কালিগঞ্জের নলতায় র‍্যাবের অভিযানে ৩৯৮ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক ৩

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন
Advertisement

আক্তারুল ইসলাম, সাতক্ষীরা

র‍্যাবের ঝটিকা অভিযানে দক্ষিণবঙ্গের বহুল আলোচিত মাদক কারবারি কোটিপতি জহুরের বাসভবন ও তার মালিকানাধীন সানি মার্কেটের দোতলার গোডাউনে হানা দিয়ে বস্তা ভর্তি ৩৯৮ বোতল ফেনসিডিল সহ নৈশ প্রহরী, কেয়ারটেকার, ও মাদক কারবারি জাহাঙ্গীর হোসেন সহ ৩ জনকে আটকের ঘটনা ঘটলে ও মূলহোতা ভবন মালিক কোটিপতি মাদক কারবারি জহুর ও তার সেকেন্ড হ্যান্ড কারবারি পুত্র শাহীনকে আটক করতে পারেনি র‍্যাব সদস্যরা।

দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে ফেন্সিডিলের বড় চালান এনে ঢাকায় পাচারের উদ্দেশ্যে মজুদ করা হয়েছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-৬ খুলনা, সাতক্ষীরা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল হকের নেতৃত্বে র‍্যাব সদস্যরা সোমবার (২৩ জুন ) সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার সাতক্ষীরা – কালিগঞ্জ মহাসড়কের নলতার পূর্ব পাশে অবস্থিত মাদক সম্রাট কোটিপতি জহুরের মালিকাধীন  সানি মার্কেটের দোতালার  গোডাউনে আকস্মিক অভিযান পরিচালনা করা হয়  বলে জানান।

অভিযানের সময় গোডাউনের (দোকানের) তালা ভেঙে ভিতরে বস্তায় রক্ষিত ৩৯৮ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়। এ সময় সানি মার্কেটের কেয়ারটেকার ,মাদক কারবারি কোটিপতি জহুরের আপন বেয়াই ভাড়া সিমলা ইউনিয়নের খামার পাড়া গ্রামের আব্দুল হামিদ গাজীর পুত্র মাদক কারবারি খোকার দক্ষিণ হস্ত আব্দুল গাফফার (৬২), নৈশ প্রহরী শীতলপুর গ্রামের রনজিৎ সরকারের পুত্র অমল সরকার (৫৫) এবং ব্রজপাটুলি গ্রামের আনসার আলীর পুত্র মাদক কারবারি জাহাঙ্গীর আলমকে (৪৫)কে র‍্যাব সদস্যরা আটক করে নিয়ে যায়। নলতা চৌমুহনী গ্রামের মৃত রাজা উল্লাহ গাজী পুত্র দক্ষিণবঙ্গের মুকুটহীন মাদক কারবারি কোটিপতি জহুর ২ যুগের অধিক সময় ধরে চোরাচালানী ও মাদক ব্যবসা চালিয়ে শূন্য থেকে এখন শত কোটি  টাকার মালিক বনে গেছে। নলতা ইউনিয়নটি  ভারতের একেবারে সীমান্ত ঘেঁষা হওয়ায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা কারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রতিনিয়ত ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেন্সিডিল এনে তা মজুদ করে ট্রাকে করে মাদক/ফেন্সিডিলের চালান ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে আসছিল।

এই মাদক পাচারের ঘটনায় মাদক কারবারি কোটিপতি জহুর এবং তার পুত্রদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা আছে। বর্তমান তার নিজের মালিকাধীন নলতা সানি মার্কেটে বসবাস করে মার্কেটটিকে মাদক পাচারের গোডাউন এবং  জনসমক্ষে নিরাপদ রুট হিসাবে ব্যবহার করে আসছিল। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উক্ত ঘটনায় র‍্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্পের ডিএডি হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে  থানায় মাদক আইনে  মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল। বিগত সরকারের আমলে মাদক ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণ করলে ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে কালীগঞ্জ থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ লস্কর জাহিদুল ইসলামের নিকট বিভিন্ন মামলা ,হামলা থেকে রক্ষা পেতে নিজেকে হাজী পরিচয় দিয়ে মাদক ব্যবসা করবে না এই মর্মে মুচলেকা দিয়ে আত্মসমর্পণ করে। কয়লা ধুইলে যেমন ময়লা যায় না তেমনি কোটিপতি জহুর ও আলহাজ্ব, হাজি হয়েও তার মাদক ব্যবসার পেশা আজও পর্যন্ত ছাড়তে পারেনি। বর্তমানে বিভিন্ন রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং প্রশাসনের অভিযান দুর্বলতাকে পুঁজি করে বহালতবিয়াদে  ব্যবসা চালিয়ে আসছে বলে এলাকার সচেতন মহল সাংবাদিকদের জানান। এর আগে ২০০৭ সালে নলতা রওজা শরীফের পূর্ব পাশে জনৈক হামিদুলের পরিত্যক্ত দ্বিতল ভবন ভাড়া নিয়ে সেখানে কৌশল পরিবর্তন করে ডিমের খাচি কেটে তার মধ্যে ডিম ঢুকিয়ে ট্রাক ভর্তি করে বাহ্যিক ডিম দেখিয়ে ঢাকায় প্রতিনিয়ত মাদক পাচার করে আসছিল। ঐ  সময় তৎকালীন পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ হেল বাকির অভিযানে ৩৬০০ বোতল ফেনসিডিল , ডিমের খাচি, নগদ ৩ লক্ষ টাকা সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করলেও কোটিপতি জহুর ছিল ধরাছোঁয়ার বাহিরে। সেই থেকে তাকে আর পিছে ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমান মাদক কারবারি জহুর মুখে দাড়ি রেখে হাজির অন্তরালে তার এই অবৈধ ফেনসিডিল ব্যবসা দেখ ভাল করে আসছে তারই পুত্র শাহিন।

 

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Advertisement

Contact with your
Creative & Technology Partner

Advertisement