ভালুকা উপজেলা প্রকৌশলীর দুর্নীতির মহোৎসব, ভুয়া বিল, টেন্ডার বাণিজ্য, ঘুষের ছড়াছড়ি 

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন
Advertisement

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ময়মনসিংহ কার্যালয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মাফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, ভুয়া ভাউচার, টেন্ডার বাণিজ্য ও ঘুষ লেনদেনের grave অভিযোগ উঠেছে। এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী ঠিকাদারের লিখিত অভিযোগে এসব তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।

ভুয়া বিলে লাখো টাকা আত্মসাৎ অভিযোগে বলা হয়, মাফুজুর রহমান ২০২২ সালে ভালুকা উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে যোগদানের পর থেকেই অফিসের ব্যয় বাবদ বরাদ্দকৃত বাজেট থেকে ভুয়া ভাউচার তৈরি করে কোটি টাকা উত্তোলন করেছেন। ২০২২-২৩, ২০২৩-২৪ ও ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ক্রয়বিহীন বিল দিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। সংশ্লিষ্ট দোকান ও প্রতিষ্ঠান থেকে ভাউচার যাচাই করলেই এর সত্যতা মিলবে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

টেন্ডারে আত্মীয়-স্বজন ও কমিশনের খেলা তিনি তার পরিচিত ঠিকাদার ও আত্মীয়স্বজনকে টেন্ডার বরাদ্দ দেন এবং প্রকল্পের মোট বরাদ্দের ১-৫% হারে কমিশন নেন বলে দাবি করা হয়। এছাড়া, রড-সিমেন্ট, ইট, বালু ক্রয়ের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দোকান ও সরবরাহকারীকে বাধ্য করায় ঠিকাদাররা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো, তিনি নিজের ভাইয়ের নামে ঠিকাদারি লাইসেন্স করে প্রকৌশলী হয়েও ঠিকাদারি ব্যবসা চালাচ্ছেন।

RFQ-এর নামে ষাট লাখ টাকা লোপাট ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে শাপলা সিনেমা ভাঙার নামে RFQ (রিকোয়েস্ট ফর কোয়োটেশন) করে ৬০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন, অথচ সিনেমা হলটি এখনও অক্ষত রয়েছে। এছাড়া, উপজেলা সংলগ্ন পুকুরের বাঁধ সংস্কারের নামে রাজস্ব খাতের লাখ লাখ টাকা PIC (পেটি ক্যাশ) বাবদ হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।

তিনি উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শনের নামে ঠিকাদারদের কাছ থেকে কমিশন দাবি করেন। স্কুল ভবন, রাস্তা নির্মাণ বা মেরামতের বিল পাস করতে গেলে টাকা দিতে হয়, নাহলে বিল আটকে দেওয়া হয় বা কাজ বন্ধ রাখা হয়। এতে সরকারি সেবা ব্যাহত হচ্ছে এবং ঠিকাদাররা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

সরকারি কোয়ার্টারে ‘বেনামী’ বাসা বরাদ্দ উপজেলা পরিষদের বাসা বরাদ্দ কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি নামমাত্র ভাড়ায় সরকারি কোয়ার্টার বরাদ্দ দিয়েছেন, যার ফলে সরকার বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে। অনেকেই বদলি হওয়ার পরও ঘুষ দিয়ে বাসা দখল করে আছেন।

অতীতেও একই অভিযোগ, শাস্তিমূলক বদলি হয়েছিলেন মাফুজুর রহমানের দুর্নীতির ইতিহাস নতুন নয়। হালুয়াঘাটে কর্মরত অবস্থায় টেন্ডার বাণিজ্যে জড়িত থাকায় শাস্তিমূলক বদলি হয়ে তাহিরপুর, সুনামগঞ্জে যান। পরে চাঁদপুর সদর ও হোমনা, কুমিল্লায় বদলি হলেও ১৫ লাখ ও ১০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে স্টে অর্ডার করিয়ে আবারও ভালুকায় অবস্থান করছেন বলে অভিযোগ।

দুদকের কাছে জোর দাবি জানিয়ে ভুক্তভোগী পক্ষ থেকে দুদক ময়মনসিংহ কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়ে দ্রুত তদন্ত ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

মাফুজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে একাধিক বার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। অভিযোগটি প্রাথমিকভাবে যাচাই করা হচ্ছে এবং প্রমাণ পেলে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করা হবে। পর্ব – ১

 

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Advertisement

Contact with your
Creative & Technology Partner

Advertisement