গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
প্রাইমারিতে চাকরির দেওয়ার কথা বলে ১১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক চক্রের মুল হোতা রানাকে আটক করছে আদালত। বুধবার ২৪ এপ্রিল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুন্দরগঞ্জ আদালত ও আমলি আদালত সুন্দরগঞ্জ, আদালতে জামিনের প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ বিচারক জান্নাতুল ইসলাম জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, গত ২০ মার্চ সুন্দরগঞ্জ থানা প্রাইমারিতে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ১১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া অভিযোগ মামলা করেন ভুক্তভোগী শাহনাজ পারভিন। যার মামলা নম্বর ৩০/২৫।
মামলা অভিযোগ সুত্র জানা যায়,গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সুবর্নদহ গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে শাহনাজ পারভীন গত ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত প্রাথমিকে সহকারি শিক্ষক নিয়োগ (গ্রুপ-১) পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেন। যার রোল নং ৩৭২০৯৩৪।এতে অকৃতকার্য হন শাহনাজ পারভীন।
এদিকে একই উপজেলার পরান গ্রামের আলম মিয়ার স্ত্রী চাঁদপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মাহমুদা বেগমের সাথে শাহনাজ পারভীনের স্বামীর পরিবারের আত্নীয়তার সম্পর্ক থাকায় তাদের বাড়ীতে নিয়মিত যাতায়াত ছিলো।
সেই সুবাদে মাহমুদা বেগম ও তার ভাই রানা মিয়া চাকুরী প্রত্যাশী শাহনাজ পারভীনের বাড়ীতে আসে এবং চাকুরী নিয়ে দিতে পারবে বলে নানা রকমের চাঠুকার গল্প করেন।
এসময় তারা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক ও গনশিক্ষা অধিদপ্তরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে ভালো সম্পর্কেরও কথা বলেন এবং চাকুরী বাবদ মোট ১২ লাখ টাকা চাঁন। সেসময় তাদের কথা বিশ্বাস করে শাহনাজ পারভীনের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদী ও নগদ ১০ লাখ টাকা তাদের হাতে প্রদান করা হয়।
এর কিছুদিন পর রানা মিয়ার ০১৩০৩৯৮৯০৬৫ নম্বরে মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশের মাধ্যমে ১ লাখ ৪০ হাজার পাঁচশ টাকা দেওয়া হয়। পরে সহকারী শিক্ষিকা মাহমুদা বেগম ও তার ভাই রানা মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, নিয়োগ সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র চুড়ান্ত হয়েছে,বাকি ৬০ হাজার টাকা দ্রুত পরিশোধ করিলে নিয়োগপত্র প্রদান করা হবে।
তাদের এমন কথায় শাহনাজ পারভীনের পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হলে তারা টাকা ফেরত চাইলে নানা রকম ভয়-ভীতি ও হুমকি দিতে থাকে মাহমুদা ও তার ভাই রানা মিয়া।