অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে প্লাবিত পটুয়াখালীর নিম্নাঞ্চল

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন
Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি একই এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এর প্রভাবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে।

বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে তীরে। বুধবার সন্ধ্যা থেকে উপকূলীয় এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বাতাসের চাপ অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। জোয়ারে নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্লাবিত হয়েছে পটুয়াখালীর নিম্নাঞ্চল।

টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার পাশাপাশি পানি বন্দি হয়ে পড়েছে শত শত পরিবার। নিম্নচাপটি আরো ঘনীভূত হতে পারে এবং উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া আকারে বয়ে যেতে পারে। তাই পটুয়াখালীর পায়রাসহ দেশের সব সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সকল মাছধরা ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। পটুয়াখালীর অভ্যন্তরীণ ১৭টি রুটে ছোট-বড় সকল লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে পটুয়াখালী নৌবন্দর কর্তৃপক্ষ।

রাঙ্গাবালী উপজেলার স্থানীয় সাংবাদিক তুহিন রাজ জানান, নায়ার চর, কোরালিয়া, চালিতাবুনিয়া ও মধ্যে চালিতাবুনিয়াসহ উপজেলার বেশকিছু এলাকা অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে।

রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ওমর সানি বলেন, ‘জোয়ারের পানিতে বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে ঘেরের মাছ। অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।’

পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর) মো. রাকিব বলেন, ‘বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। এতে বেড়িবাঁধের বাইরের এলাকা তলিয়ে গেছে।’

পটুয়াখালী নৌবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. জাকী শাহরিয়ার বলেন, ‘সমুদ্রে লঘুচাপের কারণে পায়রা বন্দরকে ৩ নম্বর সংকেত দেওয়া হয়েছে। আমাদের নদী বন্দরগুলোতে দুই নম্বর সতর্কসংকেত থাকায় পটুয়াখালী জেলায় অভ্যন্তরীণ ১৭টি রুটের সকল লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলার সকল স্পিডবোটগুলোকে যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে নিষেধ করা হয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে।’

পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, ‘উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়তে পারে এবং অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। গতকাল বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায়  ৯৪ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। তারপর কমার সম্ভাবনা রয়েছে।’

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Advertisement

Contact with your
Creative & Technology Partner

Advertisement