মিজানুর রহমান সুমন
রাজধানীর মুগদা মদিনাবাগ শেখ টাওয়ার সংলগ্ন ভয়ংকর মাদকের গডফাদার সোহেল। সবুজবাগ ও মুগদা থানার মাঝামাঝি এলাকায় মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, সন্ত্রাসীদের লালন পালন, ছিনতাই, চুরি,চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে সকল অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত সোহেল ও তার ছেলে ভয়ংকর কিশোর গ্যাং প্রধান সজীব। যিনি একাধিকবার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েও আইনের ফাঁক-ফোকড় দিয়ে জেল থেকে বের হয়েই আবার শুরু করেন মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপকর্ম।
খোজ নিয়ে জানা যায়, সবুজবাগ,কদমতলা,বাসাবো খিলগাঁও মুগধা মানিকনগর সহ যাত্রাবাড়ী এলাকায় তার রয়েছে এক অভিনব সাম্রাজ্য যে সাম্রাজ্যের রাজা সোহেল এবং রাণী সেজে দায়িত্ব পালন করছেন তার তিন তিনজন স্ত্রী। তারা হলেন প্রথম স্ত্রী শিল্পী বেগম দ্বিতীয় স্ত্রী ভানু বেগম তৃতীয় স্ত্রী মুন্নি বেগম। এছাড়া তার চতুর্থ স্ত্রী মাদক ব্যবসা করতে রাজি না হওয়ায় তাকে তালাক দিয়ে মানসিক টর্চার করে মেরে ফেলার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে । একই সাথে সোহেলের আপন দুই বোন সালমা ও বিউটিও সোহেলের মাদক সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। যে কারনে
খিলগাঁও বাসাবো কদমতলা নন্দীপাড়া মুগদা মদিনাবাগ মানিকনগর যাত্রাবাড়ীসহ ঢাকা সিটির একটি অংশের আশেপাশের এলাকায় খুচরা এবং পাইকারি মাদক সাপ্লাইকারি হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে।
জনশ্রুতি রয়েছে যে,মাদক সম্রাট সোহেলর খুঁটির জোর নাকি অনেক বড়, টাকা দিয়ে তিনি নাকি থানা পুলিশ সহ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ভয়ংকর এই মাদক হিরোইন ফেনসিডিল ইয়াবা গাজা সহ বিভিন্ন ধরনের মাদক ব্যবসা করে কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অসংখ্য মাদক মামলা রয়েছে। যে কারনে আইনের ফাঁক ফোকড় দিয়ে জামিনে মুক্ত হয়ে পুনরায় আবার মাদক ব্যবসা করে যাচ্ছে । তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করে মিলেছে আরো বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানাগেছে সোহেল যাত্রাবাড়ী ও আশপাশের এলাকায় মোবাইল ছিনতাইকারী চক্রেরও গডফাদার। তার নেতৃত্বে শতাধিক ছিনতাইকারি এসব এলাকায় সক্রিয়। এলাকায় উঠতি বয়সী যুবকদের হাতে মাদকের সহজলভ্যতায় ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে যুব সমাজ এটি দেখার যেন কেউ নেই। তাই এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের দাবি দ্রুত এই মাদক সম্রাট সোহেলকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে মুগধা থানার অফিসার ইনচার্জ সাজেদুর রহমান বলেন মাদকের ব্যাপারে কোন ছাড় নেই আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে এর আগেও তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি মাদকের সাথে আমাদের কোন আপোষ নেই যদি কাউকে মাদকের সাথে সংশ্লিষ্ট সেবনকারী অথবা ব্যবসায়ী এমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে তাকে আটক করে প্রচলিত আইনের আওতায় এনে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।