মোঃ রফিকুল ইসলাম খানঃ
শুক্রবার সকালে আলহাজ্ব ফসিয়ার রহমান সবুজ এর পৌর সদরের বাতিখালীস্থ বাসায় কে বা কারা সাদা কাগজে লেখা একটি চিঠি ফেলে রেখে যায় তা জানা যায় নি। তবে ১০ লাইনের ওই চিঠিতে ঘের ব্যবসায়ী মাসফিয়ার রহমান সবুজকে ১০ দিনের মধ্যে ঘের ছেড়ে দেওয়া এবং ২/৩ দিনের মধ্যে ৩০ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজ বাসভবনে প্রেস ব্রিফিং করেন সবুজ দম্পতি। সবুজের স্ত্রী তন্বী রহমান বলেন শুক্রবার সকালে বাসার কাজের লোক ঝাড়ু দেওয়ার সময় বাসার ভিতরে দরজার সামনে একটি খাম পড়ে থাকতে দেখে খামটি নিয়ে আমার কাছে দেয়। খামের ভিতরে একটি চিঠি ছিল। চিঠিতে জীবন নাশের হুমকি সহ ৩০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে। চিঠিটি পড়ে সাথে সাথে আমি আমার হাসবেন্ড কে দ্রুত ঘের থেকে বাসায় আসতে বলি। মাসফিয়ার রহমান সবুজ বলেন চিঠিতে আগামী ১০ দিনের মধ্যে পুতলাখালী ঘের ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। তা নাহলে আমার অবস্থা রবি ও মাহবুবের মতো হবে, আমাকে মেরে লাশ গুম করে মরহুম বাবা ফসিয়ারের কাছে পাঠিয়ে দিবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দল গোছাতে টাকা দরকার এজন্য ২/৩ দিন পর তাদের লোক আসলে তাদের কাছে ৩০ লক্ষ টাকা দিতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশের সহযোগিতা নিলে আমার এবং আমার পরিবারকে খুন করে লাশ গুম করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। চিঠির শেষে ইতি তোর জম লেখা রয়েছে।
এদিকে মাসফিয়ার রহমান সবুজ প্রেস ব্রিফিং আরো অভিযোগ করেন, উপজেলা বিএনপির ডাঃ আব্দুল মজিদ গুরুরুপের তুষার ও মুছার ইন্দোনে আমার প্রতিপক্ষ শিব পদ সরকার, সত্যজিৎ সরকার ও ক্লিনটন এমন ঘটনা ঘটাতে পারে বলে ধারণা করছি। আমি এ ঘটনায থানায় জিডি করেছি। যার নং ৪২৩, তারিখ ০৯-০৫-২০২৫। এ মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে ঘের পরিচালনা এবং জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন সবুজ দম্পতি। এ বিষয় পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রপ্ত) ঈদ্রিসুর রহমান জানান, এ বিষয় শুনার সাথে সাথে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ওই সংক্রান্তে থানায় জিডি হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।