মোঃ আসাদুজ্জামান , বরগুনা

বরগুনায় জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য চিকিৎসা সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়কারী ডা. সৈয়দ ইমতিয়াজ উদ্দিন সাজিদের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে তিনটায় বরগুনার সিভিল সার্জন ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের নিকট এই চিকিৎসা সামগ্রী প্রদান করা হয়।

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে ঔষধ সামগ্রী প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন বরগুনা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মাদ আবুল ফাত্তাহ, বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ড. রেজোয়ানুর আলম, বরিশাল জেলা ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল মোনায়েম সা’দ, বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট সোহেল হাফিজ, জেলা মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবীর মৃধা, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাফরুল হাসান জাফর, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম রনিসহ ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ।

গত দুই মাস ধরে বরগুনা জেলার ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা চরম আকার ধারণ করে। হাসপাতালে দেখা দেয় চিকিৎসা সামগ্রী তীব্র সংকট। সারা দেশের এক চতুর্থাংশ ডেঙ্গু রোগী বরগুনাতেই হাসপাতালে ভর্তি। ডেঙ্গুর এই চরম প্রকোপ বরগুনাসহ সারাদেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দৃষ্টিতে আসলে তিনি জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ঔষধ সামগ্রী প্রদানের জন্য জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দকে নির্দেশনা প্রদান করেন। তারই আলোকে বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ঔষধ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

ঔষধ বিতরণকালীন বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট সোহেল হাফিজ বলেন, অধিকাংশ ওয়ার্ডে শয্যার সংকট রয়েছে। অনেক রোগীকে মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। নারী ও শিশু ওয়ার্ডসহ মেডিসিন ইউনিটেও একই অবস্থা। অনেক রোগীকে বারান্দা ও করিডোরে বিছানা পেতে রাখা হয়েছে। এতে করে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। শয্যার পাশাপাশি দেখা দিয়েছে রক্ত পরীক্ষার কিট এবং স্যালাইনের সংকট। অনেক রোগীকেই বাইরে থেকে টেস্ট করাতে ও স্যালাইন কিনে আনতে হচ্ছে। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এই ঔষধ সামগ্রী বিতরণ করায় রোগীরা অনেকটা সুফল ভোগ করবেন।

বরগুনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রেজোয়ানুর আলম জানান, রোগীর চাপ সামাল দিতে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা উপকরণ সরবরাহ করা হলে পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মাদ আবুল ফাত্তাহ বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করায় চিকিৎসাসেবা দিতে একটু বিঘ্ন ঘটছে। তারপরও চিকিৎসকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আমরা সার্বিক পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্ষম হয়েছি। বরগুনার ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে দফায় দফায় স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় বরগুনা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ১০ চিকিৎসক ও ১০ জন নার্স পদায়ন করা হয়েছে। এছাড়াও স্যালাইন ও রক্ত পরীক্ষার যে কিট সংকট তৈরি হয়েছিল জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে যে ঔষধ সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে তাতে আপাতত কিছুটা হলেও সংকুলন হবে।

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়কারী ডা. সৈয়দ ইমতিয়াজ উদ্দিন সাজিদ বলেন, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন পার্থ মানবতার সেবায় দলমত নির্বিশেষে সবার কল্যাণে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে । তিনি আরো বলেন, জেডআরএফ একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। দেশের যে কোনো দুর্যোগে এই ফাউন্ডেশন মানুষের পাশে দাঁড়ায়।