নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গণদল(বিএনপিপি) এর সিনিয়র সহ-সভাপতি,বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য এবং ঢাকা বার এসোসিয়েশনের সদস্য অ্যাডভোকেট মোছাঃ মাকসুদা খাতুনকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে খুন করার উদ্দেশ্যে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ২৩-১২-২০২৪ ইং সকাল ৮:০০ মি: ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলায় আদমপুর বাজার আলী নেওয়াজের বাড়ির পশ্চিম পাশে অ্যাডভোকেট মোছাঃ মাকসুদা খাতুনের স্বামীর(মোঃ নাজমুল হুসাইন মুন্সী) ক্রয়কৃত জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মান করার সময় ৮/৯ জনের স্থানীয় আওয়ামী সন্ত্রাসী চক্র বে-আইনীভাবে জমিতে অনধিকারে প্রবেশ করে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে খুন করার উদ্দেশ্যে তার উপর অতর্কিত ভাবে ধারালো অস্ত্র হাসুয়া এবং রামদা দিয়ে হামলা চালিয়ে এলোপাথারী ভাবে তার মাথায় কুপিয়ে তাকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। অন-ধিকারে জমিতে প্রবেশ করিয়া পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অ্যাডভোকেট মোছাঃ মাকসুদা খাতুন (৩১) উপর সন্ত্রাসীরা এই হামলা চালায়।
এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মদদ দাতাা আঃ মালেক পিতা আঃ বারেক, আঃ সালাম পিতা- ইউছুফ আলী এবং হামলাকারী সাদ্দাম হোসেন, আহমেদ আলী , শওকত আলী , লেয়াকত আলী- পিতা সামছুল হক , আলমগীর পিতা-আলী আহমেদ , সিরাজ সরদার, পিতা- সরদার মল্লিক , রিনা সরদার, পিতা- সিরাজ সরদার বড়খানপুর চৌগাছা যশোর আহাম্মদ আলীর হুকুমে অ্যাডভোকেট মোছাঃ মাকসুদা খাতুনকে খুন করার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালায় ।
হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র হাসুয়া এবং রামদা দিয়ে এলোপাথারী ভাবে তার মাথায় কুপিয়ে তাকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে এবং ইট , রড, ভেলচা দিয়ে পিটিয়ে,বুট জুতা দিয়ে চটকিয়ে,লাথি, কিল, ঘুশি মেরে আঘাত করতে করতে তার মেরুদন্ড ও বাম পা ভেঙে দেয় এবং তার হাত পা অকার্যকর করে দেয় । তার গলায় ব্যবহৃত একটি সোনার চেইন, একটি হাতের সোনার ব্যাচলেট এবং একটি ১১ প্রো আইফোন সন্ত্রাসীরা নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য তাকে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। পরে তাকে জরুরী ভাবে যশোর সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয় । সে এখন পর্যন্ত উটে দাঁড়াতে পারছেন না । পঙ্গু জীবন ঢাকা মিডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এই ঘটনায় ৯ জন পরিকল্পনাকারী ও হামলাকারী সন্ত্রাসী চিহ্নিত হয়েছে এবং অজ্ঞাত ৪/৫ সন্ত্রাসীসহ মহেশপুর থানায় একটি ফৌজদারী মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মহেশপুর থানা জি আর মামলা নং ৭৪৩/২৪ এখন পর্যন্ত অ্যাডভোকেট মোছাঃ মাকসুদা খাতুনের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীরা কেঁউ গ্রেপ্তার হয়নি । সাতজন আসামী মহেশপুর উপজেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রিয়াদ হাসান এর আদালত থেকে অজামিন যোগ্য ৩০৭ ও ৩২৬ ধারা উপেক্ষা করে জামিন নিয়ে এলাকায় দাপটের সাথেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ বিষয়ে কোন কথা বললে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্য ভুক্তভোগী পরিবারকে জানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে চলেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ এবং আতংক বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি ১৯/০৫/২০২৫ ইং তারিখ উক্ত মামলার ১নং আসামী সাদ্দাম হোসেন ও ২নং আসামী আহমদ আলীকে জেল হাজতে প্রেরনের পর অন্যান্য আসামীরা বাদী,ভিকটিম ও তার পরিবারকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। এমতাবস্থায় আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে একপ্রকার আতংক বিরাজ করছে।