মোঃহাফিজুর রহমান,মোংলা:
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ উপকূলীয় উপজেলা মোংলায় স্বাস্থ্যসেবার তীব্র সংকট দীর্ঘদিন ধরেই সাধারণ জনগণের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনীয়তাও বেড়েছে বহুগুণ। অথচ মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এখনও ৫০ শয্যার মধ্যেই সীমাবদ্ধ, যেখানে প্রতিদিন গড়ে ২০০ থেকে ৩০০ রোগী সেবা নিতে আসেন।
সম্প্রতি মোংলার সর্বস্তরের জনসাধারণ ও বিশিষ্ট নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বরাবর একটি আবেদনপত্র পাঠানো হয়েছে, যাতে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করার জোর দাবি জানানো হয়েছে।
এই দাবির পেছনে যিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি হলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সম্মানিত সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জনাব মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। তাঁর দায়িত্বশীল ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি, বিশেষ করে নিজ এলাকা ও সাধারণ মানুষের প্রতি গভীর ভালোবাসা থেকেই এই উদ্যোগটি গৃহীত হয়েছে। স্বাস্থ্যখাতে তার এমন চিন্তা-চেতনা ও জনগণের মৌলিক চাহিদা নিয়ে উচ্চপর্যায়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ সত্যিই প্রশংসনীয়।
জনসেবায় অটুট মনোভাব, মানুষের দুঃখ-দুর্দশা উপলব্ধির ক্ষমতা এবং প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তনের চিন্তা থেকেই তিনি এ বিষয়ে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই দাবিটি বাস্তবায়নে তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন এবং স্থানীয় নাগরিক সমাজের কণ্ঠস্বরকে সরকারের উচ্চপর্যায়ে তুলে ধরছেন।
আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়, মোংলা একটি শিল্পবন্দরনির্ভর এলাকা হওয়ায় এখানে বিপুলসংখ্যক শ্রমিক, কর্মজীবী ও সাধারণ মানুষ বাস করে। এছাড়াও মোংলা থানার বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মানুষ এখানে চিকিৎসা নিতে আসে।মোংলা সদরের পাশাপাশি, পশুর নদী সংলগ্ন বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা যেমন- চাঁদপাই, চিলা, জয়মনিরঘোল, মিঠাখালী ইত্যাদি অঞ্চলের জনগণও স্বাস্থ্যসেবায় বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই অবিলম্বে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করে সকল আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা ও রোগব্যাধি এখানকার জনজীবনের স্থায়ী সমস্যা। এ অবস্থায় বর্তমান ৫০ শয্যার সীমিত সুবিধা দিয়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা প্রায় অসম্ভব।
নাগরিকদের মতে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার, নার্স, আধুনিক চিকিৎসা যন্ত্রপাতি এবং বিশেষায়িত বিভাগ না থাকায় বহু রোগীকে খুলনা ও বাগেরহাটে পাঠাতে হয়। এতে সময় ও অর্থ দুই দিক থেকেই মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়ে।
জনগণের দাবি, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জনাব মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে এ উদ্যোগটি বাস্তবায়িত হলে মোংলা অঞ্চলের সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে নতুন এক আশার আলো দেখতে পাবে।