মোর্শেদ মারুফঃ
যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোঃ আব্দুল্লাহ রশিদ-এর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন এবং মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করেছে।
মোঃ আব্দুল্লাহ রশিদ (৬৩), যিনি যমুনা অয়েল কোম্পানির খিলগাঁও অফিসে কর্মরত ছিলেন, এখন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক কর্মকর্তা। তার পিতার নাম মৃত হারুন অর রশিদ। স্থায়ী ঠিকানা: বাসা নং-২৪, রোড নং-০৭, সেক্টর-১১, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের (২৮ নভেম্বর) আব্দুল্লাহ রশিদ কমিশনে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে ১ কোটি ৫৫ লাখ ৬১ হাজার ১৭৯ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তথ্য দিয়েছেন। কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তার প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ৩১ লাখ ২৫ হাজার ১২৫ টাকা। এতে প্রমাণ মেলে, তিনি প্রায় ৭৫ লাখ ৬৩ হাজার ৯৪৬ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
দুদক অনুসন্ধানে আরও উঠে এসেছে, তিনি জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৯ লাখ ৩ হাজার ৯২৯ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়াও, তার নামে বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা ২৯টি এফডিআর ও ৮টি সঞ্চয়ী হিসাব মিলিয়ে মোট ১৯ কোটি ৪৪ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮৭ টাকা জমা রয়েছে।
এর মধ্যে ১৭ কোটি ১৩ লাখ ১৯ হাজার ৫৫২ টাকার কোনো বৈধ আয়ের উৎস দেখাতে পারেননি তিনি। এতে করে তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের আশঙ্কা রয়েছে।
দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত সাবেক কর্মকর্তা এসব অবৈধ সম্পদ হস্তান্তর ও স্থানান্তর মাধ্যমে নিজের দখলে রাখার চেষ্টা করেছেন। ফলে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
দুদকের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন,এটি একটি গুরুতর অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র। একজন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কীভাবে জ্ঞাত আয়ের বাইরে এত বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হলেন, সে তদন্তে দোষী প্রতিয়মান।”
অনুসন্ধানে জানা গেছে, আব্দুল্লাহ রশিদ অসৎ পন্থায় কিছু কর্মকর্তার সঙ্গে মিলে কোটি কোটি টাকার লেনদেন করেছেন। পাশাপাশি, তার স্ত্রীর নামেও মামলা রয়েছে—যার একটি মামলার চার্জশিট ইতোমধ্যে জমা হয়েছে এবং অন্যটির চার্জশিট প্রক্রিয়াধীন।
বিস্তারিত জানতে পরবর্তী পর্বে চোখ রাখুন।