহেব আলী ওরফে শাহাবুদ্দিন এর বাড়িতে গিয়ে জানাযায়, গত দুই দিন তিনি কোথায় আছেন তা জানেনা পরিবারের কেউ। ধর্ষণের বিষয়টি জানতে চাইলে অভিযুক্তর  স্ত্রী ছাবেরা বেগম, পুত্রবধূর শারমিন আক্তার, মেজ ছেলে বেলাল হোসেন, ছোট ছেলে হাসান ফরিদ, ধর্ষণের কথা স্বীকার করে বলেন এমন ঘটনা ঘটতে পারে। তবে মেয়েটির সাথে শাহাবুদ্দিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

মাহিগঞ্জ মেট্রোপলিটন থানার অফিসার ইনচার্জ, আব্দুল কুদ্দুস বলেন। ধর্ষণ মামলা হয়েছে, তবে আলামত ধ্বংসের চেষ্টা করেছে একটি মহল। আসামি ধরতে কাজ করছে পুলিশ।

 

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Advertisement

Contact with your
Creative & Technology Partner

Advertisement