ন্যাশনাল ব্যাংক ছিলো শেখ আখতার উদ্দিন আহমেদের দুর্নীতি’র রাজত্ব

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন
Advertisement

মোর্শেদ মারুফ:

শেখ আখতার উদ্দিন আহমেদ, MD(cc) এর ব্যাংকের স্বার্থবিরোধী কতিপয় কর্মকান্ডে জড়িত ছদ্মবেশ মুখোশধারী একজন দূর্নীতিবাজ, চাকরির মেয়াদ থাকতেই কেন বা তাড়াহুড়ো করে অবসরে চলে গেলেন প্রশ্ন অনেকের মাঝে।

শেখ আখতার উদ্দিন আহমেদ ১৯৯৮ সালে ব্যাংকে যোগদানের পর কিছুদিন মফস্বলের একটি শাখায় কাজ করেন পরে প্রধান কার্যালয়ে বদলি হয়। প্রধান কার্যালয় AMD এর Secretariate এবং ID তে কিছুদিন কাজ করার পর ২০১০ সালে SPO ব‍্যাংকে থাকা অবস্থায় মালয়েশিয়ার এক্সচেঞ্জ হাউজে বদলি হন এবং তার কর্মজীবনের ১১ বছরই মালায়েশিয়া হতে রেমিটেন্স পাঠানোর কাজে নিযুক্ত ছিলেন।

তার মূলধারার ব্যাংকিংয়ে অর্থৎ ক্রেডিট, ফরেনট্রেড, প্রোডাক্ট মার্কেটিং এ কাজ করার কোন অভিজ্ঞতা নাই। কিন্তু ঐ সময়কালে শিকদার পরিবারের বিদেশে টাকা পাচার কর্মকান্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে তাদেরকে সহযোগিতা করেন এবং তার পুরস্কারস্বরুপ তিনি ঐ সময়ে ৫টি পদোন্নতি লাভ করেন। এর মধ্যে ১টি পদন্নতি ১ বছরেরও কম সময়ে হয়েছে যা এন,বি,এল এ বিরল।

আবার দেশে ফেরার সঙ্গে সঙ্গেই ২০২১ সালে শিকদার পরিবার তাকে মানব সম্পদ বিভাগের দায়িত্বে বসায় এবং ১৮ মাসেই (SEVP) হিসাবে পদোন্নতি লাভ করেন। তার কর্মজীবনে শাখা ব্যবস্থাপক, আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক, প্রধান কার্যালয়ের ক্রেডিট, ফরেন ট্রেডের কাজের অভিজ্ঞতা না থাকলেও শুধুমাত্র শিকদার পরিবারে ঘনিষ্ঠতা থাকার সুবাদে এবং তাদের নিদের্শ মোতাবেক অনৈতিক সুবিধাদি প্রদানের ফলে তাকে ২০২৩ সালে DMD এর মত গুরুত্বপূর্ন পদে ২৭/১২/২০২৩ তারিখে পদোন্নতি দিয়ে সেদিনই তাকে MD (cc)র দায়িত্ব দেওয়া হয়।

শেখ আখতারের অবিশ্বাস্য গতিতে পদোন্নতি পাওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের ৩১/১২/২০২১ ইং স্থিতিভিত্তিক তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে। প্রতিবেদনের ১২৩ নং পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে এক্সচেঞ্জ হাউজে কর্মরত একজন কর্মকর্তাকে এত দ্রুত এক্সিকিউটিভ পর্যায়ে পদোন্নতি প্রদান সত্যিই কর্তৃপক্ষের আশির্বাদ পুষ্টের পরিচায়ক, যেখানে NBL Money Transfer, Malaysia এর পারফমেন্স ভাল ছিল না। ২০১৯,২০২১ সালে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না করেও যথাক্রমে EVP ও SEVP হিসাবে পদন্নতি লাভ করেন।

এ ছাড়াও অন্য কর্মকর্তার পেশাগত ক্ষতি করার জন্য তিনি স্বেচ্ছাচারীতা করেছেন মর্মে অডিট রির্পোটে উল্লেখ আছে।অডিট আপত্তির বিষয়টি বোর্ড সভায় আলোচনায় তাকে একধাপ অবনতির ব্যাপারে একমত হলেও তৎকালীন পরিচালক পারভীন হক শিকদারের হস্তক্ষেপে তা বাস্তবায়ন হয়নি। শেখ আখতার HRD ছাড়াও প্রধান কার্যালয়ের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ন বিভাগের Super vision এর দায়ীত্বে আছেন। যেমন, ID, Marketing Division, Treasury Division, foreign Remittance Division ইত্যাদি।

HUMAN RESOURCE DIVISION:

ব্যাংকের আর্থিক অস্বচ্ছলতা এবং প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও ব্যাক্তি স্বার্থে প্রায় ৩০০ কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন এ বিষয়টি ৩০/০৭/২৪ তারিখের ৫০৪ তম বোর্ড মিটিংয়ে আলোচিত হয়। সে সময় তৎকালীন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ও কয়েকজন পরিচালক তার অনৈতিক কাজে ক্ষুদ্ধ হয়ে ব্যাংক ছেড়ে চলে যেতে বলেন। এমনকি তৎকালীন চেয়ারম্যান প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রেস কনফারেন্সেও নিয়োগ বানিজ্যের বিষয়টি উল্লেখ করেন এবং তা তদন্ত করা হবে, এই মর্মে অভিমত ব্যক্ত করেন।

তিনি বিভিন্ন সময়ে উধর্তন পর্যায়ের বেশ কিছু অদক্ষ ও অযোগ্য কর্মকর্তা /নির্বাহী কে অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করে নিয়োগ দেন। তাদের অনেকেই অখ্যাত ব্যাংক এবং নাম সর্বস্ব প্রাতষ্ঠান থেকে এসছেন যাদের অনেকেরই চাকরী ছিল না।

বতর্মানে তারা NBL এর Key position এ থেকে শেখ আখতারের ঘনিষ্ঠ হিসাবে কাজ করছেন।এদের মধ্যে কয়েকজন হলো: ১) ICCD-প্রধান ২) বিভিন্ন শাখায় বেশ কিছু শাখা প্রধান/আঞ্চলিক প্রধান।SAMD-প্রধান (CC) 3) AMLD-প্রধান (৪) CRM (Exprot)-প্রধান ৫) FRD-প্রধান এ ছাড়াও আজ্ঞাবহ ICCD প্রধান মো: মুজাহিদকে দিয়ে শেখ আখতার নিজের মনগড়া রিপোর্ট করিয়ে ব্যাংকের যাকে পছন্দ না হয় তাকে শাস্তি দিচ্ছেন। নিজের পছন্দের লোকজনদের মুক্ত করে দিচ্ছেন। এবং বিভিন্ন সময় তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সমূহ হতে নিজেকে মুক্ত করে নিয়েছেন।

যেমন: Infratech construction Ltd. এর ঋণ নবায়নের অফিস নোটে সবার সাথে তার স্বাক্ষর থাকলেও ICCD প্রধান মো: মুজাহিদের সহযোগিতায় তদন্ত রিপোর্ট তার নাম বাদ দেওয়া হয়। একই ভাবে Morium construction, Bloom Success এর মত হিসাবগুলোতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশে ICCD যে তদন্ত করে তা থেকেও শেখ আখতারের নাম বাদ পড়ে।

তিনি তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যাংকের নীতিমালা ভঙ্গ করে ৮ বছরের পরিবর্তে ৬ বছর পরেই নিজে স্কিমের গাড়ী নিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ব্যাংকে কর্মরত নারী কর্মীদের মারাত্বক হয়রানির অভিযোগ আছে। ইতিপূর্বে এধরনের একাধিক ঘটনায় তার ইঙ্গিতে উল্টো অভিযোগ কারীনির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।

তার নির্দেশনায় ব্যাংকের অনেক অভিজ্ঞ এবং নিবেদিত সিনিয়র ব্যাংকারের বিরুদ্ধে ICCD প্রধানের মাধ্যমে সাজানো অভিযোগ তৈরী করে কোনঠাসা ও অকার্যকর করে রাখা হয়েছিলো এর ফলে সম্ভাবনাময় নির্বাহীরা ব্যাংকের জন্য অবদান রাখতে পারছিলো না।

ব্যাংকের বিভিন্ন স্তরের শাখা ব্যবস্থাপক/ আঞ্চলিক প্রধান ও বিভাগীয় প্রধানদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ের সাজানো অভিযোগের কারনে অন্যান্য কর্মকর্তা/নির্বাহীরা আতংকিত হয়ে পড়েছিলো।

শেখ আখতার মানব সম্পদের দায়িত্বে থাকায় আগের সরকারের সময় বিভিন্ন নিয়ন্ত্রনকারী সংস্থার কর্মকতাদের বিভিন্ন সুবিধা বিশেষ করে নিয়োগ, বদলিসহ অনৈতিক সুবিধা প্রদান করে ক্ষমতাধর হয়ে উঠেন। তিনি নিজেকে শেখ পরিবারের সদস্য হিসেবে পরিচয় দিতেন। স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর পরেই আবার নতুন করে নিজেকে পরিবর্তন করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে গেছেন।

Marketing Division:

শেখ আখতার ও তার অপকর্মের আর এক দোসর সালাহ উদ্দিন মার্কেটিং প্রধান ডিপোজিট সংগ্রহের জন্য ব্যয় দেখিয়ে ব্যাংকের বিভিন্ন খাত থেকে বিপুল পরিমান অর্থ আত্মসাৎ করেছেন, শুধুমাত্র বিগত বছরে একটি খাত থেকেই প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয় করেছেন। প্রিন্সিপাল শাখায় পরিচালিত ইনসুরেন্স কমিশনের জমার হিসাব থেকে খুব স্বচুতুরভাবে এই অর্থ ব্যয় করেছেন। কিন্তু তারপরও ক্রমাগতভাবে ব্যাংকের ডিপোজিট কমে গেছে বলে জানা গেছে। শেখ আখতার এর নির্দেশে শিকদার পরিবারের সদস্যদের এবং ঘনিষ্ঠদেরকে তাদের বিনিয়োগকৃত অর্থের বিপরীতে ঘোষিত হারের চেয়ে ২.০০% হারে বেশী সুদ প্রদান করা হয়েছে।

যেমন: পারভীন হক সিকদার, তার মেয়ে মেন্ডি শিকদার ও মেন্ডি ডেন্টাল কে ২% বেশী হারে সম্পূর্ন অনৈতিক ভাবে ব্যাংকের ক্ষতি করে ৩.০০ কোটি টাকা বেশী সুদ প্রদান করা হয়েছিলো। আবার শিকদার পরিবারের ঘনিষ্ঠজন যেমন: সাদেক খানসহ অন্যান্য প্রভাবশালীদের ব্যাংকের, পশ্চিম ধানমন্ডি শাখার ৯ টি হিসাবে ২% বেশী সুদ প্রদান করা হয়েছিলো উক্ত হিসাবগুলো ছাড়াও শেখ আখতারের নির্দেশে অনেক হিসাবেই ঘোষিত হারের চেয়ে বেশি সুদ প্রদান করা হয়েছিলো।

এ কাজে তার অত্যন্ত বিশ্বস্ত সহযোগী মো: সালাউদ্দিন, মার্কেটিং বিভাগের প্রধান জড়িত ছিলো বলে জানা গেছে।শিকদার গ্রুপের ঋণের যোগান দিতে বিপুল পরিমান Hight Cost ডিপোজিট নেওয়ার কারনে ব্যাংকের ব্যায়ভার বহুগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং ব্যাংকটি ক্ষতির মুখে পড়েছে।শেখ আখতার তার কাছের লোক মার্কেটিং বিভাগের সাবেক প্রধান সালাহ উদ্দিনকে ব্যাংকের চাকরী থেকে তড়িঘড়ি করে সমস্ত বেনিফিটসহ রিলিজ করে দিয়েছেন এবং সালাহ উদ্দিন কে অন্য ব্যাংকে যোগদান করার সুযোগ করে দিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যে ফান্ড আনা হয়েছিল তা থেকে বিপুল পরিমান করর্পোরেট ডিপোজিট উত্তলনের সুযোগ করে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

ঐ ডিপোজিট গুলো দিয়েই সালাহউদ্দিনের অন্য ব্যাংকে যাওয়ার পথ সহজ করে দিয়েছিলেন।  শেখ আখতার উদ্দিন আহমেদ কাছের লোক সালাহউদ্দিনকে সহায়তার উদ্দেশ্যে উক্ত কর্পোরেট হিসাবগুলো থেকে বিশাল পরিমান টাকা রিলিজ করার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।

Foreign Remittance Division

শেখ আখতার দীর্ঘ সময় ২০১০-২১ পর্যন্ত মালায়শিয়া একচেঞ্জ হাউজ এর প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। উক্ত সময়েই মালায়েশিয়ায় NBL এর Performance এর ক্রমাবনতি ঘটে। অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় NBL এর অবস্থান প্রথম স্থান থেকে ধীরে ধীরে তলানীতে গিয়ে ঠেকে যায় এমনটাই অভিযোগ রয়েছে। অথচ ২০১০-২১ সময়ের মধ্যে তার ৫টি পদোন্নতি হয়। কারন উক্ত সময়কালে তিনি শিকদার পরিবারের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অনৈতিক আর্থিক কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন বিধায় তিনি নিজে পুরস্কৃত হয়েছেন। পরবর্তীতে দেশে ফিরে মানব সম্পদ বিভাগের প্রধান হয়ে SEVP ও DMD হয়েছেন এবং DMD হওয়ার দিনই MD (CC) হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন।

দেশে ফিরে এলেও তিনি মালয়েশিয়া এক্সচেঞ্জ হাউজের প্রধান হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত কাউকে নিয়োগ না দিয়ে মানব সম্পদ বিভাগে বসেই নির্দেশনা দিয়ে মালয়েশিয়া এক্সচেঞ্জ হাউজ পরিচালনা করেছিলেন। পরবর্তীতে সিকদার পরিবার ও শেখ আখতারের আস্থাভাজন খুঁজে পেয়ে মর্তুজা-কে মালয়েশিয়ার এক্সচেঞ্জ হাউজ এর প্রধান করে পাঠানো হয়।

বিদেশে অবস্থিত NBL এর এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো নিয়মিত অডিট হলেও ২০১৮ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় অবস্থিত এক্সচেঞ্জ হাউজের কোন অডিট হয়নি যার অডিট হওয়ার একান্ত আবশ্যক। তবে জনাব মর্তুজাকে রেখে এবং বর্তমান ICCD-এর প্রধানকে দিয়ে নিরপেক্ষ অডিট সম্ভব নয়।

২০২৩-২৪ সালে L/C খোলার উপর embargo থাকাবস্থায় শেখ আখতারের এর তত্ত্বাবধানে ঘোষিত রেটের চেয়ে বেশী দিয়ে বিভিন্ন 3rd party exchange house থেকে চাহিদার অতিরিক্ত ডলার কেনা হয়েছে এবং ডলার কেনায় যে বাড়তি টাকা ব্যয় হয়েছে তা বাইরে অনিয়মের মাধ্যেমে পাঠানো হয়েছে যা মানি লন্ডারিং এর আওতায় পড়ে।

যে বাড়তি টাকা পাঠানো হয়েছে তাতে শেখ আখতারের ব্যক্তি স্বার্থ জড়িত ছিলো বলে জানা গেছে। পরবর্তীতে ব্যাংকের অভ্যন্তরীন চাহিদা না থাকায় বাড়তি দামে কেনা উক্ত ডলার ইন্টার ব্যাংক মার্কেটে কম রেটে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তাতে ব্যাংকের প্রায় ৪০০.০০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে যার দায় শেখ আখতার কোন ভাবেই এড়াতে পারেন না। কারণ তার তত্ত্ববধানে ও নির্দেশে এগুলো ক্রয় ও বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিলো।

উল্লেখিত বিষয়সমূহ ছাড়াও শেখ আখতারের বিভিন্ন কর্মকান্ডে ব্যাংকে থাকাকালীন ব্যাংকটি ক্ষতির মুখে পড়ে গেছে।তার অক্ষমতার কারনে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত অর্থের ব্যবহার সঠিকভাবে হয়নি বলে জানা গেছে।তাছাড়া শাখা সমূহকে সুচিন্তিত পরামর্শ না দিয়ে এবং শাখাগুলোতে যতসামান্য অর্থ বরাদ্দ দিয়ে খেয়ালখুশিমত বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত অর্থের অপব্যবহার করা হয়েছিলো বলে ধারণা করা হয়েছে।

শেখ আখতারের ‘ক্ষমতা প্রদর্শনের কারণে ব্যাংকের আদায়ও স্থবির হওয়ার পথে। তার সময়ে অনেক ম্যানেজারসহ অন্যানাদেরকে কারণ দর্শানো নোটিশ, চার্জশিট ইত্যাদি করা হয়েছিলো। যার ফলে ব্যাংকের কর্মকর্তা/নির্বাহীদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করেছিলো, বিধায় শাখাসমূহ থেকে আশানুরুপ আদায়ের প্রস্তাব আসছিলো না বরং প্রস্তাব পাঠাতে ভয় পাচ্ছিলো, শাখা সমূহের কর্মকর্তাগণও তাদের সিনিয়রদের পরিনতি দেখে সাধারণ আদায় প্রস্তাবেও সুপারিশ করতে ভয় পাচ্ছিলো।অত্যন্ত প্রতিহিংসাপরায়ন শেখ আখতার উদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশ ব্যাংক এবং দুদকে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে একধরনের ত্রাস তৈরি করেছিলেন।

অভিযোগ আছে, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড এর সাবেক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার কাওসার জাহান নামে এক মহিলাকে, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড, প্রধান কার্যালয়ের এইচ, আর, বিভাগের ভাইস-প্রেসিডেন্ট এস.এম. জহিরুল হক ও শেখ আখতার উদ্দিন আহমেদ মিলে যৌন হয়রানি করেছে বলে লিখিত অভিযোগ এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মোবাইল ফোনে গোপনাঙ্গের ভিডিও সংরক্ষণ রয়েছে।

তার সকল বিষয় জানতে দৈনিক আমাদের কন্ঠ পত্রিকার অনুসন্ধানী টিম ন্যাশনাল ব্যাংকে স্বশরীরে হাজির হয়, কিন্তু ব্যাংকে গিয়ে জানা যায় চাকরির মেয়াদ থাকতেই তিনি স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে অবসরে চলে যান, ন্যাশনাল ব্যাংকের কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারী তার তথ্য দিতে রাজি নয়, অনেক চেষ্টা করেও শেখ আখতার উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

চলমান-১ পর্ব।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Advertisement

Contact with your
Creative & Technology Partner

Advertisement