রাজাপুরে ৩৫ লাখ টাকার সড়ক সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন
Advertisement

রাজাপুর (ঝালকাঠি)প্রতিনিধি:

ঝালকাঠির রাজাপুরে এলজিইডির ৩৫ লাখ টাকার সড়ক সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের কাটাখালি ব্রীজের পশ্চিম পাশের এলাকার ১৯’শত ২০ মিটার সড়ক সংস্কারে বিটুমিন কম দেয়া ও নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ স্থানীয়াদের। ঝালকাঠির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিয়াম ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি বাস্তবায়ন করছেন।

সরেজমিন গিয়ে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সড়ককের বিভিন্ন অংশে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যাবহার ও বিটুমিন কম দিয়ে তার ওপর কার্পেটিং করা হয়েছে। রাস্তায় এমন নিম্নমানের কাজ হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেখেও কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করে উল্টো ঠিকাদারের পক্ষে সাফাই গাইছেন। এতে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ শুরু থেকেই স্থানীয় লোকজন কাজের মান নিয়ে আপত্তি করছেন। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী তথা ইট, খোয়া ও পাথর ব্যবহার এবং যেনতেনভাবে কার্পেটিং, সঠিক পরিমাণ বিটুমিন ব্যবহার না বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে কাজ করার কারণে রাস্তা নির্মিত হওয়ার অল্পদিনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যাবে।

কাজের ঠিকাদার ঝালকাঠির মাহমুদুর রহমান জানান, সড়কটি এলজিইডির জিওভি ম্যান্টেনেসের কাজ। ১৯’শত ২০ ফিট কাজে ৩৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। স্টিমিট রয়েছে ২৫ মিলি কিন্তু দেয়া হচ্ছে ২৭ মিলি করে করা হচ্ছে, যাতে পরে নাম কমে যায়। নিয়ম মেনে যথাযথভাবেই কাজ করা হচ্ছে, লস হবে  ভেবেও কাজটি করা হচ্ছে না করলে লাইসেন্সে সমস্যা হবে। স্থানীয় কিছু লোকজন টাকাও চাইছে, না দেয়ায় অভিযোগ ও হয়রানি করছে তারা।

নির্মান কাজ দেখবালের দ্বায়িত্বে থাকা রাজাপুর এলজিইডি অফিসের ওয়ার্ক এসিস্ট্যান্ট উজ্জ্বল হোসাইন জানান, নিম্নমানের ইটের খেয়া ব্যবহারের বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারবো না, কারন ইঞ্জিনিয়ার স্যার সকল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি শুধু মাত্র চলমান কাজটি তদারকি করছেন।

রাজাপুর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী অভিজিৎ মন্ডল জানান, কাজে অনিয়ম হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঝালকাঠি জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহীদুল ইসলাম সরকার জানান, রাস্তার কাজ খারাপ হচ্ছে এমন মৌখিক অভিযোগ পাওয়ার পর সাথে সাথে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারকে জানিয়ে তাকে সরজমিনে গিয়ে দেখতে বলেছি। তার সাথে আরো একজন সিনিয়র অফিসারকেও পাঠিয়েছি। এখন পর্যন্ত ঠিকাদারকে এক টাকাও বিল দেয়নি। অভিযোগ তদন্ত করে দেখবো , তার আগে কোন বিল দিবো না। কাজ সঠিক নিয়মে না হলে সে বিল পাবে না।

 

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Advertisement

Contact with your
Creative & Technology Partner

Advertisement