নিজস্ব প্রতিবেদক :
গাজীপুর মহানগর এলাকার বাসন থানা বিএনপির সভাপতি তানভীর সিরাজের বিরুদ্ধে নৈরাজ্যের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি জমি দখল জুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ আওয়ামীলীগের পূর্ণবাসন, এনসিপি নেতাদের হুমকি সহ নানান অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।
৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন এই থানা বিএনপির সভাপতি তানভীর। মহানগর এলাকায় জুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতে দফায় দফায় সংঘর্ষের মতো ঘটনাও ঘটিয়েছেন এই নেতা। টেলিভিশনে চাকরি করা এক সাংবাদিককে হুমকি দিয়ে বাড়িতে হামলা করে প্রায় কয়েক মাস যাবত রেখেছেন বাড়িছাড়া। সরকারি জমিতে চাঁদাবাজি করছেন সব সময়। সিটি কর্পোরেশনের ইজারা নামেও করেছেন চাঁদাবাজি।
ভুক্তভোগী আব্দুল মান্নান বলেন, গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আমি তার কথামতো তাকে ভোট দেইনি বলে আমার ব্যবসা-বাণিজ্য সব কেরে নিয়েছেন। সরকার পতনের পরও আমার বাড়িতে হামলা করে আমাকে বাড়িতে থাকতে দেন না। আমার অপরাধ আমি তার অবৈধ কর্ম যজ্ঞে বাধা দিয়েছি। এছাড়াও সে আমার জমি দখল করে রেখেছেন।
ভুক্তভুগি সাংবাদিক মেহেদী হাসান বলেন, তার অন্যায় ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করার কারণে আমার বাসায় হামলা করা হয়েছে এবং কয়েক মাস যাবত আমার বাসা আমার কাছে থাকতে দেওয়া হয় না। সবসময় হুমকির মুখে আছি আমার কোন নিরাপত্তা নেই। তারা নিয়মের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ এখন আমার জীবনে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া নাঈম বলেন, উনি তখন আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। থানায় জিডি করেছি কমিশনার বরাবর অভিযোগ করেছি কিন্তু পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই। ভাওয়াল কলেজের আওয়ামী সন্ত্রাসী দ্বারা পরিচালিত হচ্ছেন তানভীর। একাধিক আওয়ামীদের পূর্ণবাসন করিয়াছেন তিনি। যা ইতোমধ্যে বিভিন্ন ভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্র কার্যালয়ে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে কিন্তু বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই। মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ব্যক্তির দায় কখনো সংগঠন নেবে না। সে অপকর্ম করে থাকলে তার বিচার নিশ্চিত করবে রাষ্ট্র।
এছাড়া স্থানীয় ওরা বলেন, মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকারের নাম ভাঙিয়ে তিনি এরকম চরম পর্যায়ে চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হয়েছেন। এলাকার মানুষ তাকে এখন তানভীর সিরাজ নয় বরং চান্দাবাদ হিসেবে চেনে।তার এমন কর্মকান্ডের বিচার হওয়া উচিত বলে জানান স্থানীয়রা।