শাহীন মুন্সী, স্টাফ রিপোর্টারঃ
ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক বাগেরহাট শাখার আর্থিক সক্ষমতা তলানিতে ঠেকেছে । গ্রাহকের পাওনা পরিশোধে চরম ভোগান্তি ও তালবাহানা করছে ব্যাংকটির ওই শাখার কর্মকর্তারা । নতুন করে কোন বিনিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। যে সব গ্রাহকের ডিপিএস ও এফডিআরের মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে তাদের পাওনা পরিশোধে গরিমশি করছে। শাখা টিতে সুন্দর ডেকোরেশন আর এসি লাগানো মনোরম পরিবেশের থাকলেও আর্থিক দুর্বলতা চরম আকার ধারণ করেছে।
ব্যাংকের গ্রাহক চম্পা রানী মন্ডল দৈনিক আমাদের কন্ঠের স্টাফ রিপোর্টার কে জানান, তিনি ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক বাগেরহাট শাখায় গত ০৯ জুন ২০১৯ তারিখে দ্বিগুন মুনাফার একটি এফডিআর খুলেন, যা ১৫ জুন ২০২৫ তারিখে মেয়াদ পূর্ণ হলে ব্যাংকে পাওনা টাকা পরিশোধের আবেদন করেন। পরবর্তীতে বিনিয়োগ অফিসার নাজিম জানান যে তিনি চার লাখ নয় হাজার টাকা পাবেন। কিন্তু ওই টাকা আমরা একসাথে পরিশোধ করতে পারবেনা।
ওই কর্মকর্তা গ্ৰাহকে আরো বলেন, বর্তমানে ব্যাংকের বড় অংকের কোন টাকা একসাথে দেওয়ার সক্ষমতা নেই। মাসে মাসে ১০হাজার টাকা করে নিতে হবে। দশানী গ্রামের আরেকজন গ্রাহক শাহিনুর বেগম জানান, তিনিও ৮বছর মেয়াদী ডিপিএস খুলে পাওনা নিতে এসে একই ধরনের ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন। প্রায় প্রতিদিনই গ্রাহক পাওনা নিতে এসে বিরম্বনার শিকার হয়ে ফিরে যাচ্ছে। এ বিষয় ব্যাংকটির শাখা ব্যবস্থাপকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে খুঁজে পাওয়া যায় নি।
ব্যাংকের একটি সূত্র থেকে জানা যায়, পাওনাদারদের ভয়ে ম্যানেজার কৌশলী ভূমিকা পালন করে গাঁ ঢাকা দিয়ে থাকেন। বিষয়টি নিশ্চিত হতে ম্যানেজারের গোপন মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করে ফোন করলে তিনি ব্যাংকটির আর্থিক অস্বচ্ছলতার কথা স্বীকার করেন।
সংশ্লিষ্টরা আমাদের কন্ঠকে বলেন, চোর- পুলিশ খেলার ভূমিকায় একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এভাবে চলতে পারেনা। অতি সত্তর সরকারি ভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করে এই সমস্যার সমাধান করা উচিৎ। ব্যাংকের এই শাখাটির অব্যবস্থাপনা ও আর্থিক অস্বচ্ছলতা তৈরি হওয়ায় গ্ৰাহকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ব্যাংকের এই শাখাটির অব্যবস্থাপনা ও আর্থিক দুর্বলতা দ্রুত নিরোসন করা না হলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা করছেন এলাকাবাসী।