বিনোদন প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশের জনপ্রিয় ডিজে আভিলা সম্প্রতি একটি ভাইরাল ভিডিওতে দৃঢ় কণ্ঠে ঘোষণা দিয়েছেন, “আমি বাংলাদেশের ১ নম্বর ডিজে”। এই বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তোলে এবং মুহূর্তেই নেটিজেনদের মাঝে শুরু হয় তুমুল আলোচনা।
ভিডিওতে আবেগঘন কণ্ঠে ডিজে আভিলা স্মরণ করেন তাঁর দীর্ঘ ১৪ বছরের সঙ্গীতযাত্রা, যেখানে তিনি উল্লেখ করেনঃ কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় এবং সঙ্গীতের প্রতি অগাধ ভালোবাসাই তাঁকে আজকের অবস্থানে এনেছে। তাঁর কথায় ফুটে ওঠে এক প্রকৃত শিল্পীর আত্মবিশ্বাস, যা গড়ে ওঠে সময়ের সাথে অভিজ্ঞতা ও আত্মনিবেদন থেকে। “নিজেকে বিশ্বাস করাই টিকে থাকার মূল চাবিকাঠি”, ডিজে আভিলা।
ডিজে আভিলার এই বক্তব্য অনেক ভক্তের কাছে অহংকার নয়, বরং এক প্রাপ্য গর্ব। একজন নারী হিসেবে পুরুষ-প্রধান ডিজে শিল্পে নিজের জায়গা তৈরি করা নিঃসন্দেহে এক বড় অর্জন।
১৪ বছরের ক্যারিয়ারে ডিজে আভিলার সফলতার তিনটি মূল স্তম্ভঃ
- নিয়মিততা: সময়ের সাথে নিজেকে প্রাসঙ্গিক ও আপডেট রাখা।
- দক্ষতা ও অভিযোজন: বিভিন্ন সঙ্গীত ঘরানায় দক্ষতা অর্জন ও যেকোনো শ্রোতাকে মাতিয়ে তোলার ক্ষমতা।
- সহনশীলতা: প্রতিযোগিতা ও সমালোচনার মুখেও দৃঢ় মনোবল ধরে রাখা।

বাংলাদেশের ১ নম্বর ডিজে হিসেবে নিজের অবস্থান তুলে ধরার পাশাপাশি ডিজে আভিলা আজ তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে নারী ডিজেদের জন্য এক শক্তিশালী রোল মডেল। ক্লাব পার্টি থেকে শুরু করে দেশের বড় বড় মিউজিক ফেস্টিভ্যালে পারফর্ম করে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন দেশের অন্যতম সেরা ডিজে হিসেবে।
তিনি বলেন, “১ নম্বর ডিজে” হওয়া মানে শুধু পুরস্কার বা টাইটেল নয়, বরং নিজেকে সেরা সংস্করণে গড়ে তোলা এবং অন্যদের অনুপ্রাণিত করা। “নিজের মূল্য বুঝুন, কঠোর পরিশ্রম করুন, আর আলোয় আসতে কখনও ভয় পাবেন না”, তাঁর এই বার্তা এখন অনেক উদীয়মান শিল্পীর জন্য প্রেরণার উৎস।
১৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশের ডিজে সংস্কৃতিতে অবদান রেখে চলেছেন ডিজে আভিলা। তাঁর অসাধারণ পারফরম্যান্স, আবেগ, আর আত্মবিশ্বাস মিলে তৈরি হয়েছে এক অনন্য পথচলা। কেউ তাঁর “বাংলাদেশের ১ নম্বর ডিজে” দাবির সাথে একমত হোন বা না হোন, এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই, তিনি ডিজে জগতে এক অবিস্মরণীয় নাম।