বরিশাল জেলা প্রতিনিধি:
বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের (এসবিএমসি) একজন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন, যেখানে তিনি তার মর্মান্তিক সিদ্ধান্তের পিছনে ‘অতিরিক্ত একাডেমিক চাপ’কে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এসবিএমসি শিক্ষার্থী সজীব বাড়ুই নিজের দেহে মারাত্মক ওষুধের মিশ্রণ ইনজেকশন পুশের মাধ্যমে আত্মহত্যা করেন। মৃত্যুর আগে তিনি একটি নোট রেখে গেছেন, যেখানে তিনি লিখেছেন যে তিনি নিজের সাথে লড়াই করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে (২২ মে) তার সহপাঠীরা তাকে অতি গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। শনিবার (২৪ মে) বিকেলে সজীব চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
সজীব বাড়ই এসবিএমসির মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ৫০তম ব্যাচের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
তার সহপাঠীদের মতে, তিনি একই ক্লাসে আটকে গিয়েছিলেন, যেখানে তার সহপাঠীরা ইতিমধ্যে এমবিবিএস পরীক্ষা পাস করে ইন্টার্নশিপ করছিলেন। এই পরিস্থিতি তাকে গভীর হতাশায় ফেলে দেয়। আত্মহত্যার চেষ্টা করার আগে সজীব একটি নোটে লিখেছিলেন, ‘আমি নিজের সাথে নিরন্তর লড়াই করতে করতে ক্লান্ত। আমি শুধু কিছুটা বিশ্রাম চাই। আমাকে ক্ষমা করো। তোমাদের যে ভালোবাসা দিয়েছো, তা আমি ফেরত দিতে পারলাম না।’
সজীবের রুমমেট সুমন হালদার বলেন, ‘সজীব প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়তেন, কারণ তিনি তার পড়াশোনার চাপ সামলাতে পারতেন না। তিনি তৃতীয় বর্ষে আটকে গিয়েছিলেন, যেখানে তার সব সহপাঠীরা ইতিমধ্যে ইন্টার্নশিপ শুরু করেছিলেন। তার ক্লাস ও পরীক্ষা নিয়ে গভীর ভয় ছিল। ফলে, গত বৃহস্পতিবার রাতে হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় তিনি ক্লোনাজেপাম ও ফ্লুঅক্সেটিনের মিশ্রণ নিজের শিরায় ইনজেক্ট করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।’
সুমন আরও বলেন, তার সহপাঠীরা ঘটনা বুঝতে পেরে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান, যেখানে তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
সজীবের সহপাঠী মোশাররফ ফেরদৌস জানান, এই বিষয়ে সজীবের পরিবারের বা তাদের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ করা হয়নি।