নাচোল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে নিজ খড়ির(জ্বালানী) ঘরে গভীর রাতে আগুন লাগাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীকে ফাঁসানো, জীবন নাশের হুমকী ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠকের পরিবারের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৮ মে বেলা সাড়ে ১১টায় নাচোল জেলা পরিষদ ডাক বাংলোয় ভুক্তভুগির পরিবারের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ভুক্তভুগি মাইদুর রহমানের ছেলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গুলসান থানার সংগঠক রেজুয়ান আমেদ নাইম।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে জানান, তার পিতা উপজেলার সদর ইউপির খেসবা গ্রামের খেসবা মৌজার সরকারী খাস খতিয়ানভুক্ত ১২৮৭ দাগে প্রায় ০.০১১(একর) জমি মাইদুর রহমানের নামে বন্দোবস্ত পান। প্রতিবেশী সোহবুল হকের ছেলে আনারুল ইসলাম জোরপূর্বক তার পিতার নামে বন্দোবস্ত জমির প্রায় ৫ফিট দখল করে ও ১২৮৮ সরকারী রাস্তার জমির মধ্যে একটি পাকা ঘর নির্মান করার চেষ্টা করে। তার পিতার নামে বন্দোবস্ত জমিতে অবৈধভাবে ৫ ফিট ভিতরে ঘর নির্মান কাজে বাধা দিলে তার পিতা-মাতাকে সোহবুলের ছেলে আনারুল, মনিরুল ও গোলাম মোস্তফা(মন্টু) অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে ও প্রাণনাশের হুমকী দেয়। এরই প্রেক্ষিতে তার পিতা গত ২৫ এপ্রিল নাচোল থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করেন ও বিষয়টি উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি)কে অবহিত করেন। এসি ল্যান্ড তাৎক্ষনিক ইউনিয়ন ভূমি সহকারীকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে সরকারী খাস জমিতে ঘর নির্মান কাজ বন্ধ করেন।
এছাড়া ভুক্তভুগির পরিবারের সাথে সোবুলের পরিবারের দীর্ঘদিনের জমিজমা সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব বিদ্যমান। তাই সোহবুলের ছেলেরা পরিকল্পিতভাবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গুলসান থানার সংগঠক রেজুয়ান আমেদ নাইম এর পরিবারকে মিথ্যা অভিযোগে হয়রানীমূলক ও বানোয়াট সংবাদ নিকট আত্মীয়কে দিয়ে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রচার চালিয়ে আসছে।
সংবাদ সম্মেলনে রেজুয়ান আমেদ নাইম এর পিতার নামে ২০১৭ সালে প্রতিবেশী এনামুল হক এর নিহতের ঘটনার সাথে ও উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের সাথে জড়িয়ে যে মিথ্যা প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে তার প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানিয়ে সুষ্ঠ্য নিরেপেক্ষ তদন্তের জন্য আইন প্রয়েগকারী সংস্থার প্রতি আহ্বান জানান।